কালো টাকা উদ্ধার হওয়ার পর সেগুলো কোথায় যায় জানেন?
কালো টাকা উদ্ধার হওয়ার পর
সেগুলো কোথায় যায় জানেন?
অবৈধ ধন দৌলত, বাড়ি-গাড়ি
উদ্ধার করে ইডি আধিকারিকেরা
ঠিক কি করেন?
জানলে চমকে যাবেন?
২০২২ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক দুর্নীতি কাণ্ডে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। আর এই তল্লাশি চালানোর সূত্র ধরেই, ইডির হাতে কোটি কোটি টাকা পয়সা, ধন-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় কোটি কোটি টাকা। সাধারণ মানুষের জানতে ইচ্ছে করে দুর্নীতি কাণ্ডে বাজেয়াপ্ত হওয়া এই সমস্ত কালো সম্পদ কোথায় যায়? এগুলো উদ্ধার করার পর তদন্তকারীরা এগুলোর সাথে কি করেন?
এক নজরে দেখুন এই অবৈধ কালো সম্পত্তিগুলোর সাথে কি কি হয় –
প্রথম ধাপে, বাজেয়াপ্ত সমস্ত কালো ও অবৈধ সম্পত্তিগুলির একটি লিস্ট তৈরি করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপে প্রত্যেকটি সম্পত্তি আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা হয়। যেমন উদ্ধার হওয়া কালো টাকাগুলোকে একসাথে রাখা হয়, উদ্ধার হওয়ার অবৈধ সম্পত্তিগুলোকে একসাথে রাখা হয় – এভাবে যার কাছ থেকে যা যা উদ্ধার হয়েছে সমস্ত কিছু আলাদা করে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাগ করে রাখা হয়। ।
তৃতীয় ধাপে, দায়িত্বরত একজন তদন্ত আধিকারিকের নামে একাউন্ট খোলা হয়। তারপর সেখানে কালো টাকাগুলো রাখা হয়। আর এই সম্পূর্ণ কাজটি আদালতের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। এক্ষেত্রে আদালত ও ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্তারা যদি মনে করেন, কালো টাকাগুলোকে খাটানো যাবে তাহলে তারা খাটাতেও পারেন।
চতুর্থ ধাপে তদন্ত আধিকারিকদের প্রমাণ করতে হয়, তারা যা যা উদ্ধার করেছেন সেগুলো অবৈধ এবং অনৈতিক। আদালতের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি তদন্ত আধিকারিকেরা, তাদের যুক্তি এবং দাবি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে বাজেয়াপ্ত অর্থ, সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে। অন্যদিকে যদি প্রমাণ না হয়, তাহলে সুদ সহ সমস্ত টাকা তদন্ত আধিকারিকদের আদালতে ফেরত দিতে হয়।
Leave a Reply