স্ত্রীর কথা শুনে চললেই কমে যাবে স্বামীদের নানা রোগের ঝুঁকি! গবেষণায় বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

স্ত্রীর কথা শুনে চললেই কমে যাবে স্বামীদের নানা রোগের ঝুঁকি! গবেষণায় বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

স্ত্রীর কথা শুনে চললেই কমে যাবে
স্বামীদের নানা রোগের ঝুঁকি!

বউয়ের কথায় ওঠবস,
বউয়ের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন,

এই কাজগুলো করলেই,
লাফিয়ে বাড়বে স্বামীর আয়ু!

শুনতে অবাক লাগলেও, একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে এমনই চমকপ্রদ তথ্য। যেসব পুরুষেরা তাদের স্ত্রীর কথামতো চলেন, তারাই নাকি স্বাস্থ্যবান ও দীর্ঘজীবী হন। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি বা এমএসইউ এর সমাজবিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে করা একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা পুরুষদের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম। এমন পুরুষেরা দীর্ঘজীবী হন অন্যদের চেয়েও বেশি। স্বামীর প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন করতে গিয়ে অনেক নারীই বেশ কঠোর হয়ে পড়েন। স্বামী কোথায় যাচ্ছেন, কার সাথে মিশছেন, কি কি কথা বলছেন ইত্যাদি বিষয়ে নজরদারি রাখা শুরু করেন। তবে সংসার চালানো থেকে শুরু করে সন্তান লালন পালন এমনকি স্বামীর দেখ ভালের ক্ষেত্রে, স্ত্রীরা স্বামীর তুলনায় অনেকটাই বেশি দায়িত্বশীল হন। তবুও ভালোবাসা ও সংসার টিকিয়ে রাখতে সেই সাথেই, স্ত্রীর মন রাখতে স্বামীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মত্যাগ করতেই হয়। তবে এইসব করলেও, কোনও পুরুষই চান না স্ত্রীর কোণঠাসা হয়ে জীবন কাটাতে অর্থাৎ স্ত্রীর হাতের মুঠোয় নিজেকে বিলিয়ে দিতে।

তবে পুরুষ যদি তার স্ত্রীর কথা মেনে চলেন তাহলে সেই পুরুষ অনেক বেশি সুস্থ থাকবেন এমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা। যেসব পুরুষেরা তাদের স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে বা বশে থাকেন তারাই নাকি অন্যান্য পুরুষদের থেকেও অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান এবং দীর্ঘজীবী হন। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণা থেকে এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে। এই গবেষণার প্রধান গবেষক হুই লিও বলেন

“”” বেশিরভাগ স্ত্রীই তার স্বামীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান। তারা নিয়মিত স্বামীর স্বাস্থ্যের নজরদারি করেন। স্বামীর সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার দিকে স্ত্রীরা অনেক বেশি সচেতন থাকেন। স্বামী কোন কাজটি করলে ভালো থাকবে কোন কাজটি করলে মন্দ থাকবে সেটি স্ত্রীরাই সবথেকে বেশি বোঝেন। ”””

হই লিও আরো বলেন, স্ত্রীরা স্বামীর প্রতি যত্নশীল হন বলেই স্বামীরা সুস্থ এবং সবল থাকেন। যদিও অনেক স্বামীই স্ত্রীর এমন অনুশাসন পছন্দ করেন না। তবে এতে কিন্তু পুরুষেরই লাভ।

এই গবেষণাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭ থেকে ৮৫ বছর বয়সী প্রায় এক হাজার জন বিবাহিত ব্যক্তির উপর করা হয়েছে। এই গবেষণাতে দেখা গিয়েছে যেসব স্বামীরা স্ত্রীর কথা শোনেন না, স্ত্রীর অবাধ্য তাদের শরীরে রোগের সংখ্যা অনেক বেশি। অন্যদিকে যেসব স্বামীরা স্ত্রীর কথা শোনেন স্ত্রীর আদর যত্নকে গ্রহণ করেন তাদের শরীরে রোগবালাইয়ের উপদ্রব কম। এমনকি তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কম পাওয়া গিয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *