কর্পোরেট সংস্থার চাকরি ছেড়ে, রাম মন্দিরের কাজ করছেন অরুণ যোগীরাজ! রাম লালার মূর্তি বানিয়েছেন এই মানুষটি!

কর্পোরেট সংস্থার চাকরি ছেড়ে, রাম মন্দিরের কাজ করছেন অরুণ যোগীরাজ! রাম লালার মূর্তি বানিয়েছেন এই মানুষটি!

কর্পোরেট সংস্থার চাকরি ছেড়ে,
রাম মন্দিরের কাজ করছেন অরুণ যোগীরাজ!

রাম লালার মূর্তি বানিয়েছেন
এই মানুষটি!

চেনেন রাম মন্দিরের
এই মিস্ত্রিকে?

কিভাবে রাম মন্দিরের কাজে
নিযুক্ত হলেন তিনি?

দেখুন

রাম মন্দিরের রামলালার মূর্তি তৈরি করেছেন অরুণ যোগীরাজ। একসময় তিনি ছিলেন নামী কর্পোরেট সংস্থার মোটা বেতন পাওয়া কর্মী। কিন্তু পরবর্তীতে সেই চাকরি ছেড়ে মূর্তি গড়ার কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। এই অরুণ যোগী রাজের হাতেই পড়ে রামলালার মূর্তি নির্মাণের দায়িত্ব। তিনি ভগবান শ্রী রাম লালার মূর্তি, সযত্নে গড়েও তুলেছেন। ছোটবেলা থেকেই মূর্তি বানানোর প্রতি অরুণ বাবুর একটা আলাদাই ঝোঁক ছিল। বড় হয়ে নামিদামি কর্পোরেট সংস্থাতে কাজ করলেও, তার মন থাকত মূর্তি নির্মাণের দিকে। ভাস্কর্য শিল্পের প্রতি, তিনি আলাদাই একটা ভালো লাগা অনুভব করতেন। আর তাইতো নিজের এই ভালোলাগাকে প্রশ্রয় দিয়ে, মোটা অংকের চাকরি ছেড়ে, রাম মূর্তি বানানোর কাজে যোগ দেন। সূত্রের খবর মোট তিনজনের উপর রাম রাম লালার মূর্তি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। যার মধ্যে একজন হলেন অরুণ যোগীরাজ। অরুণ যোগীরাজের মূর্তি তৈরীর হাত অত্যন্ত সুন্দর। খুবই নিখুঁত এবং সুনিপুণভাবে তিনি মূর্তি বানাতে পারেন। অরুণ যোগীরাজের হাতের কাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাইতো তারা সাত পাঁচ না ভেবে অরুণ যোগীরাজের উপর রামলালার মূর্তি তৈরি দায়িত্ব সপে দেন। অযোধ্যার রাম মন্দিরে, অরুণ যোগী রাজের তৈরি রামলালার মূর্তিটি ৮ ফুটেরও বেশি লম্বা। চওড়ায় প্রায় তিন ফুট। রামলালার মূর্তিটির হাতে থাকবে তীর ধনুক। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী মূর্তিটি উন্মোচন করবেন। তথ্যসূত্রে খবর, কেদারনাথে স্থাপিত আদি শঙ্করাচার্যের মূর্তিটিও অরুণ যোগীরাজই তৈরি করেছেন। এছাড়াও দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজির যে মূর্তিটি রয়েছে সেটিও তার তৈরি। এই মূর্তি দুটিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেছিলেন।

জানা গিয়েছে, অরুণ যোগীরাজ মাইসুরের বাসিন্দা। তার বয়স ৪০ বছর। অনেক দূর পড়াশোনা করেছেন। এমবিএ পাস করার পর একটি কর্পোরেট সংস্থায় মোটা মাইনের কাজে তিনি যুক্ত হন। তবে বেশিদিন সেই চাকরিতে মন বসাতে পারেননি। ২০০৮ সাল নাগাদ তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর ভালোলাগার জায়গা ভাস্কর্য তৈরির কাজে যোগ দেন। অরুণ যোগীরাজের পূর্বপুরুষেরাও মূর্তি তৈরির পেশায় যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আজ তিনি চাকরি ছেড়েছিলেন বলেই রাম মন্দিরের মতন পবিত্র কাজে যুক্ত হতে পেরেছেন। অযোধ্যার পবিত্র রামলালার কাজে যুক্ত হতে পেরে অরুণবাবু নিজেও বেশ আনন্দিত।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *