জানেন পরকীয়া কত রকমের হয়? কোন পরকীয়াটির চল সবচেয়ে বেশি?

জানেন পরকীয়া কত রকমের হয়? কোন পরকীয়াটির চল সবচেয়ে বেশি?

জানেন পরকীয়া
কত রকমের হয়?

কোন পরকীয়াটির চল
সবচেয়ে বেশি?

পরকীয়া অনেক রকম হলেও,
তার মধ্যে ১টি খুবই মারাত্মক!

এই ১টি পরকীয়ার জেরে,
ডিভোর্স বেশি হয়!

এক নজরে দেখুন,
পরকীয়ার প্রকারভেদগুলো

পরকীয়া অত্যন্ত ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এই শব্দের রেশ খুবই মারাত্মক। বিশ্বের সিংহভাগ ডিভোর্স এবং দাম্পত্য কলহের কারণ হলো পরকীয়া। কারো কাছে পরকীয়া সাধারণ একটি বিষয় আবার কারো কাছে পরকীয়া সামাজিক ব্যাধি। তবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে পরকিয়াকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন পরকীয়ার কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। পরকীয়া মূলত পাঁচ প্রকার হয়ে থাকে। তার মধ্যে চার নম্বর পরকীয়াটি সবচেয়ে বেশি হয়। মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করে পরকীয়ার প্রকারভেদ তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন মানুষ তার পাঁচটি চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে, পাঁচ রকম ভাবে পরকীয়ায় জড়ান। অনেকের হয়তো ধারণাই নেই যে পরকীয়া পাঁচ রকমের হতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক পরকীয়ার পাঁচ রকম ভাগ গুলো কি কি –

১, সঙ্গীকে কাছ থেকে সুখ পাওয়ার পরকীয়া – বিবাহ বিশেষজ্ঞরা বলছেন পরকীয়ার প্রথম ভাগটি হল সঙ্গীর কাছ থেকে সুখ পাওয়া আকাঙ্ক্ষা। তিনি এই ভাগটিকে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, বিবাহিত জীবনের ১০-১২ বছর পর অনেকেই নতুন সঙ্গীর প্রতি আকৃষ্ট হন। আপাতদৃষ্টিতে এটি খারাপ মনে হলেও এর পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন দাম্পত্য জীবনের ১০-১২ বছর পর অনেক সময় দম্পতিদের মধ্যে শারীরিক দুরত্ব বেড়ে যায়। নানা কারণেই এটা হতে পারে। সেই সময় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কেউ না কেউ নতুন সঙ্গীর খোঁজ করেন। নতুন সঙ্গীর কাছ থেকে সুখ পাওয়ার উদ্দেশ্যে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এটাকে পরকীয়ার প্রথম ভাগ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

২, মনের দুঃখ আদান-প্রদান করার পরকীয়া – পরকীয়া বিশারদরা বলছেন, অনেক সময় পুরনো দাম্পত্য জীবনে, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কটা ক্ষয়ে যায়। এর ফলে স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনের কাছে খোলা ডায়েরি হতে পারে না। অর্থাৎ দুজন দুজনের সুখ দুঃখের কথা দুজন দুজনের কাছ থেকে এড়িয়ে যায়। এভাবেই দুজনের মধ্যে মানসিকভাবে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। যার ফলে এরকম দাম্পত্য জীবনে স্বামী বা স্ত্রী মনের দুঃখ আদান প্রদান করার জন্য নতুন সঙ্গীর খোঁজ করেন। এটি হলো পরকীয়া দ্বিতীয় ভাগ।

৩, বিরক্তিকর সঙ্গী থেকে মুক্তির জন্য পরকীয়া – দাম্পত্য জীবন যত বেশি পুরনো হয় তত বেশি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের উত্থান পতন হয়। এইসব ক্ষেত্রে অনেক সঙ্গী বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। ধরুন ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে, স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে, স্ত্রী সারাক্ষণ স্বামীকে দোষারোপ করেই যাচ্ছে, যার ফলে ওই স্ত্রী তার স্বামীর কাছে বিরক্তিকর মহিলা হয়ে উঠছে। আর ওই বিরক্তিকর স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে পালানোর জন্য ওই মহিলার স্বামী, নতুন সঙ্গীর খোঁজ করেন। এটাই পরকীয়া তৃতীয় ভাগ।

৪, শান্তির খোঁজে নতুন সঙ্গীর সঙ্গে পরকীয়া – দাম্পত্য জীবনে শান্তির অভাব থেকেও, অনেক স্বামী স্ত্রী পরকীয়ায় জড়ান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র মানসিক নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে দম্পতিদের মধ্যে পরকীয়ায় জড়ানোর হার অনেক বেশি। পরকীয়ার অন্যান্য ভাগগুলোর থেকেও এই চার নম্বর ভাগটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

৫, ইনফেচুয়েশন বা সাময়িক ভালো লাগা – পরকীয়া সর্বশেষ প্রকারভেদটি হল ইনফ্যাচুয়েশন। এই ইংরেজি শব্দটির অর্থ কাউকে সাময়িকভাবে বা কিছুক্ষণের জন্য ভালো লাগা। একে বিজ্ঞানীরা মোহমায়াও বলে থাকেন। এটি অনেকটা কল্পনার মতন। সম্পর্ক বিশারদেরা জানাচ্ছেন, অনেক সময় দাম্পত্য জীবনে, স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো কারো বাইরের অন্য কোন কাউকে ভালো লাগতে পারে। তবে সেই ভালো লাগা সাময়িকের জন্যই হয়। এই ধরনের পরকীয়া গুলো কিছুদিনের জন্য স্থায়ী থাকে এরপর আবার মিলিয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন মূলত এই পাঁচ ধরনের পরকীয়া সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *