বাচ্চাদের পাতে অবশ্যই রাখুন, এই ৫টি খাবার! বাচ্চাদের বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি হবে প্রখর, হার মানাবে আইজ্যাক নিউটন ও বিদ্যাসাগরকেও

বাচ্চাদের পাতে অবশ্যই রাখুন, এই ৫টি খাবার! বাচ্চাদের বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি হবে প্রখর, হার মানাবে আইজ্যাক নিউটন ও বিদ্যাসাগরকেও

বাচ্চাদের পাতে অবশ্যই রাখুন, এই ৫টি খাবার!! বাচ্চাদের বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি হবে প্রখর!! ছোট থেকেই তাদের নিয়মিত খাওয়ান এই খাবারগুলো!! বাচ্চাদের পাতে যদি থাকে এই ৫ সুপার ফুড, সন্তানের বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তির ধার হবে জোরদার!! বাচ্চা হবে, আইজ্যাক নিউটন ও বিদ্যা সাগরের মতন মেধাবী !! বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধির জোড় বাড়াতে, আজ থেকেই তাদের পাতে রাখুন এই সুপারফুডগুলি …………………..
সন্তান বড় হয়ে ক্ষুরদার বুদ্ধির জন্য প্রসিদ্ধ হোক, বিরাট কিছু করে দেখাক, এটাই তো সব বাবা মায়ের মনের বাসনা। সন্তানকে মেধাবী ও জিনিয়াস বানাতে প্রত্যেকটি বাবা-মা কোনও কিছুরই ত্রুটি রাখেন না। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও সন্তানকে জিনিয়াস বানানো সম্ভব হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভুল পদ্ধতি মেনে, বাচ্চাকে জিনিয়াস বানাতে চাইলে, সেই বাচ্চা কখনোই জিনিয়াস হবে না। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাচ্চাকে বিদ্যা, বুদ্ধিতে প্রখর বানাতে চাইলে, তার ডায়েটের দিকে নজর রাখুন। বাচ্চার ডায়েটে রাখুন পাঁচটি সুপারফুড। যা বাচ্চাকে খাওয়ালে,
বাচ্চার স্মৃতিশক্তি এতটাই প্রখর হবে যে, সে বুদ্ধিতে ফেলুদাকেও টেক্কা দেবে। এমনকি বড় বড় বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরও ছাপিয়ে যেতে পারবে। এক নজরে দেখুন তো এই পাঁচটি সুপার ফুড কি কি –

১, তেলাক্ত মাছ – বাচ্চাকে জিনিয়াস করে গড়ে তুলতে তেলাক্ত মাছের ভূমিকা অপরিসীম। তেলাক্ত মাছে ভীষণ মাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। যা শিশুর মস্তিষ্কের ভালো রকম বিকাশ ঘটায় এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এইসব তেলাক্ত মাছের তালিকায় রয়েছে স্যামন ফিস, ম্যাকারেল, তাজা টুনা, ট্রাউট, সারডিন এবং হারিং জাতীয় মাছ। যদি এই মাছগুলো সপ্তাহে তিন দিন বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়, তাহলে বাচ্চার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি হওয়া কেউ আটকাতে পারবেনা।

২, ওটস মিল – শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে ওটস মিল খুবই কার্যকরী একটি খাবার। ওটস শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্টে ১০০% কাজ করে। ওটসে ভীষণ মাত্রায় ভিটামিন ই, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জিংকের মতন উপাদান থাকে। আপনি আপনার বাচ্চাকে, পুষ্টির জন্য দিনে হাজার রকম খাবার খাওয়ালেও, বাচ্চার পুষ্টি ভরপুর হয় না। কিন্ত আপনি যদি বাচ্চাকে একবাটি ওটসমিল দেন, তাহলে সে হাজার রকম খাবারের পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে। অর্থাৎ এক বাটি ওটস মিল আপনার সন্তানকে এক হাজার রকম খাবারের পুষ্টি দিতে সক্ষম।

৩, দুধের তৈরি ফুড – সন্তানকে যতটা সম্ভব দুধের তৈরি খাবার খাওয়ান। আপনারা জানেন দুধ একটি আদর্শ খাবার। এতে সমস্ত রকম পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকে। দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রাণিজ প্রোটিন এবং ভিটামিন বি থাকে। বাচ্চারা যখন ছোট থেকে বড় হয় তখন এই দুটি ভিটামিনের প্রয়োজন সব থেকে বেশি দেখা যায়। আপনি যখন আপনার বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাকে এই খাবারগুলো দেবেন, তখন তার বিকাশ ভালোভাবে হবে। আপনার বাচ্চার বুদ্ধি, মনে রাখার ক্ষমতা, পড়ালেখা করার ইচ্ছে অনেক গুণ বেড়ে যাবে।

৪, ডিমের কুসুমের – বাচ্চাদের পাতে প্রতিদিন একটি করে ডিম রাখুন। পারলে বাচ্চাকে রোজ দুটো করে ডিমের কুসুম খেতে দিন। ডিমের সাদা অংশ এর থেকেও ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে কার্বস, প্রোটিন এবং ফ্যাট থাকে। যা বাচ্চার হাড়কে শক্তিশালী করে। তাই বাচ্চার ব্রেকফাস্টে প্রতিদিন অবশ্যই ডিম রাখুন।

৫, বাদাম – আপনার বাচ্চাকে জিনিয়াস বানাতে বাদামের মত শক্তিশালী সুপার ফুড আর একটি হবে না। বাদামে, থাকে প্রাণিজ প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এগুলো বাচ্চার স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে ভূমিকা রাখে। তাই বাচ্চাকে দুধের সাথে কিংবা স্নাক্সের সঙ্গে বাদাম খাওয়ান। নিয়মিত বাদাম খাওয়াতে পারলে আপনার বাচ্চার রেজাল্টও ভালো হবে। কারণ বাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি অনায়াসেই বাড়বে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *