দীপান্বিতা কয়ালকে চেনেন? তার আসল পরিচয় জানেন? মাত্র ১০ বছর বয়সী এই মেয়েটি, কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া

দীপান্বিতা কয়ালকে চেনেন? তার আসল পরিচয় জানেন? মাত্র ১০ বছর বয়সী এই মেয়েটি, কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া

দীপান্বিতা কয়ালকে চেনেন?
তার আসল পরিচয় জানেন?

মাত্র ১০ বছর বয়সেই,
কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া!

কখনো ভক্তিমূলক কীর্তন গেয়ে,
কখনো সাংসারিক জীবনের উপদেশ দিয়ে,

কোটি কোটি মানুষের মনে
জায়গা করে নিয়েছে!

তার কৃষ্ণ সেবার দেখেলে
ভিমড়ি খাবে বড় বড় সাধু সন্ন্যাসীরা!

দেখুন দীপান্বিতা কয়ালের
আসল পরিচয়!

আজকাল সামাজিক মাধ্যমে গেলেই দেখা যায়, দীপান্বিতার অজস্র ভিডিও। নিউজ ফিড স্ক্রল করলেই, ১০ টি ভিডিওর মধ্যে ৫টি ভিডিও হয়তো দীপান্বিতারই থাকে। ছোট্ট দীপান্বিতার বয়স সবে ১০ বছর। তবে তার বয়স দেখলে বোঝাই যায় না সে এত সুন্দর বক্তা। কথার মাধুর্য ও সরলতায়, সে বড় বড় বাগমি বক্তাদেরও হারিয়ে দিতে পারবে। দীপান্বিতা বর্তমানে বসিরহাটের বাসিন্দা। চলতি মাসেই সে ১১ বছরে পদার্পণ করবে। বাবা, মা, দিদিকে নিয়েই দীপান্বিতার, সুখী ছোট্ট পরিবার। ক্লাস ফাইভে পড়ে। স্কুলের ফার্স্ট গার্ল। ধর্মচর্চার পাশাপাশি শিক্ষা চর্চাতেও তুখোর দীপান্বিতা। তবে আর পাঁচটা বাচ্চার থেকে সে একেবারেই আলাদা। তার বয়সী অন্যান্য ছেলেমেয়েরা যখন হোম ওয়ার্ক, অংক শেখা নিয়ে ব্যস্ত , তখন সে হরিনাম গুণকীর্তনে বিভোর। ছোট থেকেই নাকি ধর্মের প্রতি তার অগাধ টান। জন্মের পর থেকেই হরিনাম হয়ে ওঠে তার মূলমন্ত্র। তবে এই সমস্ত কিছুই তাকে শিখিয়ে দিতে হয়নি। সহজতভাবেই ভগবানের প্রতি সে এক প্রবল টান অনুভব করে।

ছোট্ট এই মেয়েটিকে দেখলেই যেন ভক্তিভাব জেগে ওঠে।
কপালে কালো রঙের তিলক, পরনে শাড়ি, গলায় ফুলের মালা, সঙ্গে পবিত্র তুলসী মালা – তাকে মূলত এই বেশেই দেখা যায়। সে যখন মঞ্চে ওঠে, তার সামনে জড়ো হয় যায় হাজার হাজার মানুষ। তার কথা সবাই এক মনে, এক ধ্যানে শুনে। শুনবেন নাই বা কেন বলুন তো? গীতা থেকে শুরু করে উপনিষদ, বেদ এই সমস্ত ধর্মগ্রন্থগুলির কঠিন কঠিন তত্ত্বকথাগুলো, সে খুবই সহজ ভাষায়, সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেয়। তার মুখে কখনো শোনা যায় ভক্তিমূলক গান, কখনো সংসার জীবনের শিক্ষামূলক উপদেশ, আবার কখনো শোনা যায় সুমধুর হরিনাম। তার কন্ঠ নিঃসৃত কীর্তন শুনলে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।

ভগবানের নাম কীর্তন করেও দীপান্বিতাকে, মাঝে মাঝেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়। কম বয়সে ভক্তিমূলক গান ও কীর্তনের গাওয়ার জন্য, অনেকেই তাকে পাকনা বুড়ি বলেও সম্মোধন করেন। আবার কেউ কেউ তাকে হরিনাম ছেড়ে পড়াশোনা করার উপদেশ দেন। এ সব গায়ে মাখে না দীপান্বিতা। ভগবানের প্রতি বিশ্বাস রেখে, ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে, নির্ভয়ে এই কাজ করে যাচ্ছে। যা আমরা সামাজিক মাধ্যমে গেলেই দেখতে পাই।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *