সরকারি স্কিম

মেয়েদের জন্য কেন্দ্রের ৪ টি ধামাকা প্রকল্প! কেন্দ্রের দেওয়া মোটা টাকায় সুরক্ষিত করুন মেয়ের ভবিষ্যৎ! মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ছাড়াও আর কি কি প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রের? সরকারি এই স্কিম গুলিতে কি কি সুবিধা পাবেন? সব  মেয়েরাই কি এই সুবিধা পাবেন?

‘বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও!’ এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে শুরু থেকেই নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতেই শিক্ষা থেকে শুরু করে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বারবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নরেদ্র মোদি সরকার। মেয়েদের সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার কথা কম বেশি সকলেই জানেন।

তবে এই স্কিমটি শুধু নয় এছাড়া আরও একাধিক সরকারি স্কিমের সাহায্যে বহু সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন আমাদের দেশের মহিলারা। এই স্কিমে বিনিয়োগ করেই মহিলারা  ভবিষ্যতে নিজেদের আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করতে পারবেন। আসুন জানা যাক কন্যা সন্তানদের  আর্থিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে এই স্কিম গুলিতে।

১) সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা

মেয়েদের জন্য কেন্দ্র সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি স্কীম হল সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কন্যার বয়স ১০ বছর হলে তবেই স্কীমে খাতা খোলা যাবে। মেয়ের বয়স ২১ বছর বয়স হলে এই স্কীম ম্যাচিউরিটি পাবে। মাসে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়েই এই স্কীমে চালু করা যায়। এই স্কীমে বিনিয়োগের উপর ৮ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। আর রিটার্নের উপর ট্যাক্সের বিশেষ ছাড়ও আছে মেয়ের ১৮ বছর হলে  উচ্চ শিক্ষার জন্য ৫০ শতাংশ টাকা তোলা যাবে।

২) বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা

দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলির জন্য এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯৭ সালে এই যোজনা চালু করেছিল। পরে এই যোজনার ভার তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের উপর। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে কন্যা সন্তানের জন্মের পর তাকে নানা ভাবে আর্থিক সাহায্য করা হয়। কোনো গর্ভবতী মা কন্যা সন্তানদের জন্ম দিল তাকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া ওই শিশুর শিক্ষায় আর্থিক সাহায্যের জন্য বার্ষিক ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা দেওয়া হয়।

৩) জাতীয় বৃত্তি প্রকল্প

এখনও অনেক মেয়েই টাকার অভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষাটাও দিতে পারে না। স্কুল ছাড়তেও বাধ্য হয় তারা। তাই তাদের সাহায্য করতেই এসসি এবং এসটি বিভাগের মেয়েদের জন্য এক বিশেষ বৃত্তি চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শর্ট অনুযায়ী কোনো ছাত্রী অষ্টম শ্রেণী পাশ করে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হলে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০০ টাকার এফডি করে দেওয়া হয়। ১৮ বছর পর এই টাকাই সুদ সহ রিটার্ন দেওয়া হবে তাকে। তবে তার জন্য ওই পড়ুয়াকে অবশ্যই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে।

৪) উড়ান সিবিএসই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম

কেন্দ্রীয় সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সিবিসিএস বোর্ডের সাথে যৌথভাবে উডান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণীর সব ছাত্র ছাত্রীরা বিনামূল্যে অনলাইন বা অফলাইন কোচিং নিতে পারবেন। যে পরিবারের বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকার কম তাদের মেয়েরা ৩ শতাংশ আসন কোটায় পাবেন। এই ফর্মটি CBSE ওয়েবসাইট থেকে পূরণ করা যেতে পারে।

 

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *