আয়কর দফতর হানা

বাড়িতে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা নিরাপদ? নগদ কত টাকা রাখলে হানা দেবে না আয়কর দফতর? জানেন কি বলছে ভারতের আয়কর আইন? আইন অমান্য করলে কি শাস্তি হতে পারে? কত টাকার জরিমানা হতে পারে জানেন? আসুন জানা যাক বিস্তারিত।

ইদানিং বহু নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় সেলিব্রেটিদের  বাড়িতে চলছে আয়কর হানা। ইতিমধ্যেই অনেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তবে শুধু বিত্তশালী মানুষরাই নয় অনেক সময় সাধারণ মানুষও আপন বিপদের কথা মাথায় রেখে বাড়িতে ক্যাশ টাকা রাখেন। বিশেষ করে চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা! তাই  ইদানিং বাড়ি বাড়ি যে হারে আয়কর হানা দিচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাড়িতে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা নিরাপদ?  কিংবা বাড়িতে কত টাকা রাখলে আয়কর দফতর হানা দেবে না? কিইবা বলছে ভারতের আইন?

কি বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম?

আইন অনুযায়ী, বাড়িতে নগদ টাকা রাখার কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হলে টাকার মালিককে আয়ের উৎসের প্রমাণ দিতে হবে। আর সেই আয়ের উৎস অবশ্যই আইনসম্মত হতে হবে।

আয়ের সঙ্গে বাড়িতে থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা না মিললে হতে পারে জরিমানা থেকে জেল। এক্ষেত্রে হিসাব বহির্ভূত টাকা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। এখানেই শেষ নয় উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার  উপরে ১৩৭ শতাংশ জরিমানাও হতে পারে।

নগদ গ্রহণের নিয়ম-

কোনও ব্যক্তি ঋণ, ডিপোজিট বা স্থাবর সম্পত্তি বাবদ ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি নগদ গ্রহণ করতে পারেন না। যদি কোনও ব্যক্তি এক অর্থবর্ষে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করেন, তাহলে আয়ের উৎস দেখাতে হবে।  তা  না হলে, মোটা টাকার জরিমানা হতে পারে।

সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সের কী নিয়ম রয়েছে?

একবারে ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ জমা বা তোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্য়ান কার্ডের নথি ও তথ্য জমা দিতে হবে। এক বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা দিলে, বাধ্যতামূলকভাবে আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের তথ্যও  জমা দিতে হবে।

কারও যদি ৩০ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ দিয়ে সম্পত্তি কেনা-বেচা করা হয়, তাহলে তার ওপর নজর থাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। একইভাবে কেউ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে একবারে ১ লক্ষ টাকা পেমেন্ট করলে সেও তদন্তকারী সংস্থার র‌্যাডারে থাকবেন।