চন্দননগরের আলোয় সাজছে অযোধ্যার রাম মন্দির! বাংলার যুবকদের হাত ধরেই জ্বলজ্বল করছে রামনগরী!
চন্দননগরের আলোয় সাজছে
অযোধ্যার রাম মন্দির!
বাংলার যুবকদের হাত ধরেই
জ্বলজ্বল করছে রামনগরী!
মোটা টাকা খরচ করে বাঙালি শিল্পীদের
নিয়ে গেছে রাম মন্দির কমিটি!
১ জন ২ জন নয়, মোট ৬০ জন কারিগর
একসঙ্গে কাজ করছে!
মোট কত টাকা পেলেন
বাংলার শিল্পীরা?
চন্দননগরের আলো গোটা বিশ্বজুড়ে আলোচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলোকসজ্জার দায়িত্ব পালন করে আসছে চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো থেকে কলকাতার কালীপুজো, সর্বত্র ডাক পায় এখানকার শিল্পীরা। এবার এই চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের দ্বারস্থ হলেন অযোধ্যার রাম মন্দির কমিটি। অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের মোটা টাকা খরচ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চন্দননগরের শিল্পীদের রাম নগরীকে সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চন্দননগরের বিখ্যাত আলোক শিল্পী মনোজ সাহা এই গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছেন। মূলত তিনি তার দলবল নিয়ে অযোধ্যা নগরীকে আলোকময় করে তোলার কাজটি সম্পন্ন করে চলেছেন। ২২ জানুয়ারি যেখানে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান হবে সেই জায়গাটিও তারাই সাজাবেন। এছাড়াও অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রবেশের গোটা রাস্তা এবং মন্দির সংলগ্ন গোটা এলাকা চন্দননগরের আলোয় আলোকিত হবে। তিনি অত্যন্ত আশাবাদী যে তাদের হাতের কাজ সকল দর্শনার্থীদের ভালো লাগবে
এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মনোজ সাহা জানিয়েছেন –
অযোধ্যার চিত্রকূট নগরীও চন্দননগরের আলো দিয়ে সাজানো হচ্ছে। দুর্গো পুজোর আগে থেকেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের আলোর কাজ শুরু হয়েছে। ৬০ জন কারিগরকে, অযোধ্যার রাম মন্দিরের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা মোট ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার বরাত পেয়েছেন। অযোধ্যার রাম মন্দিরকে সাজানোর জন্য বেশ কিছু নতুন নতুন আকর্ষণীয় আলো ও তৈরি করা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন অযোধ্যার আলোকসজ্জার মধ্যে বৈচিত্র এবং অভিনবত্ব রাখার। তার মতে গোটা অযোধ্যা নগরীতে তাদের হাতের ছোঁয়া থাকবে।
সত্যি এই গোটা বিষয়টি বাঙ্গালীদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। অযোধ্যার রাম মন্দিরের মতন পবিত্র এবং গর্বের একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য অনেক আলোক শিল্পীরাই অপেক্ষা করে আছেন। সেখানে খোদ রাম মন্দিরের কর্তৃপক্ষরাই পশ্চিম বাংলার চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রাম মন্দিরের পক্ষ থেকে বাঙালি আলোকশিল্পীদের কাছে রাম মন্দির সাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই গোটা ঘটনা চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের সার্থকতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এটা বাঙালি আলোক শিল্পীদের কাছে যতটা গর্বের ঠিক ততটাই লাভজনকও বটে। একদিকে অযোধ্যার রাম মন্দিরের কাজে নিযুক্ত হয়ে বাংলার নাম উজ্জ্বল হয়েছে, তেমনি মোটা টাকা ইনকাম করে বাংলার কোষাগারও ফুলে ফেঁপে উঠেছে।
Leave a Reply