ভুলেও চিবিয়ে খাবেন না মুরগির মাংসের হাড়! আজ থেকেই বন্ধ করুন হাড় চিবনো! নাহলেই সর্বনাশ!

ভুলেও চিবিয়ে খাবেন না মুরগির মাংসের হাড়! আজ থেকেই বন্ধ করুন হাড় চিবনো! নাহলেই সর্বনাশ!

ভুলেও চিবিয়ে খাবেন না মুরগির মাংসের হাড়!! আজ থেকেই বন্ধ করুন হাড় চিবনো!! নাহলেই সর্বনাশ!! বাইরে থেকে দেখলে বুঝতে পারবেন না হাড়ের নামে আসলে কি চিবোচ্ছেন!! এই হাড়ের সাথে আপনার পেটে কি ঢুকছে জানেন? শুনলে মুরগির হাড় আর কোনও দিনও ছুঁয়েও দেখবেন না!! ……. চিকেনের হাড় কড়মড় করে চিবিয়ে খেতে, অনেকেই ভালোবাসেন। অনেকেই মাংস খাওয়ার পর, শেষ পাতে, চিকেনের হাড়গুলোকে বেশ মজা করেই চিবিয়ে খান। হাড়ের ভিতরে থাকা মজ্জা বা সাদা অংশটি অনেকেই চুষে খেয়ে ফেলেন। আর এভাবেই নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, মুরগির হাড়, হাড়ের ভেতরে থাকা মজ্জা অর্থাৎ সাদা অংশটি খাওয়া মোটেও উচিত নয়। এটি অত্যন্ত বিষাক্ত ও মানব শরীরের পক্ষে খুবই ঝুঁকিপূর্ন! এটি খেলে ক্যান্সার সহ আরো অনেক বড় বড় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক নজরে দেখুন মুরগির হাড় আপনার আর কি কি ক্ষতি করতে পারে –

১, শরীরে বিষ ঢোকানো – আজকাল মুরগিকে অনেক বেশি মোটা এবং ওজনে ভারী করার জন্য, নানা রকম এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া। যা মুরগির পায়ে ফোটানো হয়। আমরা যখন মুরগির হাড় চিবোয় তখন হাড়ের ভিতর থেকে এই এন্টিবায়োটিকগুলো আমাদের পেটে আসে। যা পরবর্তীতে আমাদের শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। আমাদের পাকস্থলীর ক্যান্সার থেকে শুরু করে হজম ক্ষমতা নষ্ট পর্যন্ত করে দিতে পারে।

২, দাঁতের ক্ষতি – মুরগির হাড় চিবোলে আমাদের দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হয়। দাঁতের এনামেল লেয়ার নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের দাঁতের উপর বেশ কিছু আস্তরণ থাকে। যা আমাদের দাঁতকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচায়। তবে ঘন ঘন মাংসের হাড় চিবোলে দাঁতের উপরে থাকা এই আস্তরণগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর তখন দাঁতে পোকা ধরা শুরু হয়। অল্প বয়সে দাঁত পড়ে যায়।

৩, গলায় হাড় বিঁধে যাওয়া – অনেক সময় মুরগির হাড় চিবোতে গিয়ে গলায় বিঁধে যায়। মুরগির হাড় মাছের কাঁটার থেকেও শক্ত। যে কারণে গলায় বিঁধলে সহজে বার করা যায় না। হলে হাড় আটকে রক্তপাত থেকে ঘা পর্যন্ত হতে পারে।

৪, পেটের সমস্যা – অনেক সময় মুরগির হাড় পেটে গিয়ে বড় বড় অসুখ সৃষ্টি করে। যেমন বদহজম, পেটের আলসার এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫, নার্ভের সমস্যা – গবেষণায় দেখা গিয়েছে মুরগির হাড়ে বিভিন্ন রকম হাই পাওয়ারি এন্টি বায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়। যা মানব শরীরে প্রবেশের সাথে সাথে, বিভিন্ন রকম বিষক্রিয়া ঘটায় এবং নার্ভের ক্ষতি সাধন করে। নার্ভ সিস্টেমকে বিঘ্নিত করে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *