স্ত্রীর কারণে স্বামীদের হার্ট অ্যাটাক সবচেয়ে বেশি হয়! পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের জন্য নারীরাই দায়ী, বিদেশি গবেষণায় চাঞ্চল্যকর দাবি

স্ত্রীর কারণে স্বামীদের হার্ট অ্যাটাক সবচেয়ে বেশি হয়! পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের জন্য নারীরাই দায়ী, বিদেশি গবেষণায় চাঞ্চল্যকর দাবি

স্ত্রীর কারণে স্বামীদের
হার্ট অ্যাটাক সবচেয়ে বেশি হয়!

পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের জন্য
নারীরাই দায়ী!

মেয়েদের এই ৫টি কাজ, ছেলেদের
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়!

বিদেশী গবেষণা থেকে
বেরিয়ে এলো, চাঞ্চল্যকর তথ্য

হার্ট অ্যাটাক, শুনলেই ভয়ে দম বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বের সিংহ ভাগ মানুষ এই রোগে প্রাণ হারাচ্ছেন। হঠাৎ করে হার্টে রক্ত পৌঁছানো বন্ধ হলেই, হার্ট অ্যাটাক হয়। মেয়েদের তুলনায় পুরুষেরা এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন। সম্প্রতি এক মার্কিন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের জন্য নারীরা দায়ী। অর্থাৎ নারীদের কারণেই নাকি পুরুষেরা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। শুনতে অবাক লাগলেও, তারা এমনটাই দাবি করেছেন। এই গবেষণা দলটি দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। সেখান থেকেই তারা এমন তথ্য পেয়েছেন। তাদের মতে মেয়েদের ৫টি কাজ পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে। এক নজরে দেখুন মেয়েদের কোন ৫টি কাজ পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে –

১, নেগেটিভ কথা বার্তা – অনেক স্ত্রী রয়েছেন যারা তাদের স্বামীদের সব সময় নেগেটিভ কথা বার্তা বলেন। স্বামীদের সব সময় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। মার্কিন গবেষণাটির দাবি এই সব স্ত্রীদের স্বামীরা খুব সহজে হার্ট এটাকের শিকার হন। তার কারণ, প্রত্যেকটি স্বামী সংসার চালানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। তাদের মাথায় সংসার ছাড়াও আনুষঙ্গিক অনেক চাপ থাকে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরে, স্ত্রীর কাছ থেকে সহানুভুতির পরিবর্তে যখন নেগেটিভ কথা শুনতে হয়, তখন সেই সব স্বামীদের মানসিক চাপ বাড়ে। আর এই মানসিক চাপ ধীরে ধীরে হার্টের ক্ষতি করে। যা এক সময় হার্ট অ্যাটাকে রূপ নেয়।

২, সব সময় ঝগড়া – অনেক পুরুষের সংসারে স্ত্রী কেন্দ্রিক ঝামেলা ঝাটি লেগেই থাকে। কারণে অকারণে বউয়ের সাথে কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। এইসব সংসারের পুরুষেরা অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে থাকেন। কারণ হিসেবে মার্কিন গবেষণাটি দাবি করছে, সাংসারিক অশান্তি যেকোনো পুরুষের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি সমস্যা। তার উপর যেসব সংসারে স্ত্রীরা অত্যন্ত রাগী এবং কঠোর হন, কথায় কথায় শাসন করেন, সেই সব পরিবারের স্বামীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি খুব বেশি। এইসব পরিবারের পুরুষ মানুষেরা অত্যধিক মানসিক চাপে জর্জরিত থাকেন। সারাক্ষণ স্ত্রীকে খুশি রাখার চিন্তায় এরা অস্থির হয়ে থাকেন। এভাবেই হার্টের চাপ বাড়তে থাকে। যা এক সময় হার্ট অ্যাটাকের পরিণত হয়।

৩, আকাশ কুসুম কল্পনা – মার্কিন গবেষণাটিতে দেখা গেছে অনেক স্ত্রীরাই স্বামীদের কাছে আকাশ ছোঁয়া আবদার করেন। যেমন, স্বামীর কাছ থেকে বড় বড় গিফট দাবি করেন, দামী গাড়ি, দামী সোনার হার এরকম আরো অনেক কিছু চেয়ে থাকেন। এগুলো চাওয়ার আগে এসব স্ত্রীরা একবারও ভাবেন না স্বামীর সামর্থ্য আদৌ কতটা আছে। এগুলো তাদের স্বামী দিতে পারবেন কি পারবেন না সেই নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথাই থাকে না। অথচ দিনের পর দিন স্বামীদের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন। এইসব স্বামীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায়।

৪, পারিবারিক অশান্তিতে স্বামীকে টেনে আনা – পুরুষেরা সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। বাড়ি ফিরে তারা দু দণ্ড শান্তি খোঁজেন। কিন্তু অনেক গৃহিণী রয়েছেন যারা স্বামী বাড়ি ফিরলেই শুরু করেন সংসারের কুট কাচালির গল্প। এমনকি স্বামীর কাছে শাশুড়ি এবং ননদের নামে গাল মন্দও শুরু করে দেন। এই সব বিষয়গুলো প্রত্যেক পুরুষের কাছেই অসহনীয় এবং বিরক্তিকর। এগুলো পুরুষদের মধ্যে মানসিক টানা পোড়েনকে বাড়িয়ে তোলে।
যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের চান্স বেড়ে যায়।

৫, খোঁচা মারা – অনেক স্ত্রী রয়েছেন যারা তাদের স্বামীকে উঠতে বসতে খোঁচা মারেন। অন্যের স্বামীর সঙ্গে নিজেদের স্বামীর তুলনা করেন। যেখানে যেখানে স্বামীকে ছোট করেন। স্ত্রীর এরূপ ব্যবহার যে কোনও পুরুষ মানুষের আত্মমর্যাদাকে আঘাত করে। পুরুষের মধ্যে হীনমন্যতা সৃষ্টি করে। এমনকি পুরুষ মানুষের আত্ম বিশ্বাসকেও ধ্বংস করে দেয়। এভাবে একজন পুরুষ মানসিক ভাবে ভেঙে পরে। একসময় এই অত্যাধিক চাপ ও অজস্র টেনশন পুরুষের হার্টকে দুর্বল করে দেয়। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *