না জানলেই চরম মিস! ভারতীয় রেল মানেই অজানা তথ্যের ভান্ডার! ভারতীয় রেলের রয়েছে এমনই ৫ সিক্রেট নিয়ম! দেশের ৯৯% মানুষের কাছেই তা অজানা! অজান্তে ভুল করে ফেলার আগে এখনই জানুন ভারতীয় রেলের এই সিক্রেট! এই ৫ নিয়ম জানলে লাভ হবে আপনারই!
ভারতীয় রেল বিশ্বের বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। বর্তমানে আমাদের দেশে রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৮ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। ভারতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ রেল যাত্রী সফর করেন ট্রেনে। তাই এমনি এমনিই ভারতীয় রেলকে আমাদের দেশের লাইফ লাইন বলা হয় না! সূচনাটা ইংরেজ দের হাত ধরে হলেও বিগত কয়েক বছরে আমূল পাল্টে গিয়েছে ভারতীয় রেল। যাত্রীদের সফর নিরাপদ এবং আরামদায়ক করে তুলতে ভারতীয় রেল জারি করেছে একগুচ্ছ নিয়ম। আসুন জানা যাক ভারতীয় রেলের এমনই ৫ টি সিক্রেট নিয়ম ।
এমার্জেন্সি অ্যালার্ম চেইন: অকারণে এমার্জেন্সি অ্যালার্ম চেইন টানলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনের প্রতিটি কোচেই এমার্জেন্সি অ্যালার্ম চেইন থাকলেও একমাত্র জরুরি অবস্থাতেই এই চেন টানা যায়। যেমন যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, মেডিকেল ইমার্জেন্সি, দুর্ঘটনা বা যদি কোনও শিশু, বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা সঙ্গী ট্রেন মিস করে থাকেন।
ট্রেনের খাবারের দাম: কমবেশি সকলেই জানেন প্রকৃত এমআরপি থেকে পণ্যগুলির দাম অনেক বেশি হয়। কিন্তু ট্রেনের নিয়ম আলাদা। গভর্নিং বডি ট্রেনের সমস্ত স্ন্যাকস, খাবার এবং পানীয়ের মতো সমস্ত খাবারের মূল্য নির্ধারণ করে রেখেছে। তাই কোনো বিক্রেতা এই নিয়ম না মানলে যাত্রীরা রিপোর্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মোটা টাকার জরিমানা সহ বাতিল হতে পারে লাইসেন্স।
ট্রেনের মিডল বার্থ: ট্রেনের যাত্রীরা দিনের বেলা মাঝের বার্থ ভাঁজ করতে পারেন না। কারণ রেলের নিয়ম অনুযায়ী এই সময় নীচের এবং উপরের বার্থগুলি যাত্রীরা বসার জন্য ব্যবহার করেন। তাই মিডল বার্থ বুক করা যাত্রীরা শুধুমাত্র রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বার্থ খুলে ঘুমোতে পারবেন। এই নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করলে নিচের বার্থের সহযাত্রীরা তাঁকে এই সিট বন্ধ করতে বলতে পারে।
রাত ১০ টার পর নির্দিষ্ট নিয়ম: দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রীদের সফর অনেক লম্বা হয়। তাই তাদের বিশ্রামের সময় অর্থাৎ রাত ১০ টার পরে কাউকে বিরক্ত করা যাবে। তাই এই নির্ধারিত সময়ের আগেই টিটিইকে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করতে হবে। ভারতীয় রেল সবসময় যাত্রীদের আরামদায়ক সফর নিশ্চিত করে। তাই রাত ১০ টার আগেই যাত্রীদের খাবার পরিবেশন করে দেওয়া হয়। আর রাত ১০ টার পর নাইট ল্যাম্প ছাড়া ট্রেনের কোচের সমস্ত লাইটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভ্রমণের সময় যাত্রা প্রসারিত করা যায়: শীত মানেই ঘুরতে যাওয়ার সিজন। অন্য যাত্রীদের অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অনেক যাত্রীই তাদের আসল গন্তব্যের জন্য রিজার্ভেশন পান না। তবে ভারতীয় রেলে রয়েছে এমন একটি নিয়ম যার মাধ্যমে কোনো যাত্রী যদি টিকিট পান তবে প্রকৃত গন্তব্যের আগে একটি গন্তব্যের জন্য একটি টিকিট বুক করতে পারেন। পরে তারা টিটিই-এর থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেই যাত্রার মেয়াদ বাড়াতে পারেন। বিনিময়ে, টিটিই আগের যাত্রার জন্য একটি টিকিট ইস্যু করতে পারেন। তবে এটি একটি অন্য আসনের জন্য হয়ে থাকে।
Leave a Reply