ভুলেও বাচ্চাদের হাতে দেবেন না এই পাঁচটি জিনিস! এগুলো দিলেই বাচ্চার ব্রেইন টিউমার থেকে ক্যান্সারের সম্ভাবনা ১০০ গুণ বেড়ে যায়

ভুলেও বাচ্চাদের হাতে দেবেন না এই পাঁচটি জিনিস! এগুলো দিলেই বাচ্চার ব্রেইন টিউমার থেকে ক্যান্সারের সম্ভাবনা ১০০ গুণ বেড়ে যায়

ভুলেও বাচ্চাদের হাতে দেবেন না
এই পাঁচটি জিনিস!

এগুলো দিলেই
বাচ্চার ব্রেইন টিউমার থেকে ক্যান্সারের
সম্ভাবনা ১০০গুণ বেড়ে যায়!

আজ থেকেই এই জিনিসগুলো
দেওয়া বন্ধ করুন বাচ্চাকে!

নইলেই ঘনিয়ে আসবে মারাত্মক বিপদ!
বেড়ে যাবে মৃত্যুঝুঁকি!

চিনে রাখুন এই ৫টি জিনিস

১, সিলিকা জেল – নতুন ব্যাগ কিংবা নতুন জুতো কেনার পর, আপনারা তার ভিতর, ছোট্ট সাদা রঙের একটি প্যাকেট দেখতে পাবেন। যা হাত দিয়ে ধরলে ভিতরে দানা দানা অনুভূত হয়। এই সাদা প্যাকেটের উপর ইংরেজিতে কিংবা বাংলায় লেখা থাকে সিলিকা জেল। সেই সঙ্গে লেখা থাকে এটি ফেলে দিন এবং বাচ্চাদের নাগালে রাখুন। আপনারা অবশ্যই এই নির্দেশটি মেনে চলুন। বাচ্চাদের হাতে ভুলেও সিলিকা জেল দেবেন না। কিংবা এদিক-ওদিক সিলিকা জেলের প্যাকেট ফেলবেন না। সিলিকা জেল খুবই ক্ষতিকারক একটি ক্যামিকেল। এটি যে কোন জিনিসকে আদ্র এবং ভালো রাখতে ব্যবহার করে হয়। এটি যদি ভুল করে কোনভাবে বাচ্চার পেটে চলে যায় তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বাচ্চার খাওয়া-দাওয়া ক্ষেত্রে ভয়ংকর ক্ষতি হতে পারে। যদি আপনার বাচ্চা কখনও ভুল করে সিলিকা জেল খেয়ে ফেলে তাকে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।

২, মোবাইল – আজকালকার প্রত্যেকটি বাচ্চা মোবাইল ফোনে মারাত্মকভাবে আসক্ত। ছোট্ট এই যন্ত্রটি তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ। এটি শুধু বাচ্চাদের ভবিষ্যতই নষ্ট করছে এমন নয়, সেইসঙ্গে ছোট বাচ্চাদের শরীরের ভেতর ধ্বংসযজ্ঞও চালাচ্ছে। মোবাইল ফোন বাচ্চাদের জন্য একটি নীরব ঘাতক। শিশু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ১৪ বছরের আগে, বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিলে তাদের ব্রেইন টিউমার এবং ব্লাড ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মোবাইলে থাকা ভয়ংকর রেডিয়েশন বাচ্চাদের শরীরে এই ধরনের রোগ সৃষ্টি করে। আর বড়দের থেকে বাচ্চাদের ইমিউনিটি সিস্টেম তুলনামূলক কম থাকায়, তাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।

৩, কম্পিউটার – অনেকেই ছোট বাচ্চাদের কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেন। শিশু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের, কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেবেন না। এতে করে বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কারণ কম বয়স থেকেই, কম্পিউটার চালালে বাচ্চারা অনেক বেশি যান্ত্রিক হয়ে পড়ে। বাচ্চাদের মধ্যে যন্ত্র নির্ভরশীলতা বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা ছোট বাচ্চাদের কম্পিউটার ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন।

৪, হেডফোন – অনেক অভিভাবক ছোট বাচ্চাদের হেডফোন, ইয়ারফোন, ইয়ার বার্ডস গিফট করেন। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এভাবেই অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গেজেটগুলো শিশুদের কানের মারাত্মক ক্ষতি করে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আজকালকার বাচ্চারা ৭০ ডেসিবেলেরও বেশি শব্দ হেডফোনের মাধ্যমে শোনেন। এই অভ্যাসটি বাচ্চার কানের পর্দায় মারাত্মক আঘাত ফেলে। যা পরবর্তীতে বাচ্চাকে বধির পর্যন্ত করে দিতে পারে।

৫, বাচ্চাদের রুমে ওয়াইফাই বক্স – অনেকেই বাচ্চাদের রুমে পড়াশোনা সুবিধার্থে ওয়াইফাই বক্স লাগান। অভিভাবকরা আজ থেকে এই কাজটি বন্ধ করুন। বাচ্চাদের রুমে কখনো ওয়াইফাই বক্স বসাবেন না। কারণ ওয়াইফাই বক্স থেকে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন নির্গত হয়। যা আপনার ছোট্ট সন্তানের নীরবে ক্ষতি করে ফেলে। ওয়াইফাই থেকে বেরোনো রেডিয়েশন, ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক, এমনকি ব্রেন স্ট্রোকের কারণ। তাই আপনার বাচ্চাকে সুস্থ ও সবল রাখতে চাইলে এই পাঁচটা জিনিস থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *