ফেসবুকে নিজের মুখ বদলের গেমস খেলছেন? সেটা আবার শেয়ারও করছেন নিজের প্রোফাইলে? জানেন কি বিপদ ডেকে আনছেন?

ফেসবুকে নিজের মুখ বদলের গেমস খেলছেন? সেটা আবার শেয়ারও করছেন নিজের প্রোফাইলে? জানেন কি বিপদ ডেকে আনছেন?

ফেসবুকে নিজের মুখ বদলের
গেমস খেলছেন?

সেটা আবার শেয়ারও করছেন
নিজের প্রোফাইলে?

আপনি কি জানেন?
এই গেমস খেলেই নিজের বিপদ
নিজে ডেকে আনছেন!

ভিডিওটি না টেনে সম্পূর্ন দেখুন,
তাহলেই বুঝতে পারবেন
কি ঘটছে আপনার সঙ্গে!

আজকাল ফেসবুকে ঢুকলেই একটি গেমস দেখা যাচ্ছে। যেটি চেনা অচেনা সমস্ত বন্ধু-বান্ধবরাই খেলছেন। অফিসের কলিগ থেকে শুরু করে পাড়ার কাকু কাকিমা, এমনকি বাড়ির কাজের মেয়েটিও, এমন কেউ নেই যে এই গেমসটি খেলননি। এই গেমসটি ফেসবুকে রীতিমতো মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে। ৮ থেকে ৮০ সকলেই এই গেমসে মজেছেন। আর এই গেমসটির নাম মাই পাজল। এই গেমসটির আকর্ষণ কোথায় জানেন? এই গেমসটির একটি অপশনে ক্লিক করলেই, বদলে যাচ্ছে আপনার সম্পূর্ণ চেহারা। এইআই প্রযুক্তি অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে অন্য লোকের চেহারায় আপনার মুখ বসে যাচ্ছে অনায়াসে। আর এখানেই মজা পাচ্ছেন ফেসবুক ইউজাররা। গেমসটি খেলতে সকলেই উঠে পড়ে লেগেছেন। এমনকি সেলিব্রেটিরাও বাদ পড়ছে না। গেমসটি খেলার সাথে সাথে শেয়ারও করছেন নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে। মজার চলে তো খেলেছেন, কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন এই গেমসটি আপনার জন্য আদৌ নিরাপদ কিনা? এই গেমসটি খেলার ফলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হল, সেই সম্পর্কে ধারণা আছে কি?

এই বিষয়ে এথিকাল হ্যাকার স্পেশালিস্টরা যা জানিয়েছেন শুনলে ভিমড়ি খাবেন। তাদের মতে, ফেসবুকে আসা এই গেমস একেবারেই নিরাপদ নয়। তাদের মতে এই গেমসটির সাহায্যে আমাদের ছবি, গোপন তথ্য পাসওয়ার্ড, পিন কোড হ্যাকারদের কাছে সহজে পৌঁছে যাচ্ছে। এই গেমসটি খেলে আমরা নিজেদের বিপদ নিজে ডেকে আনছি। তারা বলছেন, আজকাল বিভিন্ন অ্যাপসের পাসওয়ার্ড আমাদের মুখ। আমরা নিজেদের মুখ দেখিয়েই, বিভিন্ন apps থেকে শুরু করে, ফোনের পাসওয়ার্ড খুলে থাকি। এই দিক থেকে বিচার করলে আপনি ফেসবুকে যে গেমসটি খেলছেন, সেখানে আপনার পাসওয়ার্ড অর্থাৎ আপনার মুখটিই দিয়ে দিচ্ছেন। আপনি মজার ছলে এই অ্যাপসগুলোর, ফাঁদে পা দিয়ে আপনার মুখটি তাদেরকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। এই বিষয়টি আরো সহজ ভাবে বুঝিয়েছেন এথিক্যাল হ্যাকার স্পেশালিস্টরা। তারা বলছেন ফেসবুকে যেসব গেমস মানুষজন খেলছেন, সেই গেমসগুলি আদতে ফেসবুক তৈরি করেনি। সেই গেমসগুলো কারা তৈরি করেছে সেই বিষয়ে ফেসবুক আমাদের কোনও প্রকার তথ্য দেয় না। ফেসবুক ইউজাররা সাধারণত এই বিষয়টি ধরতে পারেন না। তাদের কাছে মনে হয় ফেসবুকের তরফ থেকেই হয়তো এই গেমসগুলো দেওয়া হয়। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, এই গেমসগুলো খেলার জন্য একটি লিংক দেওয়া হয়। যেখানে আমাদের কাছ থেকে নানারকম তথ্য চাওয়া হয়। যেখানে আমাদের পছন্দের খাবার, পছন্দের রং এমনকি আরো অনেক কিছুই থাকে। আমরাও সাত পাঁচ না ভেবে সে সমস্ত তথ্য ভাগ করে ফেলি। অনেক সময় আমাদের ফোন নাম্বার, আমাদের ইমেইল আইডি জানতে চাওয়া হয়। আমরা কোনও রকম আগে পিছে না ভেবে সমস্ত তথ্য দিয়ে দিই। আবার অনেক সময় আমাদেরকে বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোড করার কথাও বলা হয়। আমরা সেগুলোও করে থাকি। আর এভাবেই হ্যাকারদের সুযোগ করে দিই আমাদের বিপদে ফেলার। অর্থাৎ আমরা নিজেরাই অজান্তে হ্যাকারদের কাছে ধরা দিয়ে ফেলি। হ্যাকার স্পেশালিস্টরা এই গেমস গুলো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছেন “মাই পাজল” গেমসটি আপনার ছবি নিয়ে যে কেরামতি দেখাচ্ছে, তা আদতে আপনার পাসওয়ার্ড হাতানোর একটি বিশেষ কৌশল। তাই বিশেষজ্ঞরা নিজের ছবি অন্যের সঙ্গে ভাগ করতে বারণ করছেন। তাদের মতে এই ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ না করাই মঙ্গল। আশা করি এই প্রতিবেদনটি থেকে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। বুঝতে পেরেছেন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কিভাবে সাবধানে থাকতে হবে। আজকের এই ভিডিওটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিওটি শেয়ার করে দিন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *