জানেন এই মুহূর্তে মহুয়া মৈত্র মোট কত কোটির মালিক? কৃষ্ণনগরের সাংসদের সম্পত্তি তালিকা দেখে মুকেশ আম্বানিও লজ্জা পাবে

জানেন এই মুহূর্তে মহুয়া মৈত্র মোট কত কোটির মালিক? কৃষ্ণনগরের সাংসদের সম্পত্তি তালিকা দেখে মুকেশ আম্বানিও লজ্জা পাবে

জানেন এই মুহূর্তে মহুয়া মৈত্র
মোট কত কোটির মালিক?

সরকারি খতিয়ান অনুযায়ী
তিনি কি বড়লোক নাকি মধ্যবিত্ত?

কোটি কোটি টাকার ফ্ল্যাট,
বিদেশ বিভুঁইয়ে ব্যাংক একাউন্ট!

মহুয়া মৈত্রের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে,
মুকেশ আম্বনিও হোঁচট খাবে!

দেখুন কি কি আছে
মহুয়ার সম্পত্তি তালিকায়

তার চাঁচাছোলা প্রশ্নবানে গরম হয়ে ওঠে সংসদ মহল। তার চোখাচোখা প্রশ্ন অস্বস্তিতে ফেলে দেয় বিরোধী নেতাদের। তিনি আর কেউ নন, ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম পরিচিত মহুয়া মৈত্র। যাকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তিনি নাকি সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করেছেন, সম্প্রতি এই অভিযোগে জর্জরিত এই জনপ্রিয় তৃণমূল সাংসদ। তার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ পর্যন্ত করে ফেলেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। কিন্তু এ তো গেল তার রাজনৈতিক বিতর্ক! মহুয়া মৈত্রের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়েও বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। মহুয়া মৈত্রের মোট সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে আপনি ভিমড়ি খাবেন। ২০১৯ সালের নির্বাচন কমিশন হলফনামা থেকে মহুয়া মৈত্রের মোট সম্পত্তির হিসেব বেরিয়ে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, ঝড়ের গতিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মহুয়া মৈত্রের সম্পত্তির পরিমাণ। যা এক কথায় রহস্যময়।

এক নজরে দেখুন, মহুয়া মৈত্রের সম্পত্তি তালিকায় ঠিক কি কি আছে –

২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের অর্থ বর্ষে মহুয়ার উপার্জন ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালে মিলিয়ে, মহুয়া মৈত্রের উপার্জন ছিল ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭০ টাকা। একই ভাবে , ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালে তার উপার্জন বেড়ে দাড়ায় 5 লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৩০ টাকা। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মহুয়া মৈত্রের সম্পত্তির পরিমাণ। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের অর্থ বর্ষে মহুয়ার মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫৬ টাকায়। একইভাবে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের অর্থ বর্ষে তার উপার্জনের পরিমাণ হয় ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০ টাকা। হলফনামা জমা দেওয়ার সময়, মহুয়া মৈত্রের হাতে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মহুয়া মৈত্রের, সম্পত্তি তালিকায়, হিরে থেকে সোনা, ডায়মন্ড থেকে রুপো, সবই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মহুয়ার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির তেমন কোনও হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ নেই। তবে হলফনামায় উল্লেখ না থাকলেও কানাঘুষোয় শোনা যায়, মহুয়া মৈত্রের একটি বিলাসবহুল কোটি টাকার ফ্ল্যাট রয়েছে। সঙ্গে একটি লাক্সারিয়াস গাড়িও আছে।

এগুলো ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে মহুয়া মৈত্রের টাকা রয়েছে। কলকাতার একটি ব্যাংকে মহুয়া মৈত্রের নামে একটি একাউন্ট রয়েছে। যেখানে ১ কোটি ১২ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫ টাকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লন্ডনের একটি ব্যাংকে, মহুয়া মৈত্রের নামে একটি একাউন্টে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৮২ টাকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিরোধীদের দাবি মহুয়া মৈত্রের, আরো অনেক সম্পত্তি রয়েছে, যা তিনি এখনো প্রকাশ্যে আনেননি। মহুয়া মৈত্র বাকি সাংসদদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তিনি লাকসারিয়াস লাইফস্টাইল মেইনটেন করেন। একবার সাংসদে দামী ব্র্যান্ডের ব্যাগ ইউজ করে বিতর্কে পড়েছিলেন তিনি। তার বিতর্কিত ব্যগটির দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তবে তর্ক বিতর্ক যাই হোক না কেন, সেই সব তোয়াক্কা না করেই নিজের মর্জিতেই চলতে পছন্দ করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *