ভুলেও খাবেন না বাংলাদেশী ড্রাগন ফল! বাইরে থেকে দেখলে বুঝতেও পারবেন না ফলের নামে আসলে কি খাচ্ছেন
ভুলেও খাবেন না
বাংলাদেশী ড্রাগন ফল!
বাইরে থেকে দেখলে বুঝতেও পারবেন না
ফলের নামে আসলে কি খাচ্ছেন!
বাংলাদেশ থেকে আসা ড্রাগন ফলে
লুকিয়ে আছে সাংঘাতিক বিপদ!
ড্রাগন ফলের নামে
আপনি কী মুখে তুলছেন জানেন?
শুনলে, ড্রাগন ফল আর কোনও দিন
ছুঁয়েও দেখবেন না!
বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে ড্রাগন ফল নিয়ে জালিয়াতি শুরু হয়েছে। এটা এক প্রকার ভয়ংকর জালিয়াতি। এই জালিয়াতির কারণে বহু মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। একশ্রেণীর বিবেকহীন ব্যবসায়ীরা মুনাফার লোভে, ড্রাগন ফলের নামে বিষ বিক্রি করতে শুরু করছেন। ড্রাগন ফল, স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে, যে কারণে এই ফলের চাহিদাও তুঙ্গে থাকে। বাংলাদেশে তো এই ফলের চাহিদা রয়েছে সেই সঙ্গে ভারতেও রয়েছে। মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে ভারতেও ড্রাগন ফল আমদানি করা হয়। মানুষের এই চাহিদাকে নোংরা ভাবে ব্যবহার করছে একদল ব্যবসায়ী।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে, বাংলাদেশের বাজারে বড় আকারের ড্রাগন ফল পাওয়া যাচ্ছে। যা দেখতে সাধারণ ড্রাগন ফলের তুলনায় অনেকটাই বড়। এই ড্রাগন ফলটি দেখা মাত্রই আপনার সন্দেহ হবে। সাধারণ ড্রাগন ফলের ওজন যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম, সেখানে এই বড় বড় ড্রাগন ফলগুলোর ওজন হচ্ছে ৯০০ গ্রাম। আর এমনই বিশাল বিশাল ড্রাগন ফলে ছেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের গোটা বাজার। শুধু ওজনের দিক থেকেই এগুলো আজব দেখতে এমনটা নয়, রঙের দিক থেকেও এগুলি দেখতে ভারী অদ্ভুত! সাধারণত ড্রাগন ফলের রং লাল হয়ে থাকে। তবে এই বড় আকৃতির ড্রাগন ফলগুলির রং লাল তো নয় বরং সবুজ রঙের। আরে ড্রাগন ফলটি কাটার পর দেখা যাচ্ছে ভেতরে ফলের পরিমাণটা কম, তবে বাইরের যে খোসা তার আস্তরণটা মোটা। ইতিমধ্যেই এই ড্রাগন ফলগুলির পুষ্টিগুণ নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, একশ্রেণীর অসাধু ড্রাগন চাষিরা ড্রাগন টনিক নামক একটি রাসায়নিক স্প্রে করে ড্রাগন ফলগুলোকে এভাবে বড় করে তুলছেন। এই ড্রাগন টনিক রাসায়নিক স্প্রেটি স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এই টনিক টি স্প্রে করলে ড্রাগন ফল আকারে অনেক বড় হয়ে যায়। তবে এই ধরনের ড্রাগন ফলগুলি খেলে শরীরে ক্যান্সারের মতন রোগ বাসা বাঁধতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন ড্রাগন ফল হার্টের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু আপনি যদি এই বিষাক্ত ড্রাগন ফলগুলি দিনের পর দিন খেয়ে যান, তাহলে হার্টের তো কোনো ভালো হবেই না, বরং হার্ট এটাকে ঝুঁকি ১০০ গুণ বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের এই বিষাক্ত ড্রাগন ফলগুলো যে কোন মুহূর্তে ভারতের বাজারেও ছেয়ে যেতে পারে। তাই বাংলাদেশিদের সাথে সাথে ভারতীয়দেরও অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের এই বিষাক্ত ড্রাগন ফলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছেন বেশ কিছু অসাধু চাষী ড্রাগন ফলের কুড়ি কেটে, ড্রাগন ফলের ভেতরে বিষাক্ত ড্রাগন টনিক ব্যবহার করছেন। এই টনিক দিয়ে ড্রাগন ফলকে আকারে ওজনে আরো অনেক বেশি বড় করে তুলছেন। আর এই বড় বড় ড্রাগন ফল ক্রেতাদের দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তর থেকে ড্রাগন চাষীদের সতর্ক করা হয়েছে, এই ধরনের কীটনাশক যাতে আর কখনো ব্যবহার না করা হয়। যদি কোন ড্রাগন চাষী এই ধরনের কীটনাশক কিংবা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সে সমস্ত চাষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।
Leave a Reply