ভারতীয় রেল

৯৯% যাত্রীই জানেন না! ভারতীয় রেলের এই ৫ টি সিক্রেট না জানলেই চরম মিস! ভারতীয় রেলের এই ৫টি নিয়ম না জানলে, পরে নিজেই নিজের হাত কামড়াবেন না তো! ভারতীয় রেলের এই ৫  নিয়ম জানলে আখেরে লাভ আপনারই! দেরি না করে এখনই জানুন এই ৫ অজানা নিয়ম!

পরাধীন ভারতে ইংরেজদের হাত ধরেই শুভ সূচনা হয়েছিল ভারতীয় রেলের।  সেই ১৮৫৩ সাল থেকে শুরু করে দেখতে দেখতে পার হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৭০ বছরেরও বেশি সময়। শুরু থেকেই ভারতীয় রেল যাত্রীদের সর্ব শ্রেষ্ঠ পরিষেবা দিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল। বর্তমানে আমাদের দেশে রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৮ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। ভারতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ রেল যাত্রী সফর করেন ট্রেনে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং তাদের সামগ্রিক সুযোগ সুবিধা দিতেই  করতে ভারতীয় রেল জারি করেছে একগুচ্ছ নিয়ম। আসুন জানা যাক ভারতীয় রেলের এমনই ৫ টি সিক্রেট।

এমার্জেন্সি অ্যালার্ম চেইন: ট্রেনের প্রতিটি কোচেই এমার্জেন্সি অ্যালার্ম চেইন থাকে। ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী একমাত্র জরুরি অবস্থাতেই এই চেন টানা যায়। যেমন মেডিকেল ইমার্জেন্সি, যাত্রী নিরাপত্তার জন্য হুমকি, দুর্ঘটনা বা যদি কোনও শিশু, বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা সঙ্গী ট্রেন মিস করে থাকেন।

ট্রেনের খাবারের দাম: কমবেশি সকলেই জানেন প্রকৃত এমআরপি থেকে পণ্যগুলির দাম প্রায়ই অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ট্রেনে এমনটা হয়না,কারণ গভর্নিং বডি ট্রেনের সমস্ত স্ন্যাকস, খাবার এবং পানীয়ের মতো সমস্ত খাবারের মূল্য নির্ধারণ করে রেখেছে। তাই কোনো বিক্রেতা এই নিয়ম না মানলে যাত্রীরা রিপোর্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মোটা টাকার জরিমানা সহ বাতিল হতে পারে লাইসেন্স।

ট্রেনের মাঝের বার্থ: ট্রেনের যাত্রীরা দিনের বেলা মাঝের বার্থ ভাঁজ করতে পারেন না। কারণ এই সময় নীচের এবং উপরের বার্থগুলি আসন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রেলের নিয়ম অনুযায়ী মিডল বার্থ বুক করা যাত্রীরা শুধুমাত্র রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বার্থ খুলে ঘুমোতে পারবেন। এই নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করলে নিচের বার্থের সহযাত্রীরা তাঁকে এই সিট বন্ধ করতে বলতে পারে।

রাত ১০ টার পর নির্দিষ্ট নিয়ম: রাত ১০ টার পরে কোনো যাত্রীকে বিরক্ত করা যাবে। তাই এই নির্ধারিত সময়ের আগেই টিটিইকে যাত্রীদের টিকিট চেক করতে হবে। যাত্রীদের ঘুমে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য রাত ১০ টার পর নাইট ল্যাম্প ছাড়া কোচের সমস্ত লাইট বন্ধ রাখতে হবে। সেই কারণে রাতের খাবারও ১০ টার আগেই পরিবেশন করতে হবে।

ভ্রমণের সময় যাত্রা প্রসারিত করা যায়: শীতের শুরু মানেই ঘুরতে যাওয়ার পিক সিজন। অন্য যাত্রীদের অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অনেক যাত্রীই তাদের আসল গন্তব্যের জন্য রিজার্ভেশন পান না। তবে ভারতীয় রেলে রয়েছে এমন একটি নিয়ম যার মাধ্যমে কোনো যাত্রী যদি টিকিট পান তবে প্রকৃত গন্তব্যের আগে একটি গন্তব্যের জন্য একটি টিকিট বুক করতে পারেন। পরে তারা টিটিই-এর থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেই যাত্রার মেয়াদ বাড়াতে পারেন। বিনিময়ে, টিটিই আগের যাত্রার জন্য একটি টিকিট ইস্যু করতে পারেন। তবে এটি একটি অন্য আসনের জন্য হয়ে থাকে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *