শীত এলেই কেন করোনা বেড়ে যায়, জানেন? ডিসেম্বর মাসেই কেন করোনা চোখ রাঙায়? শীতকালে কি সত্যিই বেঁচে ওঠে করোনা ভাইরাস?

শীত এলেই কেন করোনা বেড়ে যায়, জানেন? ডিসেম্বর মাসেই কেন করোনা চোখ রাঙায়? শীতকালে কি সত্যিই বেঁচে ওঠে করোনা ভাইরাস?

শীত এলেই কেন
করোনা বেড়ে যায়, জানেন?

ডিসেম্বর মাসেই কেন
করোনা চোখ রাঙায়?

শীতকালে কি সত্যিই বেঁচে ওঠে
করোনা ভাইরাস?

শীতের সঙ্গে করোনার ভয়ংকর যোগসূত্র
খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা!

যা শুনলে আঁতকে উঠবেন

এই মুহূর্তে গোটা দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের দাপট বেড়েছে। যারা কোভিড 19 এর দুটো ডোজের টিকা নিয়েছেন, তারাও নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। আরো একটি ভয়ঙ্কর বিষয় হল এখন যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন,,, তারা প্রত্যেকেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি আরো বেশি ভয়ংকর ও মারাত্মক। এই নতুন ভেরিয়েন্টটির নাম জেএন ওয়ান। যার ছোবলে ইতিমধ্যেই ৩০০০ জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫ জন মারা গিয়েছেন। আগের বছরের শীতকালেও ঠিক এই সময়েই করোনার অত্যাচার বেড়েছিল। সে সময় করোনার নতুন ভেরিয়েন্টটির নাম ছিল ওমিক্রণ। এই বছরেও শীতকালেই অর্থাৎ ঠান্ডা পড়তেই করোনার ছোবল মারা শুরু হয়ে গিয়েছে। বছরের অন্য কোনও সময় কিন্তু করোনা এত বাড়াবাড়ি করে না। তাহলে শীতকালে কেন করোনার রমরমা বেড়ে যায়? এই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই গবেষণায় যা উঠে এসেছে, তা শুনলে রীতিমত ঘাবড়ে যাবেন। বিশেষজ্ঞরা করোনা এবং শীতকালের মধ্যে গভীর যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তারা শীতকালে করোনা বেড়ে যাওয়ার চারটি কারণ দেখিয়েছেন –

১, শীতকাল জীবাণু সংক্রমনের জন্য উপযুক্ত সময় – শীতকাল যেকোনো রোগ জীবাণু সংক্রমনের জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময়। ফলস্বরূপ কোভিড 19 এর জীবাণুগুলো শীতকালে সবথেকে বেশি মাথাচড়া দেয়। শীতকালে কোভিড 19 ভাইরাসের বংশবিস্তার সহজ হয় এবং সেই ভাইরাসগুলো আরো বেশি সক্রিয় হয়।

২, দুর্বল ইমিউনিটি সিস্টেম – শীতকালে একদিকে যেমন জীবাণুরা বংশবৃদ্ধি করে এবং নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট এর জন্ম দেয়, তেমনি অন্যদিকে শীতকালে মানুষের ইমিউনিটি সিস্টেম সবথেকে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে এই সময় মানুষের মধ্যে রোগ বালাই এর প্রভাব সব থেকে বেশি বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা যুক্তি দিয়েছেন শীতকালে করোনার প্রকোপ যেমন বাড়ে, তেমনি ইমিউনিটি সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে, মানুষের মধ্যে করোনার ভাইরাসকে গ্রহণ করার অনেক সুযোগ তৈরি হয়। এর ফলে শীতকালে মানুষের মধ্যে করোনার হানা বেশি দেখা যায়।

৩, শ্বাসতন্ত্রের সংবেদনশীলতা – বিশেষজ্ঞদের যুক্তি অনুযায়ী শীতকালে মানুষের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। শ্বাসতন্ত্র অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এই সময় করোনার মতন ভয়ংকর জীবাণুগুলো, খুব সহজেই মানুষের শ্বাসনালিকে আক্রান্ত করে। আর ঠিক এই কারণেই শীতকালে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়।

৪, শীতকালে জীবাণুরা অনেক দিন বাঁচে – গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন শীতকালে করোনার জীবাণুর অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। কেবল করোনা নয় যে কোনও জীবাণে শীতকালে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। শীতকালে জীবাণুরা ভ্যাকসিনকেও ভয় পায় না।

এই চারটি কারণের জন্যই মূলত শীতকালে করোনার দাপট অনেক বেশি বেড়ে যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের করোনামুক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকেরা সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মরশুমী ফল, শাকসবজি এইসব খেয়ে ইমিউনিটি সিস্টেমকে চাঙ্গা ও স্ট্রং বানানোর কথা বলছেন চিকিৎসকেরা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *