সময়ের চেয়ে এগিয়ে তিনি! মাত্র ৮ বছরেই পাশ করেছিলেন মাধ্যমিক! ভারতের বিস্ময় বালিকা নয়না জায়সওয়াল! মাত্র ২২ বছর বয়সেই দেশের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা গবেষক তিনি! নাম রয়েছে ক্রীড়াবিদ হিসাবেও! ঝড়ের বেগে মাত্র মাত্র ৩ সেকেন্ডেই কম্পিউটারে টাইপ করে ফেলেন ইংরেজি বর্ণমালার সব বর্ণ। মাত্র ২৫ মিনিটেই রান্না করেন হায়দরাবাদি বিরিয়ানি।
ভারতবর্ষ মানেই শিক্ষা সংস্কৃতির পীঠস্থান। আমাদের দেশের প্রত্যেক প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রতিভাধর ছাত্র-ছাত্রী। এমনিতে ভারতবর্ষে বিস্ময় বালক-বালিকার সংখ্যা নেহাত কম নয়। আমাদের দেশের এমনই এক বিস্ময় বালিকা হলেন নয়না জায়সওয়াল। দেশের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা গবেষকের শিরোপা উঠেছে তাঁর মুকুটে। তবে শুধু পড়াশোনাই নয় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ক্রীড়াবিদ হিসাবেও যথেষ্ট নাম রয়েছে নয়নার। খেলাধুলার পাশাপাশি রান্নাবান্না কিংবা কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়েও কাজ করতে পারদর্শী নয়না।
নয়নার জন্ম হায়দ্রাবাদে। কিন্তু তিনি যে আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মত নয় তা খুব কম সময়ের মধ্যেই আঁচ করতে পেরেছিলেন নয়নার বাবা-মা। সাধারণত আমাদের দেশের বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরাই ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সে মাধ্যমিক পাশ করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম নয়না। তিনি মাত্র আট বছর বয়সেই দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছিলেন। আর মাত্র ১০ বছর বয়সেই পেরিয়েছিলেন স্কুলের গণ্ডি। তারপর মাত্র ১৩ বছর বয়সে জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক পাস করেন নয়না।
তারপর নয়নার মুকুটে ওঠে এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ মহিলা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রাপক মহিলার খেতাব। তারপর ১৫ বছর বয়সেই হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। এর পর আইন নিয়েও প়ড়াশোনা করেনএই বিস্ময় বালিকা। তবে এখানেই শেষ নয়, অবাক হওয়ার বাকি আছে আরও,মাত্র ১৭ বছর বয়সেই গবেষণা শুরু করে ২২ বছর বয়সে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা গবেষক হন তিনি। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের অবদান নিয়েই গবেষণা করেছিলেন তিনি।
এছাড়াও ক্রীড়াবিদ হিসাবেও বেশ নামডাক রয়েছে নয়নার। তিনি একজন তারকা টেবল টেনিস খেলোয়াড়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে অনেক পদকও জিতেছেন। নয়না মাত্র ২২ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।এ ছাড়া কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যারের কাজেও সিদ্ধহস্ত তিনি। মাত্র ৩ সেকেন্ডেই ইংরেজি বর্ণমালার সব বর্ণ কম্পিউটারে টাইপ করতে পারেন নয়না। সুবক্তা হিসাবেও ভারত এবং ভারতের বাইরে নাম রয়েছে নয়নার। এছাড়াও পিয়ানোবাদক হিসাবেও সুনাম রয়েছে তাঁর। হাতেও দারুন জাদু নয়নার । শুনলে অবাক হবেন মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যেই হায়দরাবাদি বিরিয়ানিও রান্না করতে পারেন এই বিস্ময় বালিকা। তাই নয়নাকে সত্যিই বলতে ইচ্ছা করে ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।’
Leave a Reply