হাতের আঙ্গুলে রত্ন পড়ছেন? নিয়ম মেনে পড়ছেন তো? ভুলেও একসঙ্গে পড়বেন না এই রত্নগুলো! শনির অভিশাপে পস্তাবেন

হাতের আঙ্গুলে রত্ন পড়ছেন? নিয়ম মেনে পড়ছেন তো? ভুলেও একসঙ্গে পড়বেন না এই রত্নগুলো! শনির অভিশাপে পস্তাবেন

হাতের আঙ্গুলে রত্ন পড়ছেন?
নিয়ম মেনে পড়ছেন তো?

ভুলেও একসঙ্গে পড়বেন না
এই রত্নগুলো!

প্রবাল, পান্না, রুবি
বেনিয়মে পড়লেই মারাত্মক সর্বনাশ!

শনির অভিশাপে ছারখার
হয়ে যাবেন!

বানের জলে ভাসবে
সমস্ত টাকা পয়সা!

দেখুন কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র –

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে মানুষের জীবনে গ্রহ নক্ষত্রের এক বিরাট প্রভাব রয়েছে। গ্রহ নক্ষত্রের শুভ অশুভ প্রভাব সরাসরি মানুষের জীবনে পড়ে। কোন গ্রহ যদি শুভ প্রভাব বিস্তার করে তবে মানুষের জীবনে উন্নতি হয়, আবার কোন গ্রহ যদি অশুভ প্রভাব বিস্তার করে তবে মানুষের জীবনে বিনাশ ঘটতে শুরু করে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী অশুভ গ্রহগুলোকে নিজেদের বশে আনার বিশেষ টেকনিক রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো রত্নধারণ। এর মাধ্যমে মানুষ হাতের আঙ্গুলে বিভিন্ন রকমের রত্ন ধারণ করেন। আর এই প্রত্যেকটির রত্নের সঙ্গে গ্রহ নক্ষত্রের গভীর যোগ সূত্র থাকে। যেমন কোন ব্যক্তির যদি শনির সাড়ে সাতি কিংবা ধাইয়ার দশা চলে, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি শনিকে বশে আনা যায় সেই রকম রত্ন ধারণ করেন। ঠিক এভাবেই প্রত্যেকটি গ্রহ-নক্ষত্রকে সন্তুষ্ট করার জন্য আলাদা আলাদা রত্ন রয়েছে। অনেকেই নিজেদের মঙ্গল অমঙ্গলের কথা বিবেচনা করে হাতের আঙুলে রত্ন ধারণ করেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ না জেনে ভুলভাবে ভুলরত্ন ধারণ করেন। এভাবে নিয়ম না জেনে, ভুল রত্ন ধারণ করলে কত বড় সর্বনাশ হতে পারে তা ধারণারও বাইরে। তাই আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের অবশ্যই শোনা দরকার। এই প্রতিবেদনটি না টেনে সম্পূর্ণ দেখুন। এই প্রতিবেদনের সাহায্যে দেখে নিন, কোন রত্ন, কোন আঙ্গুলে কিভাবে পড়বেন এবং কোন কোন রত্ন একসঙ্গে পড়বেন না –

১, মানিক্য – যাদের সূর্য সংক্রান্ত দোষ রয়েছে তারা এই রত্ন ধারণ করে থাকেন। মানিক্য সবসময় অনামিকা অথবা তর্জমা আঙ্গুলে ধারণ করবেন। এই দুটো আঙ্গুল ছাড়া অন্য আঙ্গুলে ভুলেও ধারণ করবেন না। যারা মানিক্য ধারণ করবেন, তারা কখনোই মানিক্যের সঙ্গে নীলম, হীরা, ক্যাটস আই রত্ন ধারণ করবেন না। কারণ আপনি যদি মানিক্যের সঙ্গে এই রত্নগুলো মিলিয়ে পড়েন তাহলে আপনার শত্রু সংখ্যা বাড়বে। আপনার জন্য পদে পদে বিপদ অপেক্ষা করবে।

২, মুক্তো – যে সব ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এবং যাদের ঠান্ডা লাগার ধাঁচ রয়েছে তারা মুক্তো ধারণ করে থাকেন। মুক্ত সব সময় অনামিকা কিংবা কনিষ্ঠা আঙুলে ধারণ করবেন। মুক্তোর সঙ্গে হিরে, পান্না গোমেদ বা ক্যাটস আই পড়বেন না। তাহলেই আপনার মানসিক পরিস্থিতি আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

৩, প্রবাল – জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদের প্রবাল ধারণ করতে বলা হয়। তাছাড়া প্রবাল ধারণ করলে মৃত্যু ভয় কমে। কিন্তু প্রবাল কখনোই ভুল আঙুলে পড়বেন না। প্রবাল পড়ার জন্য নির্দিষ্ট আঙ্গুল রয়েছে। শাস্ত্রমতে প্রবাল সবসময় অনামিকা কিংবা তর্জনীতে ধারণ করতে হয়। আর যারা যারা প্রবাল ধারণ করবেন তারা ভুলেও পান্না, হিরে, গোমেদ, ক্যাটস আই ও নীলম একসঙ্গে পড়বেন না। যদি ভুল করে একসঙ্গে পড়েন তাহলে আপনাদের পথ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাবে।

৪, পান্না – মন ও মস্তিষ্ককে তাজা রাখতে পান্না ধারণ করা হয়। পান্না সব সময় কনিষ্ঠা বা মধ্যমাতে ধারণ করতে হয়। পান্নার সঙ্গে ভুল করেও পোখরাজ, প্রবাল মুক্তো পড়বেন না। একসঙ্গে পড়লে মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষয় ক্ষতি হয়।

৫, পোখরাজ – পোখরাজ সবসময় হাতের তর্জনী বা অনামিকা আঙ্গুলে ধারণ করবেন। পোখরাজের সঙ্গে হিরে, পান্না, নিলাম ও গোমেদ একসঙ্গে পড়বেন না। তাহলেই শনিদেবের রোষে পড়বেন। আর একবার শনিদেবের রোষে পড়লে আর রক্ষে নেই।

যদি জ্যোতিষ শাস্ত্র মেনে রত্ন ধারণ করেন তাহলে মাটি ছুঁয়ে সোনা ফলাতে পারবেন। আর যদি শাস্ত্রীয় নিয়ম অলংঘন করে রত্ন ধারণ করেন তাহলে গ্রহ দেবতার অভিশাপে গোটা জীবন পস্তাবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *