রাজকীয় ধূপ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাম মন্দিরের জন্য তৈরী হচ্ছে ১০৮ ফুটের রাজকীয় ধূপ! একবার জ্বালালে এই ধুপ কতদিন জ্বলবে জানেন?এই ধুপ তৈরী করতে মোট কতদিন সময় লেগেছে জানেন? গুজরাট থেকে অযোধ্যায় এই ধূপ কীভাবে নিয়ে যাওয়া হবে জানেন?  এই বিশালাকার ধুপটি কে বানিয়েছে জানেন?

২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। এই দিনটার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে গোটা দেশজুড়ে এখন সাজো  সাজো রব। কোথাও রাম মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে সোনার নেকলেস আবার কখনও সামনে আসছে ‘রাজা ধূপকাঠি’র মতো বিশালাকার ধূপকাঠি। এই মুহূর্তে গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গুজরাটের ভাদোদারাতে তৈরি ১০৮ ফুট লম্বা ধূপকাঠি। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন ভগবান রামের উদ্দেশ্যে প্রজ্বলিত হবে এই ধূপকাঠি।

এই ধূপের ওজন প্রায় ৩৫০০ গ্রাম। সূত্রের খবর ১০৮ ফুট লম্বা  এবং সাড়ে তিন ফুট চওড়া এই ধুপটি একটানা ৪৫ দিন ধরে জ্বলবে। গুজরাট রাজ্যের ভদোদরা নিবাসী বিহাভাই ভারোয়াদ তারসাইল কার্যত একা হাতে এই অসাধ্য সাধন করেছেন। ছ’মাস ধরে বাড়ির সামনের এক মাঠে বানিয়েছেন এই বিশাল আকার ধূপকাঠি। সব মিলিয়ে ৩ হাজার কেজি গোবর, ৯১ কেজি গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি এবং ২৮০ কেজি দেবদারু গাছের ছাল সহ নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ১০৮ ফুট লম্বা ধূপকাঠি। এই ধূপ কাঠি তৈরির জন্য শিল্পী নিজে রোজ অন্তত দু-তিন ঘন্টা ধরে কাজ করে গিয়েছেন। সুদূর গুজরাট থেকে প্রায় ১৮০০ কিমি রাস্তা পার করে এই  ধূপ আনা হবে অযোধ্যায়। নির্দিষ্ট প্রটোকল মেনে একটি সুসজ্জিত রথে করে রামমন্দির আনা হবে এই বিশাল ধুপ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ট্রলারকে জুড়ে সেই রথ বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

নতুন বছরেই ভক্তদের সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। তাই এই মুহূর্তে রামমন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে উত্তেজনা একেবারে তুঙ্গে। এই পবিত্র অনুষ্ঠানে অন্তত ৪০০০জন সাধুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।২০১৯ সালে থেকে এই মন্দির নির্মাণের অযোধ্যায় কাজ শুরু হয়েছি। বিশ্বের বৃহত্তম এই রাম মন্দিরের দৈর্ঘ্য ৩৮০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট এবং উচ্চতা ১৬১ ফুট।

রাম মন্দিরের প্রথম তলায় ১৬০টি স্তম্ভ, দ্বিতীয় তলায় থাকবে ১৩২টি স্তম্ভ আর  তৃতীয় তলে থাকবে ৭৪টি স্তম্ভ। সবমিলিয়ে মোট পাঁচটি মণ্ডপ থাকবে মন্দিরে। মোট ৪৬টি সেগুন কাঠের দরজা থাকবে মন্দিরে। গর্ভগৃহের দরজাটি সোনায় মোড়ানো হবে। এছাড়াও এই মন্দিরে বসানো হবে ১০৮ টি ঘন্টা। এই ঘন্টার মোট ওজন ১২০০ কেজি। তবে গোটা মন্দিরে কোনও স্টিল বা ইটের ব্যবহার নেই।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *