এই ৫ ধরনের ছেলেদের ভুলেও বিয়ে করবেন না! খুব হ্যান্ডসাম হলেও এদের গলায় মালা দেবেন না, মেয়েরা সাবধান

এই ৫ ধরনের ছেলেদের ভুলেও বিয়ে করবেন না! খুব হ্যান্ডসাম হলেও এদের গলায় মালা দেবেন না, মেয়েরা সাবধান

এই ৫ ধরনের ছেলেদের ভুলেও বিয়ে করবেন না!! মেয়েরা সাবধান হয়ে যান!! খুব হ্যান্ডসাম হলেও এদের গলায় মালা দেবেন না!! এদের বিয়ে করলেই জীবন হয়ে ওঠে নরক!! স্বামীভাগ্য হয়ে যায় ছারখার!! বিবাহযোগ্য মেয়েদের অবশ্যই জানা উচিত এই তথ্যগুলো ……….. বিয়ে নিয়ে প্রতিটি মেয়েরই চিন্তার শেষ থাকে না। কারণ প্রতিটি মেয়ে সমস্ত কিছু ছেড়েছুড়ে স্বামীর বাড়ি যাই। ফলে স্বামী কেমন হবে, সেই নিয়ে মেয়েদের অনেক ভাবনা চিন্তা থাকে। তবে সব ছেলেরাই প্রকৃত স্বামী হয়ে ওঠে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ের জন্য পাঁচ ধরনের ছেলেকে কখনোই বিয়ে করা উচিত নয়। কারণ এই পাঁচ ধরনের ছেলে স্বামী হিসেবে একেবারেই যোগ্য নয়। এক নজরে দেখুন এই পাঁচ ধরনের ছেলে কারা –

১, প্রলোভন দেখানো ছেলে – বিবাহ বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীতে খারাপ ছেলেদের একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেটি হলো অযথা প্রলোভন দেখানো। অর্থাৎ যেসব ছেলেরা, নারীদের আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখান, সেই সমস্ত ছেলেরা ঠকবাজ হয়। এই ধরনের ঠকবাজি করে খারাপ ছেলেরা মেয়েদের মনকে বশে নিয়ে আসেন। ফলে একটি মেয়ের জীবন বরবাদ হয়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা, নারীদের এই ধরনের ছেলেদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

২, স্বার্থপর মানসিকতা – বেশ কিছু ছেলে অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। এদের মধ্যে স্বার্থপর মানসিকতা কাজ করে। স্বামী কিংবা জীবনসঙ্গী হওয়ার কোন গুণাগুণ এদের মধ্যে থাকে না। কারণ এই ধরনের ছেলেরা যে কোন মুহূর্তে তাদের স্ত্রীকে বিপদে ফেলতে পারেন। অনেক সময় স্ত্রীকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন। একটি সম্পর্কে থাকতে হলে দুজন সঙ্গীকে স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়। কিন্তু এই ধরনের ছেলেরা কখনোই নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে চলে না। অতএব বুঝতেই পারছেন এই ধরনের ছেলেদের বিয়ে করার প্রশ্নই ওঠেনা।

৩, মায়ের আঁচল ঘেঁষা স্বামী – বিবাহ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আজকাল ডিভোর্স এবং সম্পর্ক বিচ্ছেদের পেছনে মায়ের আঁচলে ঘেঁষা ছেলেদের দায় বেশি। এই ধরনের ছেলেরা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, মমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য পালন করতে ভুলে যান। এরা একটি সংসারে মা এবং স্ত্রীর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে জানেন না। এইসব ছেলেরা তাদের মায়ের অন্যায়কে মুখ বুঝে মেনে নেন। যা বৈবাহিক জীবনের পক্ষে একেবারে ভালো নয়। আসলে এই ধরনের ছেলেদের সবথেকে বড় সমস্যা হলো, এরা নির্ভয় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভুল কে ভুল এবং ঠিককে ঠিক বলতে পারেন না। আর এখান থেকেই তারা অন্যায় থাকা সত্ত্বেও মায়ের সাপোর্ট করতে থাকেন। ফলস্বরূপ বিবাহিত স্ত্রী, যে নিজের বাপের বাড়ি ছেড়ে স্বামীর ঘর করছে, তার প্রতি অন্যায় আচরণ হয়। এই ধরনের ছেলেদের বিয়ে করলে সংসারিক অশান্তি লেগেই থাকবে। তাই বিবাহ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সকল ছেলেদের কাছ থেকে দূরে থাকাটাই মঙ্গল।

৪, বউকে কথায় কথায় ছোট করা – লক্ষ্য করে দেখবেন, এমন বেশ কিছু ছেলে, কথায় কথায় তাদের স্ত্রীকে ছোট করেন। তারা তাদের স্ত্রীর থেকেও বেশি জানেন এমন একটা ভাবধারা নিয়ে চলাফেরা করেন। এই ধরনের ছেলেরা স্ত্রীর কথা শুনতে চান না। তারা নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী বলে মনে করেন। এখান থেকেই স্পষ্ট যে এই ধরনের ছেলেরা স্বামী হিসেবে একেবারেই উপযুক্ত নয়। স্বামী হওয়ার প্রথম শর্ত হলো স্ত্রীকে সম্মান করা, স্ত্রী মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া। স্ত্রীকে সহজলভ্য ভেবে থাকে ছোট করা কোন আদর্শ ছেলে কিংবা স্বামীর কাজ নয়।

৫, বউয়ের উপর হুকুমদারি – অনেক স্বামীরা, ২৪ ঘণ্টা, বউয়ের উপর হুকুমদারি করেন। হাঁটতে বসতে বউকে দিয়ে কাজ করান। বউয়ের কোনও কাজ তিল থেকে তাল হলেই, গোটা বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেন। এই ধরনের ছেলেরা কখনোই ভালো স্বামী হতে পারে না। এই ধরনের ছেলেদের সঙ্গে সংসার করতে গেলে মেয়েদের দুঃখ কষ্টের সীমা থাকে না। তাই বউ এর উপর হুকুমদারি চালায় এমন ছেলেদের বিয়ে করার থেকে আজীবন সিঙ্গেল থাকাই ভালো।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *