অযোধ্যায় রামচন্দ্রের মূর্তি তৈরি করছেন বাংলার মুসলিম বাবা ছেলে! দুজনেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা
অযোধ্যায় রামচন্দ্রের
মূর্তি তৈরি করছেন
বাংলার মুসলিম বাবা ছেলে!
/////
মোহাম্মদ জামাল ও মোহাম্মদ বিট্টু!
দুজনেই
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা!
ভগবান রামচন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠায়
দুজনেই দিন রাত কাজ করে চলেছেন!
নামাজ, কালাম ভুলে তারা,
রাম মূর্তি নিয়েই মগ্ন!
কিভাবে রামমূর্তি বানানোর
অর্ডার পেলেন তারা?
কোন যোগ্যতায়
নেওয়া হল এই দুজনকে?
মূর্তি বানিয়ে কত টাকা
পাবেন তারা?
এই দুজনের গল্প শুনলে
গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও
অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে একেবারে হৈচৈ কান্ড। এবার সেই হৈচৈ এর মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিলেন, পশ্চিমবাংলার দুই মুসলিম ব্যাক্তি! ভাবছেন,,, বাংলার দুই মুসলিম ব্যক্তি আবার কি কাণ্ড ঘটালো? আসলে এই দুই মুসলিম ব্যক্তিই, অযোধ্যার রামমন্দিরে, শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি তৈরি করছেন। এরা দুজনেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। দুজনে সম্পর্কে বাবা-ছেলে। বাবার নাম মোহাম্মদ জামালউদ্দিন, আর ছেলের নাম মোহাম্মদ বিট্টু। এই দুজনেই সযত্নে গড়ে তুলছেন ভগবান রামচন্দ্রের মূর্তি। এদের হাত ধরেই, ভগবান রামচন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। ভাবা যায় যেখানে চারিপাশে হিন্দু-মুসলিমের এত ভেদাভেদ, হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্ব, সেখানে অযোধ্যার রাম মন্দিরে এই সমস্ত বিভেদ ভুলে মিলে গেল, হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়। অযোধ্যার রাম মন্দিরে এসেই হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই! মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও তার ছেলে বিট্টু যেন প্রমাণ করে দিল ভগবান এক ও অবিনশ্বর। কিভাবে অযোধ্যার রাম মূর্তি নির্মাণের সঙ্গে জুড়ে গেলেন এই দুই ব্যক্তি?
ঘটনার সূত্রপাত এই দুজনের সামাজিক ফেসবুক একাউন্ট থেকে। মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন এবং তার ছেলে বিট্টু অনেক বছর ধরেই মূর্তি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। বাবা ছেলে মিলে, বহু বছর ধরে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজও করে আসছেন। অযোধ্যার রামচন্দ্রের মূর্তি নির্মানের আগেও তারা বেশ বড় বড় মূর্তি নির্মাণ করেছেন। দুজনেই এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তারা শুধু রামচন্দ্র নয়, এর আগেও মা দুর্গা এবং জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের নজরকাড়া মূর্তি তৈরি করেছেন। আর এই মুসলিম বাবা ছেলের হাতের কাজের অজস্র ছবি সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে। সেই ছবিগুলো রাম মন্দির ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে যায়। এরপর তাদের দুজনকে রাম মন্দিরের কমিটির পক্ষ থেকে ডাকা হয়। দুজনের হাতের কাজ এতটাই পছন্দ হয় যে, এদের দুজনকেই শ্রী রামচন্দ্রের মূর্তি বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এভাবেই অযোধ্যার রামমন্দিরের সাথে জুড়ে গেলেন বাংলার এই দুই শিল্পী।
তাদের তৈরি অযোধ্যার রামচন্দ্রের মূর্তিটি ঠিক কেমন হতে চলেছে?
তারা অযোধ্যায় ফাইবার দিয়ে শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি তৈরি করছেন। যা মাটির তৈরি মূর্তির থেকেও বহুগুণে শক্তিশালী হবে। মূর্তিটি এতটাই মজবুত হবে যে ঝড় জল বৃষ্টিতেও নষ্ট হবে না। মূর্তিটি বিশাল আকারের হবে। মূর্তিটির রঙ থেকে শুরু করে কারুকার্য সবই হবে নজরকাড়া, দুর্ধর্ষ। আর এই বিশাল আকার ফাইবারের মূর্তি তৈরি করতে খরচ পড়ছে ২.৮ লক্ষ টাকা। মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন এই মুহূর্তে, অযোধ্যার রাম মূর্তিটি তৈরি করতে তার সঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি টিম কাজ করে চলেছেন। উদ্বোধনের আগেই তারা এই মূর্তিটি সম্পন্ন করে ফেলবেন। মূর্তিটি বসানো হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের চত্বরের মাঝে। অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রবেশের সময় সকলেরই চোখে পড়বে এই মূর্তিটি।
Leave a Reply