এই জাফিকুল ইসলাম আসলে কে?

যে তৃণমূল নেতার টয়লেট থেকে পাওয়া গেল ভুঁড়ি ভুঁড়ি টাকা! চেনেন সেই তৃণমূল নেতা
জাফিকুল ইসলামকে? জানুন তাঁর সম্পত্তি তালিকায় ঠিক কি কি আছে?

যে তৃণমূল নেতার টয়লেট থেকে
পাওয়া গেল ভুঁড়ি ভুঁড়ি টাকা!

চেনেন সেই তৃণমূল নেতা
জাফিকুল ইসলামকে?

একসময় ছিলেন গরীব চাষার সন্তান,
ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোত!

ভাত জোগাতে গরুর হাটে
কাজ করেছিলেন!

সেখান থেকেই এক লাফে পুর প্রধান!
শত শত লক্ষ টাকার মালিক!

জানুন তাঁর সম্পত্তি তালিকায়
ঠিক কি কি আছে?

নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। একুশের বিধানসভায় জিতে বিধায়ক হয়েছেন। খুব বেশিদিন হয়নি রাজনীতির উঠোনে পা রেখেছেন। তার মধ্যেই দুর্নীতিতে হাত পাকিয়ে ফেলেছেন এই টিএমসি নেতা। ইডির আতস কাঁচের নীচে আসতে না আসতেই তার বিরুদ্ধে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যা শুনে ইডি আধিকারিকেরা নিজেরাই থমকে যাচ্ছেন। বিশ্বাসই করতে পারছেন না এই নেতার কান্ড কীর্তি! কিন্তু এখনো অনেকেই জানেন না জাফুল ইসলাম আসলে কে!

তাহলে দেখুন কে জাফিকুল ইসলাম?

জাফিকুলের এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে,
জাফিকুল কৃষক পরিবারের সন্তান। তার মা ছিলেন বাম আমলের আশা কর্মী এবং তার বাবা ছিলেন হত দরিদ্র চাষা। দিনে এনে, দিনে খেয়ে বেড়ে উঠেছেন জাফিকুল। অভাব অনটন ছিল তার নিত্য সঙ্গী। তিনি প্রথমে গরুর হাটের মুন্সি ছিলেন। তার কাছে টাকা পয়সা সেই অর্থে ছিল না। এরপর তিনি রুটি রুজির জন্য গাড়ির খালাসী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে শুরু করেছিলেন মুড়ির মিল। এরপর থেকেই রকেটের মতো বাড়তে থাকে তার সম্পত্তির পরিমাণ। ধীরে ধীরে যোগ দেন কংগ্রেসের রাজনীতিতে। পরবর্তীতে অবশ্য তৃণমূলে চলে আসেন এই নেতা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিধায়কের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে এবার তার মুখোশ খুলে দিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। বিধায়ক পদের সাথে সাথেই, নিয়োগ দুর্নীতিতেও তিনি জড়িত, ধরিয়ে দিলেন তদন্ত আধিকারিকেরা।

এক নজরে দেখুন জাফিকুলের সম্পত্তি তালিকায় কি কি রয়েছে –

১, তদন্ত আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন জাফিকুলের দুটি কলেজ রয়েছে। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পথ চলা শুরু করে। জাফিকুলের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানে অনেকেই ভর্তি হন।

২, এছাড়াও জাফিকুলের নামে একাধিক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তদন্ত অধিকারিকেরা। যেহেতু এখনো তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রয়েছে তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সিবিআই। তাদের অনুমান কড়াকড়িভাবে তল্লাশি চালালে জাফিকুলের নামে অনেক অবৈধ কালো টাকা, অবৈধ ব্যাংক একাউন্ট এবং অবৈধ বাড়ি গাড়ির হদিশ মিলতে পারে।

অতএব একটা কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় জাফিকুলের দুর্নীতির ট্রেলার সবে শুরু হল সিনেমা এখনো বাকি আছে!! এই খবরের সমস্ত আপডেট সবার আগে পেতে চোখ রাখুন বাংলা হান্টের পেজে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *