এক বছরেই গ্রেফতার তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী! রাঘব-বোয়াল থেকে চুনো পুঁটি তালিকাটা বেশ লম্বা! অনুব্রত থেকে জ্যোতিপ্রিয় দুর্নীতির অভিযোগে জেলের ঘানি টানছেন রাজ্যের কোন কোন নেতা-মন্ত্রী! এক নজরে দেখে নিন তালিকাটা!
এক বছরেই রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী গিয়েছে শ্রীঘরে। জেলের ভাত খেয়েছেন শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা থেকে বিধায়ক সকলেই। কারও বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ, তো কারও বিরুদ্ধে আবার গরু পাচার মামলা আবার কারও বিরুদ্ধে রয়েছে রেশন বণ্টনে কারচুপির অভিযোগ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এক বছরে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের তালিকা।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনমন্ত্রী
রেশন বণ্টন মামলায় ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাতভর বাড়িতে অভিযানের পর গভীর রাতে তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে তুলে এনেছিলেন ইডির অফিসারেরা। ২০২০ থেকে ২২-এর মধ্যে নদিয়া জেলাতেই তিনটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তে নেমে ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তার আগে রাতভর তাঁর বেহালার বাড়িতে অভিযান চালায় তদন্তকারী সংস্থা।
অনুব্রত মণ্ডল, বীরভূম জেলা সভাপতি
অবশেষে ২০২২ সালের ১১ অগস্ট গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। মন্ত্রীর বোলপুরের বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। রাখি পূর্ণিমার দিনেই ঠাকুরঘর থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতাকে।
মানিক ভট্টাচার্য, বিধায়ক
এই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য-ও। ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন নদিয়ার পলাশি পাড়ার এই বিধায়ক। অভিযোগ ওঠে জেনে শুনে অযোগ্য দের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। ওই সমস্ত অযোগ্য প্রার্থীরা সকলেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক নিয়োগকাণ্ডে দ্বিতীয় গ্রেফতারি ছিলেন।
জীবনকৃষ্ণ সাহা, বিধায়ক
শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার এই বিধায়ককে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। টানা ৬৫ ঘণ্টার তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
কুন্তল ঘোষ, প্রাক্তন যুবনেতা
এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার হন প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে তার নাম। হুগলির এই তৃণমূল যুবনেতাকে ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন যুবনেতা
চলতি বছরেই অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। কুন্তলের মতো তিনিও হুগলির তৃণমূল যুবনেতা। তাঁর বলাগড়ের বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ডসহ নানা নথি উদ্ধার করেছিল তদন্তকারীরা। অবশেষে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
Leave a Reply