এবার মিড ডে মিলের সাথেই দেওয়া হবে সকালের ব্রেকফাস্ট! ডিম, দুধ, কলা, পাউরুটি, পাতে থাকবে পুষ্টিকর সুস্বাদু খাবার!

এবার মিড ডে মিলের সাথেই দেওয়া হবে সকালের ব্রেকফাস্ট! ডিম থেকে কলা থাকছে একের পর এক পুষ্টিকর খাবার!

এবার মিড ডে মিলের সাথেই
দেওয়া হবে সকালের ব্রেকফাস্ট!

ডিম থেকে কলা থাকছে
একের পর এক পুষ্টিকর খাবার!

তবে সব পড়ুয়ারা পাবেন না!
কারা কারা পাবেন?

আর কি কি থাকবে টিফিনে ?

কোন কোন স্কুলে পাবেন
এই পরিষেবা?

এত দিন স্কুলে গেলে পড়ুয়ারা মিড ডে মিল পেত। এবার থেকে মিড মিলের পাশাপাশি ব্রেকফাস্টও পাবে। পড়ুয়াদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এমনই অভিনব উদ্যোগ চালু হলো। অভাবী, মধ্যবিত্ত পরিবারের পড়ুয়ারা অনেক সময় খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করতে করে না। কেউ কেউ সকালে না খেয়েই স্কুলে চলে যায়। সকালবেলায় খালি পেটে থাকা একেবারেই ঠিক নয়, পাকস্থলীর ক্ষতি হয়। ফলে সকালে খালি পেটে থাকা পড়ুয়াদের মধ্যে পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। আর তাই এদের জন্য সকালে ব্রেকফাস্ট দেওয়ার মতন অভিনব উদ্যোগটি নিয়েছে বর্ধমানের শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠ প্রাইমারি স্কুল। ইতিমধ্যেই উদ্যোগটি চালু হয়েছে। ব্রেকফাস্ট এর মেনুতে রাখা হচ্ছে সুস্বাদু পুষ্টিকর খাবার। দুধ, ডিম, পাউরুটি, কলা আরো অনেক কিছুই থাকছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের স্কুলে দরিদ্র পরিবারের অনেক পড়ুয়ারা রয়েছেন। যাদের মধ্যে একাংশ কোনরকম ব্রেকফাস্ট না করেই স্কুলে চলে আসে। যার ফলে এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাদের মধ্যে পুষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এদের কথা ভেবেই ওই স্কুলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্রেকফাস্ট এর ব্যবস্থা চালু করেছেন। যার মাধ্যমে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলের পাশাপাশি ব্রেকফাস্টও দেওয়া হবে। তারা এই উদ্যোগটির নাম রেখেছেন, সকালের পুষ্টি সকলের পুষ্টি ।

এই উদ্যোগটি পরিচালনা করতে তারা তিন লক্ষ টাকা খরচ করছেন। আর এই টাকা তারা অন্য কোথাও থেকে জোগাড় করেননি। এমনকি রাজ্য কিংবা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকেও কোন সাহায্য নেয়নি। স্কুলের কর্তৃপক্ষরা নিজেদের সামর্থে এই তিন লক্ষ টাকা জোগাড় করেছেন। এছাড়াও এলাকার হৃদয়বান মানুষেরও তাদের ওই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের কোনও স্কুলে এখনো পর্যন্ত এ ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ প্রথম বর্ধমানের স্কুলেই এমন কল্যাণমুখী উদ্যোগ দেখা গিয়েছে। এই প্রকল্প চালিয়ে যেতে, যাতে কোনও প্রকার অসুবিধা না হয়, সেইজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে টাকা জমানো শুরু হয়েছে। উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার না পারলেও অন্তত স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এত সুন্দর একটি উদ্যোগ চালু করা গেল।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *