ভুলেও মা কালীর মূর্তির পাশে রাখবেন না, এই ১টি দেবতার মূর্তি! মহিলারা সাবধান হয়ে যান!
ভুলেও মা কালীর মূর্তির পাশে
রাখবেন না, এই ১টি দেবতার মূর্তি!
মহিলারা সাবধান
হয়ে যান!
নইলেই মা কালীর অভিশাপে,
ছারখার হবে জীবন!
নেমে আসবে চরম
দুঃখ, কষ্ট, আর্তনাদ!
দেখুন তো কোন দেবতার
মূর্তি রাখা নিষিদ্ধ
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় সমস্ত মূর্তিতেই ঈশ্বর বসবাস করেন। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা কেউ কেউ, একাধিক ঠাকুরের মূর্তি একসঙ্গে রেখে দিই। যা খুবই ভুল কাজ। শাস্ত্রে বলা হয়েছে সব দেবদেবীর মূর্তি একসঙ্গে রাখা যায় না। যেমন কালী ঠাকুরের মূর্তির পাশে এই একটি দেবতার মূর্তি কখনোই রাখা উচিত নয়। আর সেটি হল ব্রক্ষ্মা। অনেকেই না জেনে ব্রক্ষ্মা ও মা কালীর ছবি একসাথে রাখেন। ঠাকুরঘরে এই দুই দেবতাকে পাশাপাশি বসান। শাস্ত্রে এই কাজটি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
তার কারণ ব্রহ্মা এবং মা কালী দুজনেই দু’রকম দেবতা। দুজনের প্রকৃতি ও সত্তা আলাদা। ব্রক্ষ্মা হলেন, সৃষ্টির দেবতা। তিনি পরমব্রহ্মের ত্রিদেবতা, বিষ্ণু ও শিবুর সঙ্গে ত্রিমূর্তিতে বিরাজ করেন। পুরাণ অনুসারে ব্রহ্মা এই গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে সৃষ্টি করেছেন। সনাতন ধর্মীরা বিশ্বাস করেন, এই পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু ব্রহ্মার সৃষ্টি। কিন্তু এতকিছুর পরেও ব্রক্ষ্মা পুজো পান না। তার কারণ, একবার এক অপরাধের জন্য, স্বয়ং মহাদেবের কাছ থেকে, অভিশাপ পেয়েছিলেন ব্রহ্মা। মহাদেব ব্রহ্মাকে অভিশাপ দিয়ে বলেন ধরাধামে তিনি পুজো পাবেন না। তিনি ভগবান হলেও ভক্তরা তাকে পূজো করবেন না। তবে অন্যান্য দেব-দেবতার মত ব্রহ্মার পুজো না হলেও, অনেকেই ঠাকুর ঘরে ব্রহ্মার ছবি কিংবা মুক্তি রাখে
এদিকে মা কালী হলেন সংহারের দেবী। শাস্ত্র অনুসারে দশ মহাবিদ্যার প্রথম দেবী হলেন মা কালী। তিনি ভগবান শিবের স্ত্রী। এখানেই মা কালী এবং ব্রহ্মার মধ্যে সংঘাত। একদিকে মা কালী যা কিছু অশুভ তাকে ধ্বংস করেন, অন্যদিকে ব্রক্ষ্মা সমস্ত কিছু সৃষ্টি করে। তার উপর, মা কালির স্বামী, শিবের অভিশাপ পেয়ে রুষ্ট ব্রহ্মা। ফলে ঠাকুর ঘরে মা কালী এবং ব্রম্মা একসাথে থাকতে পারেন না। যদি কেউ না জেনে এই ভুল করে থাকেন তাহলে আজই ঠাকুর ঘর থেকে এদের আলাদা করুন। প্রয়োজনে দুজনের জন্য আলাদা আসন প্রতিষ্ঠা করুন। যেহেতু মহিলারা পূজার কাজ করেন, বেশিক্ষণ সময় ঠাকুর ঘরে থাকেন, তাই আপনারা এই বিষয়টির দিকে বেশি নজর রাখবেন।
Leave a Reply