চীনকে মারাত্মক লজ্জায় ফেলল ভারত! ভারতের এই একটি সাফল্যে, চুন কালি পড়েছে জিং পিনের মুখে!

Title : চীনকে মারাত্মক লজ্জায় ফেলল ভারত! ছিনিয়ে নিল এক্কেবারে প্রথম স্থান

চিনকে গোহারা হারাল ভারত

এই একটি দিক দিয়ে
নতুন ইতিহাস গড়ল ইন্ডিয়া

ছিনিয়ে নিল এক্কেবারে প্রথম স্থান

ভারতের এর সাফল্যটি শুনলে
আপনিও গর্বিত বোধ করবেন

ঠিক কি অর্জন করেছে ভারত ?

বিশ্বের সমস্ত দেশকে দাদাগিরি দেখায় চিন। এবার চিনকে দাদাগিরি দেখাল ভারত। সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যানের দিক থেকে ইন্ডিয়া,, চিনকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। আর যে পরিসংখ্যানের দিক থেকে ভারত, চীনকে টক্কর দিয়েছে, তা জানলে গর্বে আপনার বুক ভরে যাবে। কোন দেশের উৎপাদন খরচ কম, তার উপরে এই পরিসংখ্যানটি তৈরি করা হয়েছে। আর এই পরিসংখ্যানটি তৈরি করেছে ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিক। এই পরিসংখ্যান তালিকায় বিশ্বের ৫০ টি দেশ রয়েছে। তার মধ্যে ৪৯ টি দেশকে পেছনে ফেলে, সেরা সেরা অর্থাৎ তালিকার একেবারে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। আমাদের দেশ। যা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সবচেয়ে সস্তায় জিনিসপত্র উৎপাদনের দিক থেকে ভারত বিশ্বের মধ্যে ফার্স্ট হয়েছে। অর্থাৎ এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতে যেকোনও পণ্য উৎপাদনের খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কাছাকাছি ঘেষতে পারেনি থাইল্যান্ড, ফিলিপিনস, বাংলাদেশের মতো দেশগুলো। ভারতের এই অর্জনের অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। তার কারণ একটি দেশের উৎপাদন খরচ যত কম হবে তত সেই দেশের ক্রয় – বিক্রয়ের ব্যাপারটির মধ্যে ভারসাম্য থাকবে। যেমন উৎপাদন খরচ কম হলেই জিনিসের দামপত্র হাতের নাগালে থাকবে। আর এই সম্পূর্ণ বিষয়টি জনগণের জন্যও স্বস্তিদায়ক। তাছাড়া এই বিষয়টি যেকোনো দেশের সরকারের কাছেও বিশাল বড় প্রাপ্তি।

পাশাপাশি ভারতের এই অর্জন চীনকে অনেক বড় লজ্জায় ফেলেছে। এই লজ্জাটি কিরকম জানেন? লজ্জাটি হল, চীনকে বলা হয় বিশ্বের কারখানা, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশের পণ্য উৎপাদন অনেক বেশি হবে, উৎপাদন খরচ নাগালের মধ্যে থাকবে, ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যে ভারসাম্য থাকবে! আপাতদৃষ্টিতে চিনের এই সমস্ত বিষয়গুলির অধিকারী হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা হয়নি। চীন কেবল নামেই বিশ্বের কারখানা! কাজের বেলায় লবডঙ্কা! উল্টে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো চীনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অ্যাপল এবং টেসলার মত তাবড় তাবড় দুনিয়া কাঁপানো কোম্পানিগুলো চীন থেকে মালপত্র গুটিয়ে অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের দেশেও বিনিয়োগ করতে চাইছে এপল এবং টেসলা। এই দিক থেকে চীন ভালো রকমের ধাক্কা খাচ্ছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল। চীনের কপালে অশনি সংকেত অপেক্ষা করছে।

আচ্ছা ভারত এবং চীনের মধ্যে এই পরিসংখ্যান কেন্দ্রিক অনেক তুলনা তো শুনলেন, এবার দেখুন এই পরিসংখ্যানে এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছে কোন কোন দেশ –

সেরা দশের প্রথমেই জ্বলজ্বল করছে ভারতের নাম।
ভারতের পরেই রয়েছে ড্রাগনের দেশ চীন।
চিনের পর রয়েছে ভিয়েতনাম।
এরপর সবচেয়ে সস্তায় উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে থাইল্যান্ড।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফিলিপিনস।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ।
সপ্তম স্থান অর্জন করেছে ইন্দোনেশিয়া।
খুব একটা পিছিয়ে নিয়ে কম্বোডিয়া, অষ্টম স্থানে রয়েছে এই দেশটি।
নবম এবং দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *