এভাবে আর কিনবেন না সিলিং ফ্যান, তাহেলই সর্বনাশ! সিলিং ফ্যান কেনাবেচার নিয়মে বিরাট বদল!

এভাবে আর কিনবেন না সিলিং ফ্যান, তাহেলই সর্বনাশ! সিলিং ফ্যান কেনাবেচার নিয়মে বিরাট বদল!

এভাবে আর কিনবেন না
সিলিং ফ্যান!

তাহেলই সর্বনাশ!

ব্যবহারকারীদের সাবধান করলেন
খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী!

বদলে দিলেন সিলিং ফ্যান
কেনাবেচার সমস্ত নিয়ম!

সব দোকানদারকেই মানতে হবে!
না মানলেই জুটবে ভয়ংকর শাস্তি!

আপনি কি সিলিং ফ্যান কেনার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখুন! নইলে বড়সর সমস্যায় পড়তে চলেছেন আপনিও! শীতের পর গরম ঢুকবে, সেই সময় অনেকেই সিলিং ফ্যান কেনার জন্য ছোটাছুটি করবেন। তবে ছোটাছুটি করার আগে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০২৪ সাল থেকে সিলিং ফ্যান কেনার নিয়মে একাধিক পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র সরকার। রীতিমতো আইন মেনে সিলিং ফ্যান কিনতে হবে গ্রাহকদের। এখন আপনারা হয়ত ভাবছেন, সিলিং ফ্যান কেনার সঙ্গে আইনের কি সম্পর্ক? সামান্য একটা ফ্যান কিনতে আইন আদালত কোথা থেকেই বা আসছে? ফ্যান কেনা তো আর অপরাধের কিছু নয়! আজ্ঞে হ্যাঁ, এবার এই নিয়মগুলো না মেনে ফ্যান কিনলে আইনের চোখে আপনি অপরাধী হবেন। আর এই নিয়মগুলো আনা হয়েছে গ্রাহকদের স্বার্থে, অর্থাৎ আপনাদের জন্য। তাহলে চলুন ঝটপট দেরি না করে দেখুন, কেন এই নিয়মগুলো আনা হয়েছে এবং কিসের জন্য আনা হয়েছে!

গ্রাহকদের প্রাণ বাঁচাতেই সরকারি নিয়মগুলো লাগু করেছেন। ভারতের প্রতিটি ঘরে ঘরেই সিলিং ফ্যান দেখা যায়। ফাইভ স্টার হোটেল থেকে শুরু করে টালির ঘর সব জায়গায় সিলিং ফ্যান শোভা পায়। কিন্তু বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গুণগতমান বিসর্জন দিয়ে সিলিং ফ্যান তৈরি করছেন। এই সমস্ত ফ্যানগুলো থেকে বড় বড় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কখনো এই ফ্যান খুলে গিয়ে মাথায় পড়ে আঘাত লাগতে পারে, তো কখনো আবার এই ফ্যানগুলোতে আগুন ধরারও আশঙ্কা থাকে। এইসব বিপদ জেনেও, দিনের পর দিন বেশ কিছু কারখানা এই ফ্যানগুলো বানাচ্ছেন এবং খোলা বাজারে বিক্রি করছেন। আর গ্রাহকও অন্ধের মতন বিশ্বাস করে ফ্যান গুলো বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবার আর নয়। এসব অবৈধ ফ্যানের কারবার বন্ধ করতে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

কিভাবে ফ্যান বিক্রি করা যাবে সেই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এন্ড ইন্টারনাল ট্রেড নামক সংস্থা। এবার থেকে সিলিং ফ্যান বানানোর সময়, ফ্যানের উপর বিআইএস অর্থাৎ, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডারস, এই চিহ্নটি থাকতে হবে। বি আই এস এর মাপকাঠি অনুযায়ী প্রত্যেকটি সিলিং ফ্যান বানাতে হবে। বিআইএস, হল কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত বৈদ্যুতিন সামগ্রীর মাপকাঠি। এগুলো মেনে বৈদ্যুতিক জিনিস তৈরি করলে বুঝতে হবে তার গুণমান ভালো।। যে সিলিং ফ্যানের উপর এই চিহ্ন থাকবে সেই সিলিং ফ্যান ভালো এবং নিরাপদ হবে। আর যে সিলিং ফ্যানের উপর এই লোগো থাকবেনা বুঝে নিতে হবে এর গুণগতমানের সঙ্গে আপোষ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে বিআইএস চিহ্ন ছাড়া কোনও ফ্যান বিক্রি করা যাবে না। এমনকি, গোডাউনেও এই চিহ্ন ছাড়া কোনও ফ্যান স্টকে রাখা যাবে না।

আর যদি কেউ এই নিয়ম না মানে তাহলে তার কপালে শনির দশা। এ নিয়ম অলংঘন করে কেউ যদি ফ্যান বিক্রি করে এবং কেউ যদি সেই ফ্যান কেনে, তবে অপরাধীকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। সেই সঙ্গে দু’বছর জেলের ভাতও খেতে হতে পারে। যদি কেউ এই ভুল দুবার করে , সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করি বুঝতেই পারছেন এই সম্পূর্ণ বিষয়টি গ্রাহকদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে করা হচ্ছে। এতে জটিলতার কিছুই নেই। শুধুমাত্র আইন মেনে ফ্যান কিনুন। আর কেউ যদি অবৈধভাবে নিম্নমানের ফ্যান বিক্রি করে, সমাজের কল্যাণে তাদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *