বিশ্বের সব থেকে বড় বাড়ি! পাত্তাও পাবে না মুকেশ আম্বানির অ্যান্টিলিয়া! ইংল্যান্ডের বার্কিংহাম প্যালেসের চেয়ে চারগুণ বড়! বিশ্বের সব বাড়ি ভারতের এই রাজপ্রাসাদের কাছে আকারে চুনোপুঁটি! সবথেকে বড় এই রাজ প্রাসাদের মালিক কে জানেন! ভারতের কোথায় এই প্যালেস রয়েছে জানেন?
রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানিকে কে না চেনেন! তাঁর বিলাসবহুল জীবন যাপন বিখ্যাত গোটা পৃথিবীতে। মাড়োয়ারি এই ব্যবসায়ীর দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিলাসিতার ছাপ স্পষ্ট। তাই তাঁর বাড়ি অ্যান্টিলিয়াও কোন রাজ প্রাসাদের থেকে কম নয়! আম্বানিদের এই ২৭ তলা বাড়ির সৌন্দর্য মুগ্ধ করে আম জনতা থেকে সেলিব্রেটি প্রত্যেককেই।
ভারতীয় ধনকুবেরের এই বিলাসবহুল বাড়ির সৌন্দর্য হার মানায় ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বাকিংহাম প্যালেসকেও। কিন্তু জানলে অবাক হবেন আম্বানিদের এই বিলাসবহুল বাড়ি কেও টেক্কা দেবে ভারতের অন্য একটি রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি। এই প্রাসাদটি বাকিংহাম প্যালেসের চেয়েও চারগুণ বড়। তাই ৩,০৪,৯২,০০০ বর্গফুট বা প্রায় ৭০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই লক্ষী বিলাসের সামনে দাঁড়াতেই লজ্জা পাবে ইংল্যান্ডের বাকিংহাম প্যালেসও।
সুবিশাল এই রাজপ্রাসাদটি এতটাই জায়গা জুড়ে বিস্তৃত যে এখানে হেসে খেলে কয়েকটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডও তৈরি করা যেতে পারে। তাই মুকেশ আম্বানির বাড়ি যদি বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বা ব্যক্তিগত বাসভবনের খেতাব পেয়ে থাকে তাহলে এই লক্ষী বিলাসকে অনায়াসেই সবচেয়ে বড় বাসভবনের তকমা দেওয়া যায়। ভারতের বুকেই অবস্থিত এই প্রাসাদের মালিক সমরজিৎ গাইকওয়াড়। বিখ্যাত এই লক্ষ্মী বিলাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের রাজবংশ ভদোদরার গায়কওয়াড়।
এক সময় বরোদায় এই রাজ পরিবারের শাসন চলতো। এই গাইকওয়াড়রা ছিল হিন্দু মারাঠাদের একটি রাজবংশ। এরাই একসময় মারাঠা সাম্রাজ্য আর পশ্চিম ভারতের ভাদোদরাও শাসন করেছিল। বিষয় হল স্বাধীনতার পর আমাদের দেশ থেকে রাজতন্ত্র প্রথা বিলুপ্ত হলেও আজও এখানকার মানুষ তাদেরকে রাজপরিবারের সদস্য বলেই মনে করেন।
আগেই বলেছি এই লক্ষ্মী বিলাস প্রাসাদটি বিশাল জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই প্রাসাদে নিজস্ব একটি গলফ কোর্সও রয়েছে। এখনকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে একটি বড় বাগান আর বড় বড় ঝর্ণা। এছাড়াও এই রাজপ্রাসাদের অস্ত্রাগার এবং ভাস্কর্যগুলিও এখানকার পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এখানেই শেষ নয় সুবিশাল এই রাজপ্রাসাদে রয়েছে মতিবাগ ক্রিকেট গ্রাউন্ড। এছাড়াও আছে সুইমিং পুল, ক্লাব হাউস, জিম এবং গল্ফ কোর্সের মতো সুবিধা। অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই প্রাসাদে প্রেম রোগ, সর্দার গব্বর সিং, দিল হি তো হ্যায়, এবং গ্র্যান্ড মস্তি-র মতো বেশ কিছু সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে।
প্রাসাদটির একটি ছোট অংশ এখন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। এই বিয়ের সিজনে রাজকীয় বিয়ের জন্য কেউ চাইলে এই প্রাসাদটি বুক করতে পারেন। লক্ষ্মী বিলাস একটি ব্যক্তিগত প্রাসাদ, যা ঘুরে দেখতে পর্যটকদের খরচ হবে ১৫০ টাকা। এই প্রাসাদটি সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। লক্ষ্মী বিলাস প্যালেসে ছবি তোলা নিষিদ্ধ। এই প্রাসাদের অভ্যন্তরে অনেক ভবন রয়েছে। যেমন মতি বাগ প্রাসাদ, মকরপুরা প্রাসাদ, প্রতাপ বিলাস প্রাসাদ এবং মহারাজা ফতেহ সিং যাদুঘর।
Leave a Reply