শনি, রাহু, কেতুকে বশে আনতে চান? তাহলে আজ থেকেই এই ৯টি গাছকে পুজো করুন, কেটে যাবে জন্ম কুণ্ডলীর যাবতীয় দোষ

শনি, রাহু, কেতুকে বশে আনতে চান? তাহলে আজ থেকেই এই ৯টি গাছকে পুজো করুন, কেটে যাবে জন্ম কুণ্ডলীর যাবতীয় দোষ

শনি, রাহু, কেতুকে বশে আনতে চান? তাহলে আজ থেকেই এই ৯টি গাছকে পুজো করুন। কেটে যাবে জন্ম কুণ্ডলীর যাবতীয় দোষ! দূর হবে মাঙ্গলিক দশা! সদাপ্রসন্ন থাকবে সমস্ত গ্রহ দেবতা! টানা ৭ দিন এই ৯টি গাছের পুজো করলেই, ফল পাবেন হাতেনাতে……….

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে নয়টি বড় বড় গ্রহ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে জাগ্রত এবং রাগী গ্রহ হল শনি, রাহু এবং কেতু। মানবজাতির উপর এই গ্রহগুলোর সরাসরি প্রভাব পড়ে। তবে এদের খারাপ প্রভাব পড়লে জীবন নরকের মত হয়ে যায় আর ভালো প্রভাব পড়লে জীবনে সুখ আসে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে শনি, রাহু এবং কেতু সমেত মোট
নটি গ্রহকে প্রতিকারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শাস্ত্র মতে এই নটি গ্রহের সঙ্গে নটি গাছের সম্পর্ক রয়েছে। এই নটি গাছকে পুজো করলে নটি গ্রহকে শান্ত এবং নিজের বশে রাখা যায়। এই নটি গাছ কি কি দেখুন –

১, ঋক গাছ – যাদের জন্ম কুণ্ডলীতে সূর্যের দোষ রয়েছে তারা ঋক গাছের পুজো করলে অনেক উপকার পাবেন। ঋক গাছের পুজো করলে সূর্যের দোষ কাটে , রাহু-কেতু শান্ত হয়। বিশেষ করে, রবিবারে ঋক গাছের পুজো করলে অনেক বেশি ফল পাওয়া।

২, পলাশ গাছ – জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, যাদের জন্ম কুণ্ডলীতে চন্দ্রের দোষ রয়েছে তাদের পলাশ গাছের পুজো করা উচিত। যাদের জন্ম কুণ্ডলীতে চন্দ্রের দোষ থাকে তাদের বিভিন্ন রকম ক্ষতি হয়। নানা রকম বড় বড় বিপদ আপদ আসে। তাই জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, যারা চন্দ্র দোষে বিপর্যস্ত তাদের পলাশ গাছের পরিচর্যা করা উচিত।

৩, বট গাছ – জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বটগাছ অত্যন্ত পবিত্র। রাহু, কেতু ও অন্যান্য গ্রহ দোষ কাটাতে বট গাছের তুলনা নেই। মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে বটগাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যেসব ব্যক্তির মঙ্গল দোষ রয়েছে তাদের, ১১ টি মঙ্গলবার বটগাছের শিকড়ে জল নিবেদন করা উচিত। একই সঙ্গে বটগাছের চারপাশে পাঁচবার করে প্রদক্ষিণ করা উচিত।

৪, অপমার্গ উদ্ভিদ – অনেকেরই জন্ম কুণ্ডলীতে বুধের দোষ রয়েছে। যাদের বুধের দোষ রয়েছে তাদের মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই পরিস্থিতিতে বুধের দোষ কাটাতে অপমার্গ উদ্ভিদের পুজো করা উচিত। অপমার্গ
উদ্ভিদ বুধের দোষ কাটাতে খুবই উপকারে লাগে।

৫, অশ্বত গাছ – নবগ্রহ অর্থাৎ নয়টি গ্রহ দেবতাকে শান্ত রাখতে অশ্বথ গাছের জুড়ি মেলা ভার। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে যাদের রাহু কেতুর দোষ একসঙ্গে রয়েছে অর্থাৎ রাশিতে রাহুকেতুর দুর্বল প্রভাব রয়েছে, তাদের অশ্বথ গাছের পুজো করা উচিত।

৬, ডুমুর গাছ – অনেকের রাশিচক্রে শুক্র গ্রহের দোষ থাকে। যাদের কুন্ডলীতে শুক্র দুর্বল হয় তাদের জীবনের নানা রকম দুঃখ-কষ্ট আসে। তাদের মৃত্যু ঝুঁকি সব সময় বেশি থাকে। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এইসব জাতক জাতিকাদের ডুমুর গাছের পুজো করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৭, শমি গাছ – শনিদেবকে সন্তুষ্ট করতে ও বশে রাখতে শমী গাছের তুলনা নেই। যারা দীর্ঘদিন ধরে শনির সাড়ে সাতি ও ধাইয়ার কবলে পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের প্রতিদিন শমী গাছের পুজো করা উচিত। শমি গাছকে পুজো করলে শনির কারণে সৃষ্ট যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৮, কুশ গাছ – জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রাহুর মতো নিষ্ঠুর গ্রহকে বশে আনতে কুশ গাছকে পুজো করা উচিত। যাদের কুন্ডলীতে রাহু অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে, তারা ভোরবেলা উঠে কুশ গাছের পুজো করলে দুঃখ যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাবেন।

৯, দূর্বা গাছ – যাদের কুণ্ডলীতে কেতুর দোষ রয়েছে, তাদের জন্য দূর্বা গাছ সবচেয়ে উপকারী। দূর্বা গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে, দুবার করে উপাসনা করলে রাহুর দোষ কেটে যায়। গ্রহ দেবতারা শান্ত হয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *