ভারতের সবচেয়ে বড়লোক এই ৫ কৃষক! এদের ধারে কাছে নেই আম্বানি-আদানি, আলাদাই ব্যাপার এদের

ভারতের সবচেয়ে বড়লোক এই ৫ কৃষক! এদের ধারে কাছে নেই আম্বানি-আদানি, আলাদাই ব্যাপার এদের

ভারতের সবচেয়ে বড়লোক
এই ৫ কৃষক!

এদের ধারে কাছে নেই
আম্বানি-আদানি!

এদের গাড়ি বাড়ি অট্টালিকা দেখলে,
ইলন মাস্ক, জুকরবার্গও লজ্জা পাবে!

মাসে মাসে বিদেশ ভ্রমণ,
বছরে মোটা অঙ্কের আয়,
আলাদাই ব্যাপার ৫ কৃষকের!

তবে এক নম্বরে যিনি রয়েছেন,
তার কান্ড শুনলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না!

কৃষক বললেই সবার প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে, খেতে, খামারে কর্মরত এক মানুষের মুখ। যার গায়ে মলীন পোশাক, কাদা মাখা চেহারা, হাতে কাস্তে। আর কৃষক মানেই সে হবে দরিদ্র। তিনি টালির চালের ঘরে থাকবেন। তার ব্যাংক ব্যালেন্স হবে সামান্য। কিন্তু আপনি কি এমন কৃষক দেখেছেন, যারা গরীব তো নন বরং কোটি কোটি টাকার মালিক। যাদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বড় বড় নেতা মন্ত্রী থেকে কর্পোরেট কর্মচারীদের থেকেও দশ গুণ বেশি। যারা যাতায়াত করেন বিএমডব্লিউ, অডির মতন বড় বড় গাড়ি করে। কি? বিশ্বাস হচ্ছে না তো! শুনতে অবাক লাগলো ভারতেই আছে এমনই ৫ কোটিপতি কৃষক। যারা নামে কৃষক হলে কি হবে, তাদের আয় উন্নতি বড় বড় রাজা বাদশাদের থেকেও কম না। কৃষক মানেই যে মধ্যবিত্ত হতে হবে, এদের দেখলে আপনার সেই ধারণা ঘুচে যাবে। চিনে রাখুন এই ৫ কৃষককে –

তালিকার প্রথমেই যিনি আছেন তার নাম রামশরণ ভার্মা। ভারতের পাঁচ জন ধনী কৃষকের মধ্যে ইনি অন্যতম। রামশরণ উত্তর প্রদেশের দৌলতপুরের বাসিন্দা। কৃষি কাজ করেও যে কোটিপতি হওয়া যায় সেটাই দেখিয়ে দিয়েছেন এই বান্দা। মাত্র ৫ একোর জমি দিয়ে চাষাবাদের কাজ শুরু করেছিলেন। আর বর্তমানে তার ২০০ একর জমি রয়েছে। ভাবতে পারছেন?! ,,,, কোথা থেকে শুরু করে আজ তিনি কোথায় এসেছেন! এই মানুষটি ২০১৯ সালে কৃষি কাজে সফল ব্যক্তি হিসেবে নরেন্দ্র মোদির হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান। আজ তার বাড়ি, গাড়ি, নেট ওয়ার্থ দেখলে লজ্জায় পড়ে যাবে বড় বড় কোটিপতিরাও।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রমেশ চৌধুরী। জয়পুরের বাসিন্দা। বাংলার কৃষকেরা যেখানে কৃষিকাজে সফল না হয়ে নিজে নিজেই মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন,,,,,,, সেখানে রমেশ চৌধুরী কৃষি কাজে কিভাবে সফল হওয়া যায় সেই দৃষ্টান্তই প্রতিস্থাপন করে চলেছেন। শুধুমাত্র কৃষি কাজ করেই রমেশ বাবু মাসে মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকা কামাচ্ছেন। বর্তমানে তার তিনটি পলি হাউস এবং একটি সুবিশাল গ্রিনহাউস রয়েছে। যা দেখলে আপনাদের মাথা ঘুরিয়ে যাবে। রমেশ বাবুর পলি হাউসগুলোতে জন্মাচ্ছে বিদেশি টমেটো এবং শসা। সেই সমস্ত টমেটো এবং শসার গুণগত মানুষ যথেষ্ট ভালো। বছরের রমেশ বাবুর ইনকাম ২ কোটি ছাড়িয়ে যায়।

তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন প্রমোদ গৌতম। ইনি প্রথমদিকে কৃষক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার। মোটা অংকের মাইনে পেতেন। কিন্তু পরবর্তীতে কৃষি কাজের দিকেই চলে আসেন। ছোট থেকেই কৃষি কাজের প্রতি তার একটা আলাদাই ঝোঁক ছিল। প্রমোদ গৌতম ভারতের প্রথম কৃষক যিনি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কমলালেবু, আঙ্গুর, কলা, চিনেবাদাম, হলুদ চাষ করে তাক লাগিয়েছিলেন। তিনি একটি ডালের মিলও তৈরি করেছিলেন। যেখানে ডাল প্রসেসিং এবং পালিশ করা হয়। কৃষি কাজে কিভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হয় সেটা প্রমোদ গৌতমের কাছ থেকেই শেখা যায়।

ভারতের চার নম্বর কোটিপতি কৃষক শচীন কালে। ইনি ছত্তিশ গড়ের বাসিন্দা। এই কৃষকের ঘটনা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। কৃষিকাজকে কিভাবে কোম্পানিতে পরিণত করা যায় সেটাই করে দেখিয়েছেন এই ব্যক্তি। শচীন বাবু ২০১৪ সালে মোটা অংকের চাকরি ছেড়ে একটি কোম্পানি গঠন করেন। তার কোম্পানিটির নাম ইনোভেটিভ এগ্রিলাইফ সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড। এই কোম্পানিটির কাজ কি জানেন? এই কোম্পানিটির কাজ চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের একজোট করা। কৃষকদের উন্নত ফার্মিং এর জন্য শিক্ষা দেওয়া। কৃষকদের বেশি ভালো করে চাষাবাদ করার জন্য জ্ঞানীগুণী গড়ে তোলা । কিভাবে বিভিন্ন বিদেশি ফল, ফুল বীজ দেশের মাটিতে চাষ করা যায় সেগুলোই শেখায়। শচীন বাবুর বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২.৫ কোটি টাকার কাছাকাছি।

ভারতের ৫ নম্বর কোটিপতি কৃষকের তালিকায় রয়েছে হরিশ ধনদেব। ইনি রাজস্থানের বাসিন্দা। রাজস্থানে হরিশদেবকে সকলেই এক নামে চেনেন। ইনিও ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজে এসেছিলেন। ইনি ভারতের প্রথম কৃষক যিনি ঘৃতকুমারী চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। বর্তমানে ১০০ একর জমিতে অ্যালোভেরা চাষ করে বছরে বছরে ২ কোটি টাকা কামাচ্ছেন এই ব্যক্তি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *