জ্যোতিষ

খুব সাবধান! শনির কোপে ছারখার হবে জীবন! নতুন বছরেই বড় বিপদ আসছে এই ৫ রাশির জাতকদের জীবনে! কর্ম অনুযায়ী ফল দেন শনি দেব। তাই ভুলেও এই কাজ গুলি করবেন না! শনিদেব রুষ্ট হলেই সারা জীবন ফেলতে হবে চোখের জল! সাড়ে সাতি-ধাইয়ায় রোষে জীবন শেষ হওয়ার আগেই জানুন প্রতিকার!

হাতে আর মাত্র কটা দিন! হাতের কর গুনতে গুনতেই শেষ হয়ে যাবে ডিসেম্বর মাসটাও। আর তারপরেই নতুন বছর ২০২৪ কে স্বাগত জানাবেন গোটা বিশ্ববাসী। তাই নতুন বছর আসার সাথে সাথেই মানুষের মনে নতুন বছর নিয়ে তৈরি হয়, নানা কৌতূহল। সকলের সেই সমস্ত কৌতূহল মেটাতেই তার সাময়িক আভাস দিয়ে থাকেন জ্যোতিষীরা।

বৈদিক শাস্ত্রে শনিদেবের গুরুত্ব অপরিসীম। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই গ্রহটিকে সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে মনে করা হয়। তাই শনির অশুভ  অবস্থানের প্রভাবে যেমন মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে তেমনি শনির শুভ অবস্থান  মানুষের জীবন সুখ সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে দেয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী শনির কৃপা যেমন গরীবকে ধনী করতে পারে তেমনি শনি অবস্থান এমনকি রাজাকেও দেউলিয়া করে তুলতে পারে।

শনিদেব প্রত্যেক মানুষকেই তাদের কর্ম অনুযায়ী ফল দেন। তাছাড়া জন্ম ছকে শনির অবস্থানও জীবনের উপর বড় প্রভাব ফেলে।তাই শনি যখনই কোনো নেতিবাচক স্থানে অবস্থান করে তখন কোনো ভুল কাজ করলে শনি অসন্তুষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কেরিয়ার, আর্থিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির অনেক বাধা আসতে পারে।

জ্যোতিষীদের মতে, নতুন বছরে শনিদেব মূল ত্রিভুজ রাশি কুম্ভ রাশিতে থাকবেন। আগামী বছরেও কুম্ভ রাশিতে শনির গতি অব্যাহত থাকবে। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত শনি সরাসরি এভাবেই থাকবে। শনির এই গতিবিধি পরিবর্তনের ফলে কর্কট, বৃশ্চিক, মকর, কুম্ভ এবং মীন রাশির জাতকরা সমস্যায় পড়বেন।

তাই এই রাশির জাতকদের ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত খুব সতর্ক থাকা উচিত। অশুভ শনির প্রভাবে কর্মজীবনে বাধার পাশাপাশি ব্যবসায় ক্ষতি এবং আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। এ ছাড়া যারা কণ্ঠস্বরহীন পশু-পাখিদের বিরক্ত করে কিংবা মহিলা ও বয়স্কদের অপমান করে, অসহায় মানুষকে শোষণ করে, প্রতারণা করে, শনি তাদের কঠোর শাস্তি দেন। তাই এমন কিছু করা উচিত নয় যা শনিদেবকে বিরক্ত করে।

শনির প্রকোপ থেকে বাঁচার উপায়

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে যদি জন্মছকে শনির দোষ বা সাড়ে সাতী-ধাইয়ার ছায়া থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু প্রতিকারও।

কালো কুকুর এবং কাককে খাবার খাওয়ালে শনিদেব খুশি হবেন।

কঠোর পরিশ্রমী শ্রমিক এবং সাফাই কর্মীদের সম্মান করুন। তাদের সাহায্য করলে এবং পেট ভরে খাওয়ালে শনিদেব সন্তুষ্ট হবেন।

বৃদ্ধ ও মহিলাদের সবসময় সম্মান করুন।

শনিদেবকে সরষের তেল ও কালো তিল নিবেদন করতে হবে।

প্রতি শনিবার সূর্যাস্তের পর অশ্বত্থ গাছের নিচে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে ওই তেলে কিছু কালো তিল দিতে হবে।

প্রত্যেক শনি-মঙ্গলবার হনুমানের পুজো করুন, হনুমান চল্লিশা ও সুন্দরকাণ্ড পাঠ করার অভ্যাস তৈরী করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

সাড়ে সাতি দশার কোপে পড়লে প্রতি শনিবার উপোস করে শনি দেবের পুজো  করা উচিত। তিনি  তুষ্ট হলে সাড়ে সাতি দশা ও ধাইয়ার অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

প্রতিদিন অন্তত ৩ বার শনির বীজ মন্ত্র ‘ওম শম শনাইশ্চরায় নমঃ’ জপ করুন। প্রতিদিন করতে না পারলেও শনিবার অবশ্যই করুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *