দুয়ারে পোস্ট অফিস! বেকারদের জন্য দারুন সুযোগ দিচ্ছে পোস্ট অফিস! সরকারি চাকরির মাইনের থেকেও বেশি আয় হবে মাসে! মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়েই নিজের বাড়িতে খুলুন পোস্ট অফিস! সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে এই ব্যবসা শুরু করলেই ফুলে ফেঁপে উঠবে আপনার লক্ষ্মী ভান্ডার! পোস্ট অফিসের এই ব্যবসায় প্রতিদিন আয় হবে মোটা টাকা! কারা পাবেন এই সুবিধা? কি কি শর্ত আছে? জানুন সম্পূর্ণ পদ্ধতি।
রাজ্যে এখন চাকরির আকাল, চারদিকে বেকার যুবক-যুবতীদের হাহাকার! তাই সরকারি চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে অনেকেই ঝুঁকছেন ব্যবসার দিকে। এবার সাধারণ মানুষদের জন্যএমনই এক অভিনব ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে পোস্ট অফিস। যার মাধ্যমে বাড়িতেই পোস্ট অফিস খুলে বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে মাসে মাসে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন একজন সাধারণ মানুষ। এটি একটি সরকারি সংস্থা। তাই প্রত্যেকদিন ভালো সংখ্যার গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু শর্ত। আসুন জানা যাক বাড়িতে পোস্ট অফিস খোলার নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত।
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে সাধারণ মানুষরাও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যাবসা করতে পারবেন। ভারতে বর্তমানে প্রায় ১.৫৫ লাখ পোস্ট অফিস রয়েছে। তবে পোস্ট অফিসের থেকে গ্রাহকের সংখ্যা অনেক বেশি। পোস্ট অফিসে প্রচুর ভীড়ওজমে। প্রতকে এলাকায় পোস্ট অফিসও নেই। এই কারনেই এখন সাধারণ মানুষকেও পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি-র অধীনে কিছু টাকা জমা দিয়ে, সাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে নিজের বাড়িতেই পোস্ট অফিস খোলা সম্ভব।
ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রকারভেদ
পোস্ট অফিস সাধারণ মানুষদের ব্যাবসা করার জন্য দুধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেয়। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট এবং পোস্টাল এজেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট: যে সব এলাকায় পোস্ট অফিস নেই কিংবা অনেক দূরে রয়েছে, সেখানে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেটের মাধ্যমে কাউন্টারের পরিষেবা দেওয়া যাবে।
পোস্টাল এজেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি: গ্রাম বা শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্টেশনারি এবং স্ট্যাম্প বিক্রি করে পোস্ট অফিসের পরিষেবা দেওয়া হবে।
মোটা টাকা আয়:
যদি কারও বাড়ির আশপাশের এলাকায় পোস্ট অফিস না থাকে অথবা বাড়ির কাছের পোস্ট অফিসে প্রচন্ড ভীড় হয়, তাহলে নিজের বাড়িতেই পোস্ট অফিস খুলে মোটা টাকা আয় আয় করা যাবে। গ্রাহকদের বিভিন্ন পরিষেবা দান করলে সেই সমস্ত পরিষেবার উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ কমমিশন পাওয়া যাবে। এই ভাবে প্রতিমাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্তও আয় করা যায়। মূলত গ্রাহক সংখ্যার উপরেই আয় নির্ভর করে।
কি কি পরিষেবা দিতে পারবেন?
এখন পোস্ট অফিসে অনেক প্রকার পরিষেবাই দেওয়া হয়। তবে কেউ যদি বাড়িতেই পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেন তাহলে তিনি গ্রাহকদের যে পরিষেবাগুলি দিতে পারবেন সেগুলি হল –
রেজিস্ট্রার্ড নিবন্ধ বুকিং ,
স্পীড পোস্ট নিবন্ধ বুকিং,
মানী অর্ডার,
পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের (PLI) এজেন্ট এর পরিষেবা,
বিল/ট্যাক্স/জরিমানা সংগ্রহ/অধিদপ্তরের পেমেন্ট এর মত খুচরা পরিষেবার,
ই-গভর্নেন্স এবং নাগরিক-কেন্দ্রিক পরিষেবা,
ভবিষ্যতে তার আউটলেটগুলির মাধ্যমে বিভাগ কর্তৃক প্রবর্তিত অন্য কোনো পরিষেবা,
স্ট্যাম্প এবং স্টেশনারি বিক্রি।
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি কারা নিতে পারবেন?
আপনাকে অবশ্যই একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে,আর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে। তবে পরিবারের কেউ যেন পোস্ট অফিসের সদস্য না হয়। তবেই এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং ইন্ডিয়া পোস্টের সাথে একটি এমওইউ স্বাক্ষর করতে হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন?
প্রথমেই সর্ব নিম্ন ৫০০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। তবে এটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেটের জন্য। এর মূল কাজ হলো সার্ভিস পাস করা। তবে পোস্টাল এজেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে হলে আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তবে এতে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনার জন্য বেশি টাকা দরকার হয়। এছাড়াও বাড়িতে পোস্ট অফিস খোলার জন্য সর্বনিম্ন ২০০ বর্গফুট এর ঘর বা অফিস এলাকা দরকার।
এইভাবে আবেদন করুন
এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্ট দিয়ে প্রথমে একটি ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। এরপর তা মেন পোস্ট অফিসের ব্রাঞ্চে জমা করতে করতে হবে। আবেদন করার ১৪ দিনের মধ্যে পরবর্তী আপডেট পাওয়া যাবে। বিশদে জানতে ঘুরে আসুন অফিসিয়াল পেজ থেকে। স্পিড পোস্টের জন্য ৫ টাকা, মানি অর্ডারের জন্য ৩-৫ টাকা, পোস্টাল স্ট্যাম্প এবং স্টেশনারি ৫ শতাংশ কমিশন পাওয়া যায়। বিভিন্ন পরিষেবার জন্য বিভিন্ন কমিশন পাওয়া যায়।
Leave a Reply