চীনের ইউয়ান

জানেন ভারতীয়রা কেন চিনে বেড়াতে যান না? কেন চিনে ঘুরতে গেলেই ফকির হয়ে যান ভারতীয়রা? চিনা মুদ্রা ভারতীয়দের কাছে মার্কিন ডলারের মতোই শক্তিশালী!  ভারতের ১০০ টাকা ড্রাগনল্যান্ডের  দেশের মুদ্রায় কত জানেন? চিনের কারেন্সি কি নামে পরিচিত জানেন? চিনের আর্থিক বৃদ্ধির গ্রাফ নামতে থাকায় চিন্তার ভাঁজ চিনা প্রেসিডেন্টের কপালে!

বছর ভর ভারতীয়রা ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও বাড়ছে ভারতীয় পর্যটকদের ভিড়।  বিদেশে ভারতীয়রা যে সমস্ত জায়গায় ঘুরতে যান তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড,শ্রীলংকা লন্ডন ইত্যাদি দেশের নাম। তবে ভারতীয়দের মধ্যে খুব কম মানুষই রয়েছেন যারা চিনে বেড়াতে যান। সেখানে দেখার জিনিসের অভাব না থাকলেও ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা।

আসলে ভারতীয়দের মনে ধরে না চিনাদের বিভিন্ন পলিসি। বিশেষ করে এই দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভারতীয়দের চিন ভ্রমণের পথে অন্যতম বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ভারতীয়রা যদি চিনে ঘুরতে যান তাহলে ফতুর হতে হবে তাদের। বর্তমানে ব্যাপক আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে চিন। দিনে দিনে নিম্নমুখী হয়ে চলেছে তাদের জিডিপি।

একদিকে যখন চীনের রপ্তানি কমছে অন্যদিকে রপ্তানি বাড়ছে  ভারতে, তাই বিশেষজ্ঞদের দাবি এই অবস্থার বদল না হলে আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা হারাবে  শি জিনপিংয়ের দেশ। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। তখন দুই দেশের মধ্যে টাকার মূল্যের ফারাক অনেক কমবে। অন্যদিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমতে থাকায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি-র কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

ড্রাগনল্যান্ডে যে কারেন্সি ব্যবহার করা হয় তা ইউয়ান নাম পরিচিত। মার্কিন ডলারের সঙ্গে এর তফাত খুবই কম। কিন্তু চিনের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর সামনে এখনও  অনেকটা পিছিয়ে ভারত। তাই ভারতীয় মুদ্রায় ১০০ টাকা কত চিনা ইউয়ানের সমান জানেন?  ভারতীয় মুদ্রা চীনের ইউয়ানের কাছে অনেকটাই ছোট। তাই ভারতীয়রা সাবধান! চিনে বেড়াতে গেলে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই  ফাঁকা হয়ে যাবে পকেট।

বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় ১০০ টাকা চীনের ৮.৫২ ইউয়ানের সমান। তাই  বোঝাই যাচ্ছে চিনাদের মুদ্রা ভারতীয় মুদ্রার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। ভারতীয়দের এক আমেরিকান ডলার পেতে গেলে খরচ করতে হয় ৮৩.০৯ টাকা। কিন্তু সেদিক দিয়েও এগিয়ে রয়েছে চিনারা। কারণ মাত্র ৭.১১ ইউয়ান খরচ করেই এক আমেরিকান ডলার পেয়ে যান তাঁরা। তাই  চিনাদের অর্থনীতি ভারতের তুলনায় এখনও অনেক এগিয়ে।

তাই চিনাদের পিছু নিতে গেলে ভারতীয় অর্থনীতিকে এখনও অনেক লড়াই করতে হবে। চিনে যে  ইউয়ান পাওয়া যায় তার মধ্যে ছোট ইউয়ান গুলি হল ১, ৫, ১০, ২০।  অন্যদিকে যে মাঝারি ইউয়ান গুলি রয়েছে সেগুলি হল ১০০, ২০০, ৫০০। এছাড়াও চীনের সবচেয়ে বড় ইউয়ান হলো পাঁচ হাজার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৮ হাজার ৬৯১ টাকার সমান। পৃথিবীতে  খুব কম দেশই রয়েছে যেখানে এত বড় অংকের নোটের প্রচলন রয়েছে।

অন্যদিকে ভারতের ক্ষেত্রে এতোদিন পর্যন্ত দু’হাজার টাকার নোট ছিল সবচেয়ে বড়। কিন্তু  বর্তমানে তা ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। বর্তমানে ভারতে মোট ১০,২০,৫০,১০০,২০০ ও ৫০০ টাকার নোট রয়েছে। তবে এদেশে  দিন দিন ডিজিটাল কারেন্সির  ব্যবহার পরিমাণ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী দিনে ক্যাশলেস দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে ভারত।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *