পশ্চিমবঙ্গ থেকে অযোধ্যার রাম মন্দির কিভাবে যাবেন? যাতায়াতে কত খরচ পড়বে? কোন রুটে গেলে কম লাগবে সময়?

পশ্চিমবঙ্গ থেকে অযোধ্যার রাম মন্দির কিভাবে যাবেন? যাতায়াতে কত খরচ পড়বে? কোন রুটে গেলে কম লাগবে সময়?

পশ্চিমবঙ্গ থেকে অযোধ্যার রাম মন্দির
কিভাবে যাবেন?

যাতায়াতে কত খরচ পড়বে?
কোন রুটে গেলে কম লাগবে সময়?
বাঁচানো যাবে টাকা!

কোন দিন বেরোলে
সুবিধা হতে পারে?

সেখানে গিয়ে
থাকবেনই বা কোথায়?

দেখে নিন পুরো রুটম্যাপ

পশ্চিমবঙ্গবাসীদের প্রথমেই জানিয়ে রাখি, অযোধ্যা যেতে চাইলে আপনি প্লেনে গাড়িতে কিংবা ট্রেনে, তিন ভাবেই যেতে পারবেন। এই তিন পথেই অযোধ্যা যাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। আর অযোধ্যা যাওয়ার তিনটি পথই খুব সহজ এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত।

প্লেনে করে যেতে চাইলে কিভাবে যাবেন?

যদি আপনি প্লেনে করে যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্লেন ধরতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে অযোধ্যার নিকটতম বিমানবন্দর গোরক্ষপুর এবং আমায়ুসি এই দুটো বিমানবন্দরের টিকিট কাটতে হবে। এবার আপনি যদি ভাবেন কোন উড়ান সংস্থা থেকে টিকিট কাটবেন, সেক্ষেত্রে আপনারা ইন্ডিগোকে বেছে নিতে পারেন। ইন্ডিগো স্বল্পদামের মধ্যে কলকাতা থেকে অযোধ্যা সফরের সুবন্দোবস্ত করেছে। এছাড়াও আপনারা এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান সংস্থা থেকেও স্বল্প দামে টিকিট পেয়ে যাবেন। টিকিটের দাম সর্বনিম্ন ৭০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আর কলকাতা বিমানবন্দর থেকে অযোধ্যার রাম মন্দির পৌঁছাতে কতক্ষন লাগবে, সেটা নির্ভর করছে উড়ান সংস্থার উপর। তবে ৫ ঘন্টার বেশিক্ষণ লাগবেনা।

ট্রেনে করে যেতে চাইলে কিভাবে যাবেন?

আপনাদের মধ্যে যারা ট্রেনে চেপে রাম মন্দির দর্শন করতে যেতে চান, তাদেরকে নামতে হবে অযোধ্যা অথবা ফইজাবাদ জংশনে। কারণ এই দুটো রেলস্টেশন অযোধ্যার রাম মন্দিরের একেবারেই নিকটে। কলকাতার হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনারা দুন এক্সপ্রেসে চেপে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন অযোধ্যায়। দুন এক্সপ্রেস এর এ সি টু টায়ারের ভাড়া পড়বে মাথাপিছু ১ হাজার ৭১০ টাকা, এসি থ্রি টায়ারের টিকিট ভাড়া পড়বে মাথাপিছু ১৮৯৫ টাকা। এছাড়াও খুব শীঘ্রই অযোধ্যার রাম মন্দির যাওয়ার জন্য, একটি বুলেট ট্রেন এবং একটি বন্দে ভারত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও শোনা গিয়েছে।

এবার দেখুন, চারচাকা কিংবা দুই চাকা নিয়ে কিভাবে সড়ক পথে অযোধ্যার রাম মন্দিরে যাবেন

কলকাতা থেকে সড়ক পথে অযোধ্যার রাম মন্দিরের দূরত্ব ৯৮০ কিলোমিটার। বাস, স্কর্পিও কিংবা বাইকে করে যদি আপনারা অযোধ্যা যেতে চান তাহলে আপনাদের একদিন লেগে যাবে। এক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন সংস্থার বাস পেয়ে যাবেন। যাতায়াতের খরচ পড়বে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। আর যদি আপনারা চান ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যাবেন সেটাও করতে পারেন।

কোন রুটে গেলে সব থেকে কম খরচ পড়বে?

পশ্চিমবঙ্গের একাধিক তীর্থযাত্রীরাই এই প্রশ্নটি করেছেন কোন রুটে গেলে কম খরচে রাম মন্দির দর্শন করা যাবে। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ কম বাজেট নিয়ে রাম মন্দির দর্শন করতে চান তাহলে বাসে করে রাম মন্দির দর্শন করতে যেতে পারেন। কারণ বাসে টাকা সবথেকে কম লাগবে। তবে আপনারা খরচ বাঁচাতে গেলে সময় বাঁচাতে পারবেন না। বাসে খরচ কম পরলেও সময় সবথেকে বেশি লাগবে।

কোন রুটে গেলে সবথেকে কম সময় লাগবে?

প্লেনে গেলে সবথেকে কম সময় লাগবে তবে খরচ বেশি পড়বে।

আর যদি আপনারা জানতে চান কোন রুট, কম খরচে কম সময়ে রাম মন্দির পৌঁছানো যাবে, তাহলে আমরা আপনাকে ট্রেনে করেই রাম মন্দির যাওয়ার পরামর্শ দেব। ট্রেনে চড়ে,, প্লেনের তুলনায় কম ভাড়ায় দ্রুত রাম মন্দিরে পৌঁছে যেতে পারবেন।

কোন দিনগুলোতে রওনা দিলে সবথেকে বেশি সুবিধা হতে পারে?

প্রথমেই বলব রাম মন্দির যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই। তবে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত রাম মন্দিরে দর্শনার্থী এবং তীর্থযাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক সবচেয়ে বেশি থাকবে । কারণ এই সময় রাম মন্দির সবেমাত্র উদ্বোধন হবে যার ফলে তীর্থযাত্রীদের ঢল সবচেয়ে বেশি থাকবে। তবে আপনারা যদি মনে করেন রাম মন্দিরের উদ্বোধন দর্শন করবেন, সেক্ষেত্রে আপনারা এখনো টিকিট কেটে পরিদর্শন করে আসতে পারেন। তবে মনে রাখবেন এই মুহূর্তে রাম মন্দির দর্শনের সমস্ত রুটেই ভাড়া বেশি পড়বে। আর যদি আপনারা একটু অফ সিজন অর্থাৎ রাম মন্দির উদ্বোধন হওয়ার চার-পাঁচ মাস পরে যান তাহলে ভাড়াও কিছুটা কম পাবেন এবং ভিড়ও তুলনামূলক কম থাকবে।

এবার দেখুন রাম মন্দির গিয়ে কোন হোটেলে থাকবেন কত টাকা খরচ পড়বে

অযোধ্যার রাম মন্দিরের আশেপাশে ইতিমধ্যেই একাধিক নতুন নতুন হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই যারা যারা রাম মন্দির দর্শন করতে যাবেন তারা টিকিট কেটে ফেলেছেন। বলতে গেলে রাম মন্দিরের আশেপাশের বেশিরভাগ হোটেলেরই ৮০ শতাংশ টিকিট বুকিং হয়ে রয়েছে। তবে আপনারা যারা পরবর্তীতে রাম মন্দিরে যাবেন তাদের জন্য জানিয়ে রাখি, রাম মন্দিরের আশেপাশের হোটেলগুলোর খরচ কেমন পড়বে। রাম মন্দির লাগোয়া একটি হোটেল রয়েছে, নাম হনুমানজি । এই হোটেলটিতে রুম পিছু এক রাতের জন্য খরচ পড়বে আট হাজার ষোল টাকা করে। এই হোটেলটির পরিবেশও যেমন ভালো তেমনি খাওয়া-দাওয়া মনের মতন পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আরো একটি হোটেল রয়েছে যার নাম নীলকন্ঠ। এই হোটেলটিতে এক রাতের ভাড়া পড়বে ১০ হাজার ৩২৫ টাকা। আপনি আরো ভালো হোটেল পেতে চাইলে আপনার খরচ আরো বেড়ে যাবে। তবে সার্ভে করে দেখা গিয়েছে রাম মন্দিরের আশেপাশে ৭০০০ টাকার নিচে কোন হোটেল নেই। তবে আশা করা হচ্ছে পরবর্তীতে রাম মন্দিরকে ঘিরে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলে হোটেল ভাড়া হয়তো কমতে পারে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে তীর্থযাত্রীরা মূলত দালাল ধরে সেখানে হোটেল বুক করছেন। কারণ বিগত কিছু মাস ধরে সেখানে কোন হোটেলই পাওয়া যাচ্ছে না সমস্ত হোটেলই বুকড হয়ে গিয়েছে। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি রাম মন্দির যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন এবং টিকিট না কাটা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই দ্রুত হোটেল বুক করে নিন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *