Samsung ব্যবহারকারীদের সামনে বড় বিপদ! Samsung ফোনে লুকিয়ে আছে মারাত্মক ফাঁড়া!

Samsung ব্যবহারকারীদের সামনে বড় বিপদ! Samsung ফোনে লুকিয়ে আছে মারাত্মক ফাঁড়া!

Samsung ব্যবহারকারীদের
সামনে বড় বিপদ!

Samsung ফোনে লুকিয়ে আছে
মারাত্মক ফাঁড়া!

সতর্ক হওয়ার সরাসরি নির্দেশ দিলেন,
কেন্দ্র সরকার!

Samsung ইউজাররা
এক্ষুনি সাবধান হয়ে যান!

নাহলেই পস্তাবেন!

আপনি কি স্যামসাং মোবাইল ব্যবহার করছেন? তাহলে কোনোভাবেই এই খবরটি এড়িয়ে যাবেন না! যদি এড়িয়ে যান তাহলে আপনার এই একটি ভুলের জন্য সারাজীবন পস্তাবেন আর কপাল চাপড়াবেন। কারণ আপনার হাতে থাকা samsung ফোনটি এখন আর সুরক্ষিত নেই। Samsung ফোন নিয়ে মারাত্মক জালিয়াতি শুরু করেছে একদল হ্যাকার। আজকের প্রতিবেদনে জানাবো samsung ব্যবহারকারীরা কত বড় ঝুঁকির মুখে রয়েছেন!

এই মুহূর্তে স্যামসাং ব্যবহারকারীদের, ফোনের ভিতর থেকে সমস্ত গোপন তথ্য এক চুটকিতে হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। স্যামসাং ইউজাররা ভয়ংকর টার্গেটের মুখে রয়েছেন। হ্যাকাররা যে এত বড় সর্বনাশ ঘটাচ্ছে সেটা টেরই পাচ্ছেন না স্যামসাং ইউজাররা। সাইবার হানার জন্য স্যামসাং ফোনগুলোকে সব থেকে বেশি করে টার্গেট করছে হ্যাকাররা। অর্থাৎ হ্যাকারদের কাছে একেবারে খেলার পুতুল হয়ে উঠেছে samsung ফোন। আর স্যামসাং ফোনের এই বড়সড়ো ফাঁড়াটি হাতেনাতে ধরে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার।

কিভাবে এই সমস্যাটি ধরা পড়েছে?

Samsung ফোনের এই সমস্যাটিকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র সরকারের কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। তারাই স্যামসাং ফোন কতটা নিরাপদ, সেটার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে এই আতঙ্কটি সম্পর্ক জানতে পেরেছেন। তারা কেন্দ্র সরকারের কাছে samsung ফোন সম্পর্কে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। যেখানে কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম অর্থাৎ সি ই আর টি ইন্ডিয়া স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, samsung মোবাইলের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 11,12,13 এবং 14, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। স্যামসাংয়ের এই ভার্সনগুলোতে হ্যাকারদের থাবা বসানোর একাধিক সুযোগ রয়েছে। Samsung এর এই ভার্সনগুলো এতটাই দুর্বল, যে কোন অসাধু ব্যক্তি খুব সহজেই এই ফোনগুলোতে হানা দিতে পারে। হ্যাকাররা মোবাইল ফোন হ্যাক করার জন্য যে সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, সেগুলো samsung ফোনে সহজেই ঢুকিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

এর ফলে samsung ব্যবহারকারীদের কি কি ক্ষতি হতে পারে?

Samsung ফোন ব্যবহারকারীদের অনেক বড় বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যে সমস্ত স্যামসাং ব্যবহারকারীরা ফোন থেকেই আর্থিক লেনদেন করেন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে। ব্যবহারকারীর ফোনে যদি কোনও প্রকার সংবেদনশীল তথ্য বা ছবি থাকে সেগুলো অপরাধীদের কাছে চলে যেতে পারে। একই সঙ্গে অপরাধীরা, ব্যবহারকারীর ফোন থেকে সহজেই সিম নম্বর, পিন নম্বর, যেকোনো ধরনের ফটো, যে কোনো রকমের ফাইল সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করতে পারে। এমনকি হ্যাকাররা স্যামসাং ফোন ব্যবহারকারীদের ফোনের ভিতরে ঢুকে তাদের গোটা ফোনটাকেই মনিটরিং করতে পারবে। অর্থাৎ স্যামসাং ফোন ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বা প্রাইভেসি বলে আর কোনও কিছুই থাকবে না।

তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় কি? এই বিপদ থেকে বাঁচতে হলে কি স্যামসাং ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে হবে?

এক্ষেত্রে সাইবার বিশেষজ্ঞরা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যেগুলো অনুসরণ করলে এই বিপদ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। সাইবার স্পেশালিস্টরা জানাচ্ছেন, samsung ফোনের সমস্ত আপডেট যাচাই করা। Samsung ব্যবহারকারীদের ফোনে যত রকমের নিজস্ব অ্যাপস এবং থার্ড পার্টি অ্যাপস রয়েছে সেগুলোকে সবসময় আপডেটেট রাখা। মোবাইল বিশেষজ্ঞরা বলছেন আজকাল অনেক অসুরক্ষিত অ্যাপস বাজারে ঘুরছে। আমরা অনেক সময় হুযুগের বশে পড়ে সেই সমস্ত অ্যাপসগুলোকে বিনা যাচাইয়ে ফোনে ইন্সটল করে ফেলি। মোবাইলে কোনও অ্যাপস ইন্সটল করার আগে তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে তারপর ইন্সটল করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই samsung ব্যবহারকারীদের এই বড় বিপর্য থেকে বাঁচানোর জন্য samsung এর তরফে একটি বিশেষ সিকিউরিটি প্যাচ লঞ্চ করে করা হয়েছে। Samsung এর যে সমস্ত মডেলগুলোতে সাইবার হানার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই ফোনগুলোতে এই সিকিউরিটি প্যাচটি পাঠানো হয়েছে।