মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের আগে, এই ৫টি লক্ষণ দেখা যায়! এই লক্ষণগুলো দেখা মাত্রই সাবধান হয়ে যান, তাহলেই সাংঘাতিক বিপদ

মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের আগে, এই ৫টি লক্ষণ দেখা যায়! এই লক্ষণগুলো দেখা মাত্রই সাবধান হয়ে যান, তাহলেই সাংঘাতিক বিপদ

মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের আগে, এই ৫টি লক্ষণ দেখা যায়!! এই লক্ষণগুলো দেখা মাত্রই সাবধান হয়ে যান!! ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না!! তাহলেই সাংঘাতিক বিপদ!! বুকে ব্যথা ছাড়াও, এই ৪টি মারাত্মক উপসর্গ দেখা যায়! এগুলো দেখলেই বুঝে নিন দুয়ারে মৃত্যুঝুঁকি!!……. ক্যান্সারের পরেই অত্যন্ত ভয়াবহ একটি রোগ হার্ট অ্যাটাক। ধপ করে হার্ট বন্ধ হলেই, তৎক্ষণাৎ হয়ে যায় হার্ট অ্যাটাক। মূলত হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল বন্ধ হলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট এটাকের ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। সেইসঙ্গে মহিলাদের হার্ট এটাকের আগে বেশ কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায়। যা পুরুষদের হার্ট এটাকের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের আগে এই ৫টি লক্ষণ দেখা যায়। এক নজরে দেখুন লক্ষণগুলো কি কি –

১, হঠাৎ করেই হজমের সমস্যা শুরু –

আমেরিকার একদল হার্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের আগে হঠাৎ করে হজমের সমস্যা দেখা যায়। তারা আরো জানিয়েছেন , ৩৪ বছর বয়সী মহিলা যাদের হার্ট এটাকের লক্ষণ শুরু হয় তাদের বমি বমি ভাব অনুভূত হয়। সেই সাথে চোয়াল, ঘাড়, পিঠ বাহু এবং কাঁধে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। কোন কারণ ছাড়া এ ধরনের লক্ষণগুলো দেখা দিলে, তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন।

২, হাতের বাহুতে ঝিঝি ধরা –

মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের আগে হাত অসাড় হয়ে যাওয়া, হাতের বাহুতে ঝিঝি ধরার মতন সমস্যা দেখা যায়। গবেষণা অনুযায়ী, হঠাৎ করেই দুটো হাতে অসারতা অনুভব হলে হার্ট এটাক বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মহিলাদের এই উপসর্গটির প্রতি তীব্র মনোযোগ দেওয়া উচিত।

৩, দিনের পর দিন কাশতে থাকা –

চিকিৎসকরা বলছেন মহিলাদের হার্ট এটাকের আগে প্রচন্ড মাত্রায় কাশি হয়। এই কাশি সহজে যেতেই চায় না। এমনকি এই কাশির কবলে পড়ে মহিলাদের বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। কাশি সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়ে। এই লক্ষণ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।। কোনও কারণ ছাড়া এ ধরনের লক্ষণ মোটেও সুবিধাজনক নয়।

৪, কোন কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠা –

মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক এর আগে এই লক্ষণটি সবথেকে বেশি তীব্র হয়ে ওঠে। কোন কাজ করতে গিয়ে বারবার হাপিয়ে ওঠেন মহিলারা। এমনকি সেটা যদি এক গ্লাস জল ঢেলে, খাওয়ার মত কোন কাজ হয়, সেক্ষেত্রেও দুর্বল অনুভূত হয়। সারাক্ষণ ঘুমিয়ে থাকার ইচ্ছা হয়। এই লক্ষণটি দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কোনভাবেই এই সব লক্ষণ চেপে রাখা যাবেনা।

৫, প্রচন্ড পরিমাণে ঘাম –

হার্ট এটাকের আগে মহিলাদের প্রচন্ড পরিমাণে ঘাম হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও ঘাম হয় তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ঘাম অত্যাধিক বেশি হয়। যদি কোনও মহিলা এই ধরনের লক্ষণ অনুভূত করেন তাহলে নিকটস্থ চিকিৎসালয়ে যান।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *