ছেলে-বৌমার গোপন ভিডিও বানিয়ে শ্বশুর পাতলেন দুষ্টু ব্যবসা! এ কেমন শ্বশুর? ছেলের বৌয়ের সাথেই কি না নষ্টামি!

ছেলে-বৌমার গোপন ভিডিও বানিয়ে শ্বশুর পাতলেন দুষ্টু ব্যবসা! এ কেমন শ্বশুর? ছেলের বৌয়ের সাথেই কি না নষ্টামি!

ছেলে-বৌমার গোপন ভিডিও বানিয়ে
শ্বশুর পাতলেন দুষ্টু ব্যবসা!

এ কেমন শ্বশুর?
ছেলের বৌয়ের সাথেই কি না নষ্টামি!

গুণধর শ্বশুরের বিরুদ্ধে
হাই কোর্টের দ্বারস্থ পুত্র বধূ!

তারপর কি ঘটল?
দেখুন

দীর্ঘদিন ধরেই ছেলে এবং বৌমার ব্যক্তিগত সময় কাটানোর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে আসছেন শ্বশুর। রীতিমত ফোনের গ্যালারি ভর্তি করে ফেলেছেন। এরপর সেই সমস্ত ছবি এবং ভিডিও মোটা অঙ্কের বিনিময়ে দুষ্টু সাইটে বিক্রি করেছেন সেই গুণধর শ্বশুর মশাই। শুনলে আরো অবাক হবেন এই পুরো কর্মকাণ্ডটিতে শুধুমাত্র শ্বশুর নয়, জড়িত ছিলেন খোদ স্বামী এবং শাশুড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বশুড়বাড়ির চাপে পড়ে ভুক্তভুগী ওই বৌমা এমন দুষ্টু কাজের শিকার হয়ে আসছিলেন। অবশেষে সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায় ওই পুত্রবধূর। এরপর সরাসরি সাইবার থানায় গিয়ে, তিনি গোটা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সঙ্গে খুলে বলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার সঙ্গে সঙ্গে কি কি ঘটিয়েছে ।

ওই মহিলা রাজস্থানের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, তার শ্বশুরের হোটেলের ব্যবসা ছিল। কিন্তু আচমকা সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। শশুরের সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়ে উঠতে থাকে। আর তখনই শ্বশুর-শাশুড়ি এবং তার বরের নজর পড়ে তার দিকে। তাকে দিয়েই শুরু করেন দুষ্টু ব্যবসা। শশুর এবং শাশুড়ি জোর জবরদস্তি করে, তাদের ছেলেকে দিয়ে, ওই মহিলা অর্থাৎ পুত্র বধুটির সঙ্গে দুষ্টু কাজ করাত। ওই মহিলা রাজি না থাকা স্বত্বেও তাকে দিয়ে জোর করে এই সমস্ত কাজ করানো হতো। এরপর সেগুলো ভিডিও করে, বিভিন্ন দেশী, বিদেশি দুষ্টু ও নোংরা সাইটে বিক্রি করতেন তারা। আর এভাবেই মোটা অংক ইনকাম করে সংসার চালাচ্ছিলেন ওই পুত্রবধূর শশুর শাশুড়ি ও স্বামী। ইতিমধ্যেই মহিলার দাবির ভিত্তিতে এই বিষয়ে হাই কোর্টে মামলা চলছে।

মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারক এই সম্পূর্ণ ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ধরনের অপরাধ কখনোই ক্ষমার যোগ্য নয়। তিনি অপরাধীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শশুর, শাশুড়ি এবং স্বামী এদের তিনজনকেই কঠোরভাবে ভৎসনা করেছেন ওই বিচারপতি। সত্যিই এমন ঘটনা কোনও মেয়ের জীবনেই যেন না ঘটুক। ২০২৪ সালে এসেও কোন মহিলার সঙ্গে এমন কুরুচিকর আচরণ একেবারেই কাম্য নয়। প্রতিটি মহিলাকে এই বিষয়ে সরব হতে হবে। কারো সাথে যদি এমন অন্যায় ঘটে তাহলে আইনের সাহায্য নিতে হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *