গত ৯ বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে অভিষেকের সম্পত্তির পরিমাণ! এবার ভাইপোর সম্পত্তির দিকে নজর পড়লো অমৃতা সিনহার!

গত ৯ বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে অভিষেকের সম্পত্তির পরিমাণ! এবার ভাইপোর সম্পত্তির দিকে নজর পড়লো অমৃতা সিনহার!

গত ৯ বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে
অভিষেকের সম্পত্তির পরিমাণ!

এবার ভাইপোর সম্পত্তির দিকে
নজর পড়লো অমৃতা সিনহার!

সাংসদ পদে বসতে না বসতেই
বানিয়েছেন বাড়ি, কিনেছেন গাড়ি,
ফুলিয়েছেন ব্যাংক ব্যালেন্স!

কিভাবে বেড়ে গেলে
অভিষেকের সম্পত্তির পরিমাণ?

এবার অভিষেক ব্যানার্জিকে টার্গেট করলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃত সিনহা। যাকে ইতিমধ্যেই বাংলার বাঘিনী বলে মনে করছেন অনেকেই। রাজ্যে ঘটে চলা একের পর এক বড় বড় দুর্নীতিগুলোকে অমৃতা সিনহাই হাতে নাতে দমন করে চলেছেন। এবার তিনি রাজ্যের ভাইপোকে হাতে নাতে ধরতে চলেছেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রথম থেকেই অভিষেক ব্যানার্জীর সম্পত্তি তালিকা নিয়ে অবাক হয়ে আসছে। একসময় তিনি অবাক হয়েছিলেন , ইডি আধিকারিকেরা তাকে অভিষেক ব্যানার্জীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখাতে পারেননি। সম্প্রতি অভিষেক ব্যানার্জীর সম্পত্তির বহর দেখে তার চোখ কপালে উঠেছে। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে, লিপস এন্ড বাউন্স মামলায় জমা পরা নথিপত্র থেকে। যে সমস্ত নথিপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে ২০১৪ সালের পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে অভিষেক ব্যানার্জির সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালেই অভিষেক ব্যানার্জি সাংসদ পদে বসেছিলেন। আর এর পর থেকেই আকাশছোঁয়া সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন রাজ্যের ভাইপো। অথচ ২০১৪ সালের আগে অভিষেক ব্যানার্জীর সম্পত্তির পরিমাণ অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। আর এখানে পশু তুলছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা! তিনি বলছেন ২০১৪ সালের পরেই কিভাবে এত সম্পত্তি বেড়ে গেল? কোথা থেকে অভিষেক ব্যানার্জি এত সম্পত্তি উপার্জন করলেন? এতদিন বিরোধীরা এই সমস্ত প্রশ্ন তুললেও, এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলার পরেই, অভিষেক ব্যানার্জির সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর গুঞ্জন। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ২০১৪ সালের পর অভিষেক ব্যানার্জি সম্পত্তির পরিমাণ কিভাবে এবং কি পরিমান বাড়লো?

প্রথমেই জানাবো ২০১৪ সালে অভিষেক ব্যানার্জি যখন প্রথমবার সাংসদ পদে বসেন তখন তার সম্পত্তি কত ছিল সেই সম্পর্কে। ২০১৪ সালে সাংসদ হওয়ার সময়, অভিষেক ব্যানার্জীর একাউন্টে ছিল ৩৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৬০০ টাকা। সেই সময় তার নামে ব্যাংক একাউন্ট, অলংকার সমেত মোট সম্পত্তি ছিল, ২৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৫০ টাকা। শুধু তার নামেই নয়, তার স্ত্রী রুজিরা ব্যানার্জীর নামেও ছিল ৫৪ লক্ষ ৮ হাজার ৪৯৩ টাকা। আর তার মেয়ের নামে ছিল ১০ লক্ষ ৯ হাজার ২৯ টাকা। সেই সময় অভিষেক ব্যানার্জি তার হলফ নামায় জানিয়েছিলেন তার নামে কলকাতায় ১৫৮৮ স্কোয়ার ফুট এলাকায় ১১৭৫ স্কয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এতো গেল ২০১৪ সালে সাংসদ হওয়ার সময়, অভিষেক ব্যানার্জি সম্পত্তির পরিমাণ কত ছিল তার হিসেব। এবার দেখুন ২০১৪ সালের পর থেকে অভিষেক ব্যানার্জির সম্পত্তির পরিমাণ কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে-

তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৪ সালে সাংসদ হওয়ার পর, অভিষেক ব্যানার্জীর সম্পত্তির পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ২০১৯ সালেও ডায়মন্ড হারবার লোকসভা থেকে দ্বিতীয় বার সাংসদ পদ অর্জন করেন অভিষেক ব্যানার্জি। সেই সময় তিনি, হলফনামায় যে পরিমাণ সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছেন, তা ২০১৪ সালের হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পত্তির চেয়েও বহু গুণ বেশি। ২০১৯ সালের হলফনামায় অভিষেক ব্যানার্জীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য সম্পত্তির মোট পরিমাণ ছিল ৭১ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৩৯ টাকা। তার স্ত্রী রুজিরা ব্যানার্জীর নামে ছিল ৩৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯১৫ টাকা। আর তার মেয়ের নামে ছিল ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৬৪ টাকা।

অভিষেক ব্যানার্জীর এই কুবেরের সম্পত্তি দেখে সত্যিই চমকে গিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতস সিনহা। তিনি গোয়েন্দা আধিকারিকদের অভিষেক ব্যানার্জীর সম্পত্তি তালিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জীর কোথায় কোথায়, কি কি পরিমান সম্পত্তি রয়েছে এবং কোন পথে সেগুলো উপার্জন করা হয়েছে সেই সমস্ত তথ্য আদালতকে জমা দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *