‘লাডলি বেহনা’

বিজেপির ‘লাডলি বেহনা’র সামনে ফেল বাংলার লক্ষ্মী ভাণ্ডার! বিজেপির এই প্রকল্পের সাথে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মিল কোথায়? ‘লাডলি বেহনা’-কে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের জেরক্স কপি কেন বলা হচ্ছে? মধ্য প্রদেশে কিভাবে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠল এই প্রকল্প? জানেন কি এই প্রকল্প থেকে কত টাকা পাওয়া যাবে? টাকা ছাড়াও আর কী কী সুবিধা দেবে লাডলি বেহনা? কারা পাবেন এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা? কী ভাবে আবেদন করবেন এই প্রকল্পে? জানুন সমস্ত খুঁটিনাটি  .

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই ‘সেমিফাইনাল’ জিতে বসে রয়েছে বিজেপি সরকার। রাজস্থান,ছত্রিশগড় ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেও সিংহাসন দখল করে ৩-১-এ কংগ্রেসকে ধরাশায়ী  করে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি মধ্য প্রদেশে বিজেপির গেম চেঞ্জার ছিল  মুখ্যমন্ত্রী ‘লাডলি বেহনা’ যোজনা।

এই প্রকল্পের সাথে ব্যাপক মিল রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের। তাই তৃণমূলের তরফ থেকেও আক্রমণ শানিয়ে দাবি করা হয়েছে মমতার প্রকল্প কপি করেই বিজেপি সরকার মধ্যপ্রদেশে নিজেদের ক্ষমতা দখল করেছে। শিবরাজ সিং চৌহানের ‘লাডলি বেহনা’ যোজনা পশ্চিমবঙ্গের লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের মতো হলেও এখানে টাকার অংকটা কিন্তু  অনেক বেশি।

কত টাকা পাওয়া যায় ‘লাডলি বেহনা’ যোজনায়?

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীভান্ডার প্রকল্পে যেমন রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের  ১০০০ টাকা দেয়, ঠিক তেমনই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার  এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের নগদ টাকা দেবেন। তবে এক্ষেত্রে টাকার অংক অনেক বেশি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের প্রতি মাসে ১২৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ বছরে তাঁদের অ্যাকাউন্টে মোট ১৫০০০ টাকা ঢুকবে।

কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন? 

যারা ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারির পর এবং ২০০০ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁরাই এই প্রকল্পে টাকা পাবেন। হিসেব অনুযায়ী ২১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।  প্রত্যেক উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও বিবাহবিচ্ছিন্না এবং বিধবা মহিলারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না কারা? 

স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা ছাত্রীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।

এছাড়া যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।

তবে এই প্রকল্পের আবেদন ফর্ম পেতে কোন সরকারি অফিসে যাওয়ার দরকার পড়বে না। সরকারি কর্মীরাই  বাড়ি বাড়ি ফর্ম দিয়ে আসবেন। যা ঘরে বসে ফিলাপ করেই জমা দেওয়া যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন নেওয়া হবে। আগামী বছর অর্থৎ ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ থেকে এই প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ করা শুরু হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *