আবার চোখ রাঙাচ্ছে কোভিডের নতুন সংক্রমণ! সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সংক্রমণের হার বৃদ্ধির সাথেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। এখনই জানুন কোভিডের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে! নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ কি? সাবধানতা অবলম্বন করবেন কিভাবে জানেন?
শীত বাড়তেই আবার নতুন করে থাবা বসাচ্ছে করোনার সাবভ্যারিয়েন্ট JN.1। যা কোভিডের রূপ BA.2.86-এরই একটি উপরূপ।অনেকেই একে পিরোলা বলে থাকেন। চলতি বছরের শুরুতেই প্রথম এর সন্ধান মিলেছিল। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকায়। হালে তা এসে পড়েছে ভারতের কেরলে।
তবে বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে এই ভাইরাস যে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে তাতে আগামী দিনে খুব তাড়াতাড়ি এর প্রভাব শেষ হয়ে যাবে। কারণ প্রচুর মানুষ এই ভাইরাসের সংক্রমিত হবেন এবং প্রাকৃতিক উপায়েই রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করতে পারবেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কোভিডের এই নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ইতিমধ্যে সাবধান করেছে।
কাদের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি?
কোমরবিডিটি, অর্থাৎ কারও শরীরে একসঙ্গে একাধিক অসুখ রয়েছে যাদের
৬০ বছর ও তার বেশি বয়সী বয়স্ক ব্যক্তিরা
ভারী চেহারার মানুষরা
যারা এখনও টিকা নেননি
JN.1 স্ট্রেনের মূল উপসর্গ
জ্বর
সারা শরীরে ব্যথা
কাশি, গলা ব্যাথা
নাক দিয়ে ক্রমাগত জল পড়া
গন্ধ না পাওয়া
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন প্রত্যেক দেশের উচিত এখন থেকেই কোভিডের এই নতুন সাবভ্যারিয়েন্টের দিকে নজর রাখা। তাই সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এখন থেকেই মাস্কের ব্যবহার আবার ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, এছাড়া করোনা মহামারির সময় যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হতো সেগুলির ওপরেই আবার জোর দিতে বলা হচ্ছে।
কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন?
আবার মাস্ক পড়ার অভ্যাস করুন,
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন,
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত হাত ধুতে হবে, এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
টিকা ও বুস্টার ডোজ থাকাটা আবশ্যিক।
তাই যাঁরা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি তাঁদের অবিলম্বে নিয়ে নেওয়া উচিত। প্রাথমিকভাবে JN.1 ভেরিয়েন্টটি বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সাবভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন হতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা।কারণ এর থেকে যে কোভিড-১৯-এর অন্য ভেরিয়েন্টের তুলনায় বেশি অসুস্থতা হবে তার প্রমাণ মেলেনি।
Leave a Reply