ভারতীয় রেল

সবার আগে রিজার্ভ হয় সিট! ভারতীয় রেলের নিয়মে কী কী সুবিধা পান প্রবীণ নাগরিকরা? নিচের বার্থ নির্বাচন না করলেও কিভাবে নিচের বার্থ পান প্রবীণ নাগরিকরা? নিয়ম অনুযায়ী কত বছর বয়সী প্রবীণ নাগরিকরা এই সুবিধা পায় জানেন? ট্রেনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কত গুলি  নিচের বার্থ সংরক্ষিত থাকে জানেন?

ভারতীয়দের কাছে দেশের প্রবীণ নাগরিকরা বটবৃক্ষের মতো। তাই সমাজ এবং পরিবারের পাশাপাশি তাই সরকারও দেশের প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি বরাবরই সজাগ দৃষ্টি  দিয়ে থাকে। এদিক দিয়ে পিছিয়ে নেই আমাদের দেশের লাইফ লাইন ভারতীয় রেলও। তাই ভারতীয় রেল দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। ভারতীয় রেলের  নিয়ম অনুযায়ী, ৬০ বছর বয়সী পুরুষ এবং ৫৮ বছর বয়সী মহিলা নাগরিকদের  প্রবীণ নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আসুন জানা যাক ভারতীয় রেল দেশের প্রবীণ নাগরিকদের কি কি বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে?

ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের দেশের প্রবীণ নাগরিকরা ট্রেনে সফর করার সময় নিশ্চিতভাবে নিচের বার্থে  সফর করার সুযোগ পান। তাই যখনই একজন প্রবীণ নাগরিক ভারতীয় রেলের টিকিট বুকিং করেন তখনই তাঁকে  অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে একটি নিচের বার্থে ভ্রমণ করার সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, কোন মহিলার বয়স যদি ৪৫ বছরের বেশি হয়,তাহলে রেলের কম্পিউটার সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবই তাঁকে নিচের বার্থে সফর করার সুযোগ দিয়ে থাকে। একইভাবে এই সুবিধা পেয়ে থাকেন গর্ভবতী মহিলারাও।

৪৫ বছরের বেশি কোন মহিলা যদি নিজে থেকে নিচের বার্থে  নির্বাচন না করেন তাহলেও তিনি নিশ্চিত ভাবে নিচের বার্থ পান। ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী দেশের প্রবীণ নাগরিক এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য স্লিপারে ছটি নিচের বার্থ সংরক্ষিত থাকে। এছাড়া এসি ৩ টায়ারের প্রতিটি কোচে ৪ থেকে ৫টি নিচের আসন সংরক্ষিত থাকে।

প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি যদি উপরের বার্থ পান তাহলে যাত্রা শুরুর আগে তিনি টিটিইকে নিচের বার্থ পাওয়ার অনুরোধ করতে পারেন। নিচের বার্থ খালি থাকলে টিটিই নিজেই তাঁদের নিচের বার্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে সাধারণ মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় রাজধানী, দুরন্ত এবং ফুল এসি ট্রেনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বেশি আসন রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন লোকাল ট্রেনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্যও কিছু আসন রাখা থাকে।

এখানেই শেষ নয় বেশিরভাগ বড় রেলস্টেশনেও  প্রবীণ নাগরিকদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকে। স্টেশন ম্যানেজারের কাছে অনুরোধ করলে সেই হুইলচেয়ার পাওয়া যায়। তবে এর জন্য পোর্টারকে টাকা দিতে হয়। এছাড়া আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটেও হুইলচেয়ার বুক করা যায়। ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী অসুস্থ প্রবীণ নাগরিকরা তাড়াতাড়ি টিকিট সংরক্ষণ পান।

এখানে বলে রাখি  করোনা মহামারীর আগে ভারতীয় রেল তার প্রতিটি শ্রেণির ভাড়ায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটের দামে বিশেষ ছাড় দিত। সেই নিয়মে মহিলা নাগরিকদের টিকিটে ৫০ শতাংশ এবং পুরুষ নাগরিকদের জন্য ৪০ শতাংশ ছাড় ছিল। তবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আবার কবে থেকে এই ছাড় দেওয়া শুরু হবে সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি ভারতীয় রেল।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *