সেফ করিডোর

বিদেশের রাস্তা এবার বাংলায়! বিদেশী ধাঁচে রাজ্যে সেফ করিডর! দুর্ঘটনাকে শূন্যে নিয়ে যাওয়ার এক দুর্দান্ত পদক্ষেপ বাংলার! ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ স্লোগান এবার বাস্তবায়িত হবে বাংলায়।

বাংলায় জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে যানবাহনের সংখ্যা। আর রাস্তাঘাটে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে বাড়ছে গাড়ি দুর্ঘটনার সংখ্যা। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে মানুষের অসাবধানতার জন্যই রাস্তাঘাটে যখন তখন ঘটে যাচ্ছে গাড়ি দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্যতে নামানোর জন্য এক বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।

মূলত দেশে কিংবা রাজ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে নিরাপদ রাস্তা তৈরীর নির্দেশ দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা কমাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই  এবার কোমর কষে নেমে পড়েছে রাজ্য সরকার। তাই বিদেশের ধাঁচেই এবার রাজ্যে নিরাপদ রাস্তা তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে এমন দুটি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

আগামী দিনে এই দুটি রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্যতে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত যে দুটি সেফ করিডর তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হল বিষ্ণুপুর থেকে আরামবাগ। ২০২৩ সালে এই রাস্তায় ২৫টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই সংখ‌্যা শূন‌্যতে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে অন্য একটি রাস্তা কোথায় তৈরি করা হবে সেবিষয়ে এখনও কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

নিরাপদ করিডর উদ্যোগটি নিউ জার্সি ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্ট প্রথম শুরু করে। তারপরেই  অন্যান্য দেশ ও একাধিক রাজ্যের  রাস্তার  নিরাপত্তা বাড়ানোর জন‌্যও এই করিডর তৈরি করা হয়।

সেফ করিডর কি?

সেফ করিডরের অর্থ, দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ‌্যা শূন্যে নিয়ে আসা হবে। দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির হার গড়ের থেকে বেশি রাস্তাগুলির দৈর্ঘ্যের কিছু অংশ সেফ করিডর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এই এলাকার নিরাপত্তা উন্নত করা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতেই  এই সকল এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়। মূলত যানবাহনের গতি  নিয়ন্ত্রণের জন্যই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

বিষ্ণুপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার রাস্তায় এমন সেফ করিডরের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর আগামী এক বছরের মধ্যে এই পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত করা হবে। এই রাস্তার ধারে সিগন্যালিং ব্যবস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি তৈরি করা হবে ফুটপাথ। তাছাড়াও রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকবে গার্ড রেল, জেব্রা ক্রসিং ইত্যাদি। দুর্ঘটনা কমাতে রাস্তা মেরামত করা হবে মসৃণভাবে। রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখা হবে অ্যাম্বুলেন্স। পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হবে কয়েকগুণ। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রথম ধাপে দুটি রাস্তাকে এভাবে তৈরি করা হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *