ময়ে ময়ে গানে রিলস বানাচ্ছেন? জানেন এই গানের বাংলা অর্থ কি? জানলে আর গাইবেন না এই গান!

ময়ে ময়ে গানে রিলস বানাচ্ছেন? জানেন এই গানের বাংলা অর্থ কি? জানলে আর গাইবেন না এই গান!

ময়ে ময়ে গানে রিলস বানাচ্ছেন?
জানেন এই গানের আসল অর্থ কি?

না জেনে না বুঝেই,
Tiktok, রিলস বানাচ্ছেন?

অত্যন্ত মর্মান্তিক, দুঃখজনক
এই গানের প্রতিটি অক্ষর!

জানলে আর গাইবেন না এই গান!
ভুলেও আর বানাবেন না রিলস!

তীব্র আর্তনাদে ফেটে যাবে বুক!
চোখের জলে ভাসবে আপনার হৃদয়!

দেখুন ময়ে ময়ে গানের
পেছনে থাকা, চরম সত্য!

জানুন কেন এত ভাইরাল হল
এই গান!

সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল “ময়ে ময়ে” নামক একটি গান। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে এই গানটি রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে আছে। টিকটক, ফেসবুক থেকে শুরু করে ইউটিউব, সমস্ত রকম প্লাটফর্মে এই গানটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয়দের মধ্যেও এই গান নিয়ে উন্মাদনার কমতি নেই। তবে এই গান নিয়ে এত মাতামাতি হলেও, এই গানের অর্থ ভারতীয়দের অনেকেই মানুষই জানেন না। না জেনে, না বুঝে, ময়ে ময়ে গান দিয়েই দেদার রিলস বানিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় নেটজনতা। তবে এই গানটি সামাজিক মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা পেলেও, এই গানের প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে আছে মন খারাপের অনুষঙ্গ। গানটির নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অপার রহস্য। যা ভারতীয় বাঙালি নেটিজেনরা, অনেকেই জানেন না।

ময়ে ময়ে এটি একটি সার্বিয়ান গান। গানটি গেয়েছেন সার্বিয়ার গায়িকা ও সুরকার তেয়া দোরা। আর এই গানটি লিখেছেন তেয়া দোরা ও সার্বিয়ান র‍্যাপার স্লোবোদান ভেলকোবিক কোবি। গানটির জনপ্রিয় সুরটি দিয়েছেন লোকা জোভানোবিক। এরা প্রত্যেকেই সারবিয়ান শিল্পী। অনেকেই গানটিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছেন। কিন্তু এই গানটি সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তার কারণ লুকিয়ে আছে গানটির অর্থের মধ্যে। ময়ে ময়ে এই গানটি একটি অত্যন্ত দুঃখের গান। এই গানের প্রতিটি অর্থে লুকিয়ে আছে বিষাদের যন্ত্রণা। ময়ে ময়ে শব্দের অর্থ _ দুঃস্বপ্নেরা মরে মরে তাড়া করা। জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তির খোঁজে এই গানটি গেয়েছেন গায়িকা। এই গানের প্রতিটি চরণে প্রতিটি লাইনে শিল্পী বলছেন তাকে দিনের পর দিন দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায়। দুঃস্বপ্ন শিল্পীর হতাশা ও বিচ্ছিন্নতাকে কেবল বাড়িয়ে তুলছে। ভয়ংকর-খারাপ স্বপ্ন গুলো তাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু তিনি বেঁচে ফিরতে চান। এই দুঃস্বপ্নের মায়াজালের মধ্যে থেকে তিনি ফিরে আসতে চান। সমস্ত ডিপ্রেশন এবং ফ্রাস্ট্রেশন থেকে, তাকে উদ্ধার করার জন্য কেউ তার পাশে এসে দাঁড়াক। সেই মানুষটা তাকে বুঝুক, তার মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে শান্তনা দিক।

এই গানটি রিলিজ হয়েছে ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও এই গানের আকর্ষণ এক ফোঁটাও মলিন হয়নি। বরং সময় যত পেরিয়েছে টিকটক থেকে শুরু করে সমস্ত সামাজিক প্ল্যাটফর্মে হু হু করে বেড়েছে এই গানটির ভিউস। সমস্ত গান শোনার স্ট্রিমিং অ্যাপ গুলোতে, বিশেষ করে স্পটিফাইতে , সাড়ে ৭০০ কোটি বার এই গানটি শোনা হয়েছে। যা একপ্রকার রেকর্ড তৈরি করে দিয়েছে। দর্শকদের থেকে গানটির জন্য এত ভালবাসা পেয়ে, গানটির শিল্পী তেয়া দোরা একটি পোষ্টের মাধ্যমে নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, গানটি নিয়ে মানুষের মধ্যে এত উন্মাদনা দেখে তিনি বিস্মিত !! প্রতিদিনই বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে তিনি এই গানের জন্য ভালোবাসা কুড়াচ্ছেন!! সবকিছুর জন্য তিনি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ!!

তবে এই ময়ে ময়ে – ঝড়ে সামাজিক মাধ্যম থেকে ছিটকে গিয়েছে, “জাস্ট লুকিং লাইক আ ওয়াও”, “কাকলি ফার্নিচার” এর মতন ভাইরাল ভিডিওগুলো। ২০২৩ সালের শেষে গোটা সামাজিক মাধ্যমে শুধুই ময়ে ময়ে……..


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *