প্রত্যেক পুরুষের, মেয়েদের এই ৬টি রোগ সম্পর্কে জানা উচিত! প্রতিটি বাবা, ভাই , স্বামীর এগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী!

প্রত্যেক পুরুষের, মেয়েদের এই ৬টি রোগ সম্পর্কে জানা উচিত! প্রতিটি বাবা, ভাই , স্বামীর এগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী!

প্রত্যেক পুরুষের, মেয়েদের এই ৬টি
রোগ সম্পর্কে জানা উচিত!

প্রতিটি বাবা, ভাই , স্বামীর
এগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী!

না জানলেই
মারাত্মক বিপদ!

মেয়েদের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে যা অনেকেই ধরতে পারেন না। যেমন, এন্ড্রমেট্রোসিস, পি সি ও এস, পেরিমেনোপোজ, এমেনোরিয়া, ডিসম্যানোরিয়া। মেয়েদের এই রোগগুলো সম্পর্কে মেয়েদের পাশাপাশি প্রত্যেকটি পুরুষের জানা উচিত। প্রতিটি বাবা, ভাই এবং স্বামীর এগুলো বোঝা উচিত। এই রোগগুলো সম্পর্কে বলার আগে, প্রথমেই বলি মেয়েদের যে প্রতি মাসে মাসে শরীর খারাপ হয়, সেটা একটা সাইকেল মেনে হয়ে থাকে। যাকে ইংরেজিতে ম্যানস্ট্রুয়াল সাইকেল বলা হয়। এই সময় মেয়েদের ফলিকল স্টুমিলেটিং হরমোন, লোটিনাইজিং হরমোন, ইস্ট্রোজেন হরমোন, প্রজেসটেরন হরমোন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। এইসব হরমোনে কোনভাবে গরমিল হলে এবং শারীরিক কিছু ত্রুটির কারণে মেয়েদের এই রোগগুলো দেখা যায়।

শুরুতেই কথা বলব মেয়েদের এন্ড্রমেট্রসিস নামক রোগটি নিয়ে। মেয়েদের জরায়ুর প্রাচীরে অ্যান্ড্রমেট্রিয়াল নামক কোষ থাকে। মেয়েদের শরীর খারাপের সময় এই কোষ ভেঙে শরীর খারাপের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু বেশ কিছু কারণে মেয়েদের এই অ্যাড্রোমেট্রোসিস কোষ জরায়ু প্রাচীর ছাড়াও অন্যান্য জায়গাতেও হতে পারে। আর এই কারণেই মেয়েদের শরীর খারাপের সময়, তলপেটে অনেক বেশি ব্যথা হয়। অনেক বেশি স্রাব যায়। এমনকি প্রস্রাব এবং পেটের বর্জ্য ত্যাগের সময় মেয়েদের প্রচণ্ড পরিমাণে ব্যথা পায়। অনেক মেয়েই এই সমস্যাটি ধরতে পারেনা। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন বিশেষ গাইনি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে ব্যথা নাশক ওষুধ এবং হরমোন থেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে।

এবার জানাব পি সি ও এস সম্পর্কে। যার পুরো নাম পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। এই সমস্যাটি থাকলে মেয়েদের ঠিক সময়ে শরীর খারাপ অর্থাৎ মাসিক হয় না। ডিম্বাণু ঠিকমত গঠিত হয় না। ডিম্বাণু গুলো সিস্ট এর আকার ধারণ করে। এই সময় টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে যাওয়ার কারণে মেয়েদের শরীরে মুখে লোম গজায়, ব্রণ হয় এবং কণ্ঠ ভারী হয়ে যায়। পি সি ও এস মেয়েদের ইনসুলিন রেসিসটেন্স দেখা যায়। ফলে ছেলেদের মতন মাথায় টাক পড়তে থাকে। এই সময় লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এবার কথা বলব ডিসমেনোরিয়া রোগটি সম্পর্কে। মেয়েদের শরীর খারাপের সময় প্রচন্ড ব্যথা হওয়াকেই ডিসমেনোরিয়া বলা হয়। এই ব্যথা মেয়েদের শরীর খারাপ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে দুই থেকে তিন দিন থাকে। বিশেষ করে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী মেয়েদের এই সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা যায়। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া বলা হয়। এই ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি থাকে যে ব্যথার কারণে মেয়েদের বমি চলে আসে। এমনকি দরদর করে ঘামও হতে থাকে। এই সময় মেয়েদের প্রস্টা গ্ল্যান্ড ইন সিক্রেশন বেড়ে যায়। মেয়েদের শরীরে নিচের লজ্জা স্থান সংকুচিত হয়ে যায়। যার ফলে শরীর খারাপের রক্ত বেরোনোর সময় মেয়েরা প্রচন্ড ব্যথা পায়।

এবার জানুন মেনোরেজিয়া সম্পর্কে। মেয়েদের শরীর খারাপের সময় অতিরিক্ত পরিমাণে স্রাব যাওয়াকে মেনোরেজিয়া বলা হয়। কোনও মেয়ে এই রোগে আক্রান্ত কিনা তা জানার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, শরীর খারাপের সময় একটি মেয়ে কতবার প্যাড পরিবর্তন করছে তা দেখে। যদি প্রতি এক বা দু ঘন্টায় একাধিক বার প্যাড পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, বা শরীর খারাপ এক সপ্তাহের চেয়েও বেশি দিন ধরে থাকে। তাহলে বুঝতে হবে সেই মেয়েটি মেনোরিজিয়াতে ভুগছে। এই রোগটি হলে মেয়েদের মধ্যে আয়রনের অভাব দেখা দেয়। ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, অনেক সময় মেয়েদের জরায়ুতে টিউমারের কারণে এই রোগটি দেখা যায়।

মেয়েদের আরো একটি বিশেষ রোগ হল এমেনোরিয়া। দেখা যায় কিছু মেয়েদের ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সেও স্রাব শুরু হয় না। বা কারো কারো ক্ষেত্রে তিন থেকে চার মাসের জন্য স্রাব যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। থাইরয়েড ও পিটুইটারি হরমোনের রোগ, ওজন কম হওয়া, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এসব কারণে রোগটি হতে পারে। আবার কখনো কখনো ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল ব্যবহারের ফলেও সাময়িক সাইডে ইফেক্ট হিসেবেও এই রোগটি হতে পারে।

এবার কথা বলব পেরিমেনোপজ নিয়ে। আমরা জানি একটা নির্দিষ্ট বয়স পর মেয়েদের শরীর খারাপ অর্থাৎ স্রাব যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেনোপোজ বলা হয়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে হরমোনের গন্ডগোলের কারণে স্বাভাবিকভাবে স্রাব বন্ধ হওয়ার দু থেকে আট বছর আগেই, মেয়েদের স্রাব যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মেয়েদের প্রচন্ড ঘাম হয়, ত্বক ও চুলের শুষ্কতা দেখা যায় ও ঘনঘন মুড সুইং হয়।

আশা করি মেয়েদের এই রোগগুলো সম্পর্কে আপনাদের একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হল। এই ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিন। সেই সঙ্গে আমাদের ফেসবুক পেজটিকে লাইক করে দিন, এতে করে এই ধরনের আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের কাছে খুব সহজে পৌঁছে দিতে পারব।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *