রোজ পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার, বাপ বাপ করে পালাবে কোলেস্টরল! টানা সাত দিন খেলেই রক্ত পরিষ্কার হবে
রোজ পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার, বাপ বাপ করে পালাবে কোলেস্টরল!! পরিষ্কার করে দেবে রক্ত!! টানা সাত দিন খেলেই, শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে খারাপ কোলেস্টরল!! পালিয়ে যাবে আরো অনেক বড় বড় রোগ!! শেষ হবে, হার্ট অ্যাটাকের ভয়!! ………………… কোলেস্টরল আর হার্ট এটাক, এই দুটি রোগ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই কথা। বিশ্বের সিংহভাগ হার্ট অ্যাটাকের কারণ, রক্তে থাকা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। মানব শরীরের দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। প্রথমটি হল লাইপো প্রোটিন এইচডিএল এবং দ্বিতীয়টি হল লো-ডেনসিটি লাইপো প্রোটিন বা এলডিএল। এই দ্বিতীয় কোলেস্টরেলটিকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল। যার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হয়। এই খারাপ কোলেস্ট্রলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই, শরীরের অর্ধেক রোগ পালিয়ে যাবে! আর এই খারাপ কোলেস্টেরলকে তাড়াতে প্রতিদিন পাতে এই পাঁচটি খাবার রাখুন –
১, হুয় প্রোটিন –
অনেকেই হয়তো এই খাদ্য উপাদানটির সঙ্গে পরিচিত নন। আবার কারো কাছেই হয়তো এটি একেবারে নতুন একটি নাম। তবে এই খাবারটি খুবই সহজলভ্য। হাতের কাছেই পেয়ে যাবেন। এটি তৈরি হয় পনির তৈরি করার পর যে জল বেরিয়ে যায় সেটি দিয়ে। একেই বলা হয় হূয় প্রোটিন। এটি রক্তকে পরিষ্কার করে। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলকে বার করে দেয়।
২, ওটস –
খারাপ কোলেস্টেরলকে জব্দ করতে ওটস এর জুরি মেলা ভার। চিকিৎসকরা বলছেন ওটসে, সলিউবল নামক এক ধরনের ফাইবার থাকে। যা শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলকে বার করে দেয়। তাই চিকিৎসকরা প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট এক বাটি করে ওটস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
৩, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডযুক্ত মাছ –
কোলেস্টেরল তাড়াতে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে সব মাছ খেলে কোলেস্টরল যাবে না। এর জন্য খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ। যে মাছগুলোতে থাকে ভীষণ মাত্রাই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই ধরনের মাছগুলো রক্তে থাকা ব্লাড ক্লটকে পরিষ্কার করে দেয়। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
৪, মটরশুঁটি –
কোলেস্টরলকে জব্দ করতে মটরশুঁটির জুড়ি মেলা ভার। তার কারণ মটরশুটিতে থাকে শক্তিশালী ফাইবার। ফাইবার হার্টকে।চাঙ্গা রাখতে ওস্তাদ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মটরশুটি রাখলে,n আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যাবে।
৫, কমলালেবু –
কোলেস্টেরলে কমলালেবুর অবদান সম্পর্কে জানেন? কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণ দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। সেই সঙ্গে থাকে পেকটিন নামক একটি খাদ্য উপাদান। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে আনে। এছাড়াও কমলালেবুতে থাকে ভীষণ মাত্রায়, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি যা শরীরের অন্যান্য রোগকেও প্রতিহত করে।
Leave a Reply