৮ এমার্জেন্সি ওষুধ

বিপদ যেন সারাক্ষণ ওঁৎ পেতে রয়েছে! মাঝ রাতে কিংবা কোথাও ঘুরতে গিয়ে বিপদে পড়তে পারেন যে কেউ!  তাই  প্রাণ বাঁচাতে সঙ্গে রাখুন এই ৮ এমার্জেন্সি ওষুধ। এই ৮ এমার্জেন্সি ওষুধ সম্পর্কে কি বলছেন চিকিৎসকরা? আসুন জানা যাক বিস্তারিত।

বিপদ কখনও বলে আসে না। তাই মাঝরাতে কিংবা ভয়ানক কোনো বিপদ থেকে বাঁচতে সকলের বাড়িতেই কিছু এমার্জেন্সি ওষুধ রাখা উচিত।  ডাক্তারদের মতে সুস্থ বা অসুস্থ যে কোন মানুষের কাছেই এই আট ইমারজেন্সি ওষুধ থাকা চাই। যা বিপদের সময় প্রাণ বাঁচাতেও  সাহায্য করে।

সিলভার সালফাডাইজিন ক্রিম (Silver Sulfadiazine Cream)

কোন জায়গায় হঠাৎ করে পুড়ে গেলে টানা ১০ মিনিট সেখানে জল ঢালার পর এই সালফারাইজন ক্রিম লাগিয়ে দিলেই অনেকটাই আরাম পাবেন। এই সিলভার সালফাডাইজিন ক্রিম এক ধরনের ট্রপিকাল অ্যান্টিবায়োটিক। তবে এই ওষুধে ক্ষত সারতে দেরি হতে পারে মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। এই ওষুধটিকে  ক্রিম বা জলীয় সাসপেনশন হিসেবে সরবরাহ করা হয়।

প্রভিডিন ওয়েনমেন্ট (Povidone-lodine Ointment)

প্রভিডেন্ট অয়েনমেন্ট মূলত একটি অ্যান্টিসেপটিক মলম।  হঠাৎ করে কোথাও কেটে গেলে সেই কাটা ঘা শুকাতে এই মলম অত্যন্ত কার্যকরী।

ট্যাবলেট ড্রোটাভেরিন ৪০ এমজি (Tab Drotaverine 40 mg)

হঠাৎ করে পেট ব্যথা হলে এই ওষুধ অত্যন্ত উপকারে লাগে। মেয়েদের মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হলেও এই ওষুধ অত্যন্ত উপকারে আসে। যা ব্যথা কমাতে খুবই দ্রুত কাজ করে।

প্যারাসিটামল ৬৫০ (Paracetamol 650 mg)

এই ওষুধ ওষুধের নাম কমবেশি সকলেই জানেন। মূলত জ্বরের ওষুধ বলেই পরিচিত এই ট্যাবলেট। কারও গায়ে হালকা ব্যথা কিংবা জ্বর এলেই এই ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

আন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট (Antihistamine Tablet)

গায়ে হঠাৎ করেই প্রচন্ড এলার্জি দেখা গেলে কিংবা চুলকালে, সেক্ষেত্রে একেবারে মোক্ষম দাওয়াই এই আন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট।

ওআরএস (ORS)

ওআরএস নামটাও সকলেই কম বেশি শুনেছেন। যদি কারও পাতলা পায়খানা হয় তাহলে সকলেই এই ওআরএস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ পাতলা পায়খানা হওয়ার ফলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল বেরিয়ে যায়। এক্ষেত্রে জলের সাথে ওআরএস গুলে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে শরীরে মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ হয়। বর্তমানে ওআরএস পাউডার ছাড়াও ওআরএস লিকুইট-ও  পাওয়া যায়।

ট্যাবলেট ওমেলরাজোল (Omeprazole)

যদি কারও  হঠাৎ করে বুক জ্বালা বা গ্যাস অম্বলের মত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই ট্যাবলেট খেতে পারেন। এছাড়া লিকুইড অ্যান্টাসিডও  খেতে পারেন আপনারা।

ট্যাবলেট অ্যাসপিরিন (Aspirin)

বাড়িতে যদি কোন হার্টের রোগী থাকে তাহলে এই ট্যাবলেট অত্যন্ত কাজে দেবে। যদি মাঝরাতে হঠাৎ করে  কোনোরোগীর বুকে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয় আর সেই ব্যথা যদি অনেকক্ষণ স্থায়ী হয় এবং বুক থেকে সেই ব্যথা যদি আস্তে আস্তে পিঠের দিক হয়ে মুখের চোয়ালের দিকে চলে আসছে তাহলে তাকে ৩০০ এমজি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট খাইয়ে দিতে পারেন।

তবে খেয়াল রাখবেন এই ওষুধগুলি বিপদের সময় কাজে লাগলেও যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তা না হলে হিতে বিপরীত  হতে পারে। আর  যদি যে কোন রোগীর  সমস্যা  এই সমস্ত ওষুধে না কমে তাহলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *