কেউ ছিলেন ‘সেক্স সিম্বল’ তো কেউ ঝড় তুলেছেন নাচে-গানে! এই বলি সুন্দরীদের রূপের আগুনেই ঝলসে যেত হিন্দি সিনেমার সিলভার স্ক্রীন? মন্দাকিনী থেকে মমতা কুলকার্নি চিনতে পারছেন বলিউডের এই স্বপ্ন সুন্দরীদের? গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে দূরে এখন কোথায় রয়েছেন এই ডাকসাইটে সুন্দরীরা? দেখুন তো এই বলি সুন্দরীদের দেখে এখন চিনতে পারেন কিনা?
একসময় বলিউডের এই অভিনেত্রীরাই ছিলেন বহু পুরুষের স্বপ্ন সুন্দরী। তাদের রূপের আগুনে ঝলসে যেত হিন্দি সিনেমার সিলভার স্ক্রীন। অথচ সাফল্যের মধ্য গগনে থেকেও বহুদিন আগেই অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন বলিউডের এই সুন্দরী অভিনেত্রীরা। বর্তমানে তাদের মধ্যে কেউ ব্যস্ত রয়েছেন সংসার নিয়ে, কেউ আবার মন দিয়েছেন আধ্যাত্মিকতায়। এখন তাঁদের আর দেখা যায় না বড়পর্দায়। বলিউডের এই ডাকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রীরাই এখন দিন কাটাচ্ছেন পর্দার আড়ালে। এখন তাঁদের চেহারায় এতটাই বদল এসেছে যে এক ঝলক দেখে চেনা মুশকিল! দেখুন তো আপনি চিনতে পারেন কিনা?
মীনাক্ষী শেষাদ্রি: দুর্দান্ত অভিনয় গুণে একসময় বলিউড কাঁপিয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেষাদ্রি। তুখোড় অভিনয়ের পাশাপাশিই নাচেও ছিলেন দারুন পারদর্শী। তবে অভিনয় জগতের গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডকে অনেকদিন আগেই বিদায় জানিয়েছেন তিনি। কয়েক বছর আগেই আবার জনসমক্ষে এসেছিলেন অভিনেত্রী। তবে প্রথমে কেউই চিনে উঠতে পারেননি তাঁকে। যদিও বলিউড আজও তাঁকে চেনে ‘দামিনী’ নামেই।
মন্দাকিনী: বলিউডে এক সময় রাজ করতেন মন্দাকিনী। নব্বইয়ের দশকে একের পর এক সুপারহিট সিনেমার এই হিরোইনের সাথে নাম জড়িয়েছিল কুখ্যাত দাউদ ইব্রাহিমের। এরপর হঠাৎ করেই বলিউড থেকে হারিয়ে যান তিনি। পরে বিয়ে করে মন দিয়েছিলেন সংসারে।অভিনয় থেকে দূরে সরে গেলেও শুরু করেছিলেন গান। তাঁর গানের দু’টি অ্যালবাম বেরলেও তা সফল হয়নি। তবে হিন্দি সিনেমার সেই মন্দাকিনীর সাথে এখনকার মন্দাকিনীর কিন্তু আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।
মমতা কুলকার্নি: তখনকার দিনে বলিউডের ‘সেক্স সিম্বল’ হিসাবেই পরিচিতিপেয়েছিলেন তিনি। তবে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে আচমকাই গায়েব হয়ে যান তিনি। পরে মাদক পাচার চক্রে উঠে আসে তাঁর নাম। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন মমতা। পুলিশও তাঁর হদিশ পায়নি। কয়েক বছর আগে নিজেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমে। তাঁর সেই অচেনা রূপ দেখে চমকে উঠেছিলেন সবাই।
টিনা মুনিম: বলিউডের এই এভারগ্রিন নায়িকাই এখন অনিল অম্বানির ঘরণী। দেশের অন্যতম ধনী পরিবারের পুত্রবধূ তিনি। সেই সুবাদেই গ্ল্যামার দুনিয়ায় আজও অবাধ যাতায়াত তাঁর। তবে এখন অভিনেত্রীর চেহারায় স্পষ্ট বয়সের ছাপ। তাই এখন এক ঝলকেই অভিনেত্রীকে চেনা মুশকিল।
রীনা রায়: অভিনয় জগতের নাম-যশ-খ্যাতি অনেক আগেই পিছনে ফেলে এসেছেন এই অভিনেত্রী। তাই বলিউডের সাথে এখন তাঁর আর কোনো সম্পর্ক নেই বললেই চলে। পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহসিন খানকে বিয়ে করে রীনা রায় একসময় অভিনয় ছেড়েছিলেন। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। পরে ফের অভিনয়ে ফিরলেও আর সাফল্য আসেনি। সময়ের সাথে এখন আমূল বদল এসেছে তাঁর চেহারাতেও।
সারিকা: দুর্দান্ত অভিনয় গুণের অধিকারী সারিকা সিনেমা নিয়ে বরাবরই খুবই খুঁতখুঁতে স্বভাবের। তাই খুবই বেছে বেছে অভিনয় করেছেন তিনি। পাপারাৎজির ক্যামেরায় এখনও তাঁর দেখা মিললে আগের সেই জেল্লা খুঁজে পাওয়া যায় না অভিনেত্রীর চোখে-মুখে। এখন তিনি তাঁর দুই মেয়ে, শ্রুতি এবং অক্ষরার কেরিয়ার নিয়েই বেশি আগ্রহী।
অনু অগ্রবাল: ১৯৯০ সালের ‘আশিকি’ সিনেমার হাত ধরেই রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নায়িকা অনু অগ্রবাল। কিন্তু একটি গাড়ি দুর্ঘটনাতেই তাঁর জীবন আমূল বদলে যায়। তখন তিনি ২৯ দিন কোমায় ছিলেন। স্মৃতিশক্তি হারিয়ে প্রথম জীবনের প্রায় সবকিছুই ভুলে যান তিনি। তবে ৪৯ বছর বয়সে এখনও তিনি একা। তবে বলিউড নিয়ে আর কোনও আগ্রহ নেই তাঁর।
ওয়াহিদা রহমান: ভারতীয় সিনেমার ‘ভিনটেজ বিউটি’ ওয়াহিদা রহমান। তবে শুধু অভিনেত্রী হিসাবেই নয় চরিত্রাভিনেত্রী হিসাবেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। তবে এখন অভিনেত্রীর আগের মতো সেই রূপ আর নেই। তবে বর্তমানে ৮৫ বছর বয়সেও আগের মতো স্নিগ্ধ রয়েছেন অভিনেত্রী।
Leave a Reply