পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত একটি গ্রাম, যেখানকার মানুষ এখনো চার হাতে-পায়ে হাঁটেন!

পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত একটি গ্রাম, যেখানকার মানুষ এখনো চার হাতে-পায়ে হাঁটেন!

পৃথিবীর অদ্ভুত একটি গ্রাম,
যেখানকার মানুষ এখনো চার হাতে-পায়ে হাঁটেন!

এদের হাতগুলো দেখতে
অবিকলব পায়ের মতন!

এরা কেউ সোজা হয়ে
দাঁড়াতেই পারে না!

বিশ্বের কোথায় রয়েছে
এই গ্রাম?

দেখুন

প্রত্যন্ত একটি গ্রাম যেখানে মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়াতে কিংবা হাঁটতে পারে না। এই গ্রামের প্রতিটি মানুষ চার পায়ে বানরের মতন হাঁটেন। হাঁটার জন্য এখানকার মানুষ দুটি হাত এবং দুটি পা একসঙ্গে ব্যবহার করেন। অনেকটা হামাগুঁড়ি দিয়েই তারা হাঁটেন। তবে খুব দ্রুত হাঁটেন। ফলে স্বাভাবিক মানুষের চলার গতির মতনই তাদের চলার গতি হয়। এই গ্রামটি তুরস্কে অবস্থিত। অদ্ভুত এই মানুষগুলোকে দেখতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে যান। এরপর তারা সেই মানুষগুলোর ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করে গোটা বিশ্বের ছড়িয়ে দেন। তারপর থেকেই এই গ্রামটি সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

প্রথমে অনেকেই মনে করেছিলেন এটা তাদের পর্যটকদের আকর্ষণ করার একটি বিশেষ কৌশল। তারা হয়তো ইচ্ছে করেই এটা করেন। কিন্তু বেশ কয়েকজন গবেষক এবং বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে দেখেন বিষয়টি সত্য। তারা জানান এই গ্রামটির প্রতিটি নাগরিকের হাতের চামড়া অত্যন্ত পুরু, অনেকটা পায়ের চামড়ার মতন। যা দেখে বোঝা যায়, এই গ্রামটির নাগরিকেরা বছরের পর বছর ধরে এই ভাবেই হেঁটে আসছেন। এমনকি হাঁটার জন্য হাতে কোনরকম সুরক্ষাও নেয় না তারা। মাটিতে প্রতিনিয়ত হামাগুড়ি দেওয়ার ফলে এখানকার মানুষের গঠন দুনিয়ার বাকি সমস্ত মানুষের থেকে একেবারে আলাদা। তাদের পিঠ এবং কোমরের হাড় গুলো বেঁকে গেছে এবং নিতম্বগুলো প্রশস্থ।

গবেষণায় আরো দেখা গিয়েছে, তাদের শরীরের আকৃতি ছাড়াও তাদের গড় আয়ুও কম। গ্রামটির সুস্বাস্থ্য এবং শারীরিক শক্তিসম্পন্ন মানুষের গড় আয়ু সাধারণ মানুষের তুলনায় ১০ বছর কম। গ্রামের লোকেরা খুব কমই বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা বিয়েও করেন নিজেদের মধ্যে। অর্থাৎ একই গ্রামের লোকেরা নিজেদের মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করেন। যার ফলে এখানে শারীরিকভাবে অসুস্থ বাচ্চার জন্ম হয় সবচেয়ে বেশি। বাচ্চাগুলোর মস্তিষ্কের ধরন এবং হাঁটার ক্ষমতা হ্রাস পায়। গ্রামটি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এবং পরিবহন ব্যবস্থাও খুব একটা উন্নত নয়। যার ফলে এই গ্রামটি বহির্বিশ্ব থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন। এই গ্রামটির সুস্থ শিশুরা কখনো স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে দেখেনি কাউকে। তারা স্বাভাবিক শরীর নিয়ে জন্মালেও তাদের বাবা মায়েরাই হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে শেখায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *